
দৈনিক আজকের বাংলা ডেস্ক,
আশিকুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগে যোগদানের পূর্বে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) তে সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ তারিখে বিএডিসি’তে যোগদান করে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে চাকুরি করেছেন। এর আগে ৩৮, ৪০ ও ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় জেনারেল ক্যাডারে টানা ৩ বার ভাইভা দিয়েছিলেন কিন্তু প্রতিবারই নন-ক্যাডার হিসেবে মনোনীত হোন। তুলা উন্নয়ন বোর্ড এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (৯ম গ্রেড) এবং বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড (পেট্রোবাংলা) এর সহকারী ব্যবস্থাপক (এডমিন) পদে চাকুরি হওয়ার পরেও যোগদান করেননি। এ বিষয়ে জনাব আশিক’কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি ২০০৯-১০ সেশনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের আওতাভুক্ত ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ নিয়ে অনার্স শেষ করি যা একাধারে কৃষি অনুষদ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের মধ্যে ঐ সময়ে সর্বোচ্চ রেজাল্ট! ফলশ্রুতিতে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ও বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হই। এরপর মনের মধ্যে শিক্ষকতার মহান পেশার প্রতি নিজের শ্রদ্ধা ও আগ্রহ আরও বেড়ে যায় যা নিয়ে সে সময় বিভিন্ন পত্রিকায় অনুচ্ছেদ ছাপানো হয়েছিল। সেজন্য অনার্স শেষ করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর কীটতত্ত্ব বিভাগে প্রফেসর ড. খন্দকার শরীফুল ইসলাম স্যারের তত্ত্বাবধানে এম.এস ইন এন্টোমোলজি তে ভর্তি হয়ে সাফল্যের সাথে ডিগ্রী অর্জন করি। সর্বোপরি, আল্লাহ আমাকে এই মহৎ পেশায় কবুল করেছেন এজন্য আমি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি, আলহামদুলিল্লাহ এবং আমার সকল শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, বন্ধুবান্ধব, ও সম্মানিত বিএডিসি’র কর্তৃপক্ষ যাঁরা আমাকে আবেদনের অনুমতি দিয়েছেন তাঁদের প্রতিও আমি চিরকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি যেন বিশ্ববিদ্যালয় হতে দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারি এজন্য সকলের সহযোগিতা ও দোয়া প্রত্যাশী!