Dhaka , Wednesday, 12 March 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল এর পক্ষ থেকে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ঈদের মার্কেট করতে হবে তাই আসছি- চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য  নোয়াখালীতে ওষুধের কার্টনে মিলল নবজাতকের মরদেহ সাতকানিয়ায় এলডিপি’র কেওঁচিয়া ইউনিয়ন শাখার ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ৯ বছর বয়সী শিশুর মাটিতে পুঁতে রাখা মৃতদেহ উদ্ধার সারাদেশে খুন -ধর্ষণ সহ আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ পাইকগাছায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপজেলা প্রশাসন পাইকগাছায় ২৫ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা মেহেরপুরে ফলের বাজার গরম, বেড়েছে কয়েকটির দাম  সরাইলে মাদক বিরোধী অভিযানে ২৫কেজি গাজাসহ গ্রেফতার ৩ বিদ্যালয়ের বারান্দায় বৃদ্ধকে ইটের আঘাতে হত্যা, আসামী গ্রেফতার সাতকানিয়ায় মূল্য তালিকা না থাকায় ৫ দোকানিকে জরিমানা ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শাস্তির আইন পাশ করতে হবে- ডা. শাহাদাত হোসেন বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দীন আহমেদ এর জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক প্রকল্পের বিষয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বর্ষা ধর্ষণ ও হত্যা ,আড়াই বছরেও মেলেনি ডিএনএ রিপোর্ট নরসিংদীতে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবিতে মানববন্ধন টঙ্গীতে কারখানা গেইটে বন্ধের নোটিশ দেখে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে নরসিংদী সদরে বড় বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্টেট এর অভিযান গারো পাহারে আগুনের কারণে দেখা মিলছে না বন্যপ্রাণীর গাজীপুরে ২ মহাসড়কে বিক্ষুব্ধ পোশাক শ্রমিকদের তিন ঘন্টা অবরোধ   লালমনিরহাটে মব জাস্টিসের শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠিয়ে সংবাদ সম্মেলন সাতকানিয়ায় মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে মধ্যরাতে ইউএনও’র অভিযান ১জনকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা সাতকানিয়ায় ডাকাত ঘোষণা দিয়ে ২জামায়াত কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার ৬ দিন পর থানায় মামলা সাংবাদিককে ফাঁসানোর অপচেষ্টা- কক্সবাজারে মাদকের এডির বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধন বিএনপি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন করতে চায়- ভিপি ইব্রাহিম বিএনপির কেন্দ্রীয়  নির্বাহী কমিটির স্থায়ী সদস্য   লক্ষ্মীপুর -১ রামগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি নাজিমউদ্দীন আহমেদ আর নাই মির্জাপুর জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত হাটহাজারিতে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালন সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে গম ক্ষেতের পরিচর্যায় কৃষক 

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 04:57:51 pm, Tuesday, 11 February 2025
  • 16 বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরে গম ক্ষেতের পরিচর্যায় কৃষক 

স্টাফ রিপোর্টার, মেহেরপুর
  
মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকার মাঠে মাঠে এখন নজরে পড়ছে গম ক্ষেতে সেচ, সার আর ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক দেওয়ার দৃশ্য। যদিও আগাম গম বপন করেছেন এমন কৃষকরা ইতিমধ্যেই সার ও সেচের কাজ কাজ সম্পন্ন করেছেন। গত দু’বছরে গম চাষে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে গম চাষ। যদিও ইতিপূর্বে গম চাষে কৃষকদের গুনতে হয়েছে লোকসান। তবে লাভ-লোকসান যেটাই হোক না কেনো বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখে অনেকেই গম চাষ অব্যাহত রেখেছেন। চাষীদের লাভ-লোকসান দেখলে হয়না, আবাদ করতেই হয় বলে জানান, গাংনী উপজেলার হিন্দা গ্রামের কৃষক হাসান বশীর।
তবে সার সংকটের কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে গম ক্ষেতে সারের ব্যবস্থা না করতে পারায় ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কাতেও রয়েছে বলে জানান, করমদী গ্রামের বাবর আলী ও নাসিরুদ্দিনসহ কয়েকজন কৃষক।
করমদী গ্রামের অপর একজন কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, লাভজনক হওয়ায় ও কৃষি বিভাগের উদাসীনতায় এলাকায় চামাক চাষের প্রবণতা বেশি। তবুও খাদ্যের চাহিদা পূরণে গম চাষ করছেন। বিঘা প্রতি জমিতে ১২-১৮ মণ ফলন হয়ে থাকে।  
গোপালনগর গ্রামের রেন্টু জানান, ১০ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি। রোগবালাই দমনে আগেভাগেই ছত্রাকনাশক স্প্রের কাজ করা হচ্ছে। 
শওড়াবাড়ী গ্রামের জামাত আলী জানান, ৪ বিঘা জমিতে গম চাষ হয়েছে। রোগবালাই না থাকায় ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন। 
সহড়াতলা গ্রামের আজাদ মাষ্টার জানান, রোগবালাই তেমন একটা না থাকলেও কিছু গম লালচে আকার ধারণ করেছে।
মাইলমারী গ্রামের চঞ্চল জানান, কৃষি বিভাগ থেকে ২০ কেজি বীজ এবং আরও ১৫ কেজি ক্রয় করে বপন করেছেন। ইতিমধ্যেই ২ টা সেচ সম্পন্ন হয়েছে। শেষ অবধি দেড় বিঘা জমিতে ১২ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। 
একই গ্রামের জাহাঙ্গীর ও খোকন জানান, গমের আবাদ খুব ভালো হয়েছে। শুরুতে সার সংকটের কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হয়নি তারপরও ভালো ফলনের আশা।
সদর উপজেলার শ্যামপুর কলোনিপাড়ার আব্দুল করিম জানান, গত কয়েকবছরে হালচাষ, সেচ, সার, কীটনাশকসহ মজুরের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা আশানুরূপ লাভবান না হলেও দাম ভালো হওয়ায় লেগে রয়েছেন গম চাষে। তবে সার সংকটে শুধু গমই নয় অন্যান্য ফসলের ফলন নিয়েও হতাশায় নিমজ্জিত। 
গত কয়েকদিনে জেলার এমন আরও কয়েকটি গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কার্তিক মাসের শেষ ও অগ্রহায়ণ মাসে গম বপন করে চৈত্র মাসে কাটা মাড়াই করতে হয়। গম চাষ লাভজনক এবং ৪ মাস পরেই তা কাটামাড়াই করে ভালো দাম পাওয়া যায়। 
   
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলায় গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় কৃষকেরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলন ও মূল্য পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল এর পক্ষ থেকে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

মেহেরপুরে গম ক্ষেতের পরিচর্যায় কৃষক 

আপডেট সময় : 04:57:51 pm, Tuesday, 11 February 2025
স্টাফ রিপোর্টার, মেহেরপুর
  
মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকার মাঠে মাঠে এখন নজরে পড়ছে গম ক্ষেতে সেচ, সার আর ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক দেওয়ার দৃশ্য। যদিও আগাম গম বপন করেছেন এমন কৃষকরা ইতিমধ্যেই সার ও সেচের কাজ কাজ সম্পন্ন করেছেন। গত দু’বছরে গম চাষে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে গম চাষ। যদিও ইতিপূর্বে গম চাষে কৃষকদের গুনতে হয়েছে লোকসান। তবে লাভ-লোকসান যেটাই হোক না কেনো বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখে অনেকেই গম চাষ অব্যাহত রেখেছেন। চাষীদের লাভ-লোকসান দেখলে হয়না, আবাদ করতেই হয় বলে জানান, গাংনী উপজেলার হিন্দা গ্রামের কৃষক হাসান বশীর।
তবে সার সংকটের কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে গম ক্ষেতে সারের ব্যবস্থা না করতে পারায় ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কাতেও রয়েছে বলে জানান, করমদী গ্রামের বাবর আলী ও নাসিরুদ্দিনসহ কয়েকজন কৃষক।
করমদী গ্রামের অপর একজন কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, লাভজনক হওয়ায় ও কৃষি বিভাগের উদাসীনতায় এলাকায় চামাক চাষের প্রবণতা বেশি। তবুও খাদ্যের চাহিদা পূরণে গম চাষ করছেন। বিঘা প্রতি জমিতে ১২-১৮ মণ ফলন হয়ে থাকে।  
গোপালনগর গ্রামের রেন্টু জানান, ১০ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি। রোগবালাই দমনে আগেভাগেই ছত্রাকনাশক স্প্রের কাজ করা হচ্ছে। 
শওড়াবাড়ী গ্রামের জামাত আলী জানান, ৪ বিঘা জমিতে গম চাষ হয়েছে। রোগবালাই না থাকায় ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন। 
সহড়াতলা গ্রামের আজাদ মাষ্টার জানান, রোগবালাই তেমন একটা না থাকলেও কিছু গম লালচে আকার ধারণ করেছে।
মাইলমারী গ্রামের চঞ্চল জানান, কৃষি বিভাগ থেকে ২০ কেজি বীজ এবং আরও ১৫ কেজি ক্রয় করে বপন করেছেন। ইতিমধ্যেই ২ টা সেচ সম্পন্ন হয়েছে। শেষ অবধি দেড় বিঘা জমিতে ১২ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। 
একই গ্রামের জাহাঙ্গীর ও খোকন জানান, গমের আবাদ খুব ভালো হয়েছে। শুরুতে সার সংকটের কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হয়নি তারপরও ভালো ফলনের আশা।
সদর উপজেলার শ্যামপুর কলোনিপাড়ার আব্দুল করিম জানান, গত কয়েকবছরে হালচাষ, সেচ, সার, কীটনাশকসহ মজুরের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা আশানুরূপ লাভবান না হলেও দাম ভালো হওয়ায় লেগে রয়েছেন গম চাষে। তবে সার সংকটে শুধু গমই নয় অন্যান্য ফসলের ফলন নিয়েও হতাশায় নিমজ্জিত। 
গত কয়েকদিনে জেলার এমন আরও কয়েকটি গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কার্তিক মাসের শেষ ও অগ্রহায়ণ মাসে গম বপন করে চৈত্র মাসে কাটা মাড়াই করতে হয়। গম চাষ লাভজনক এবং ৪ মাস পরেই তা কাটামাড়াই করে ভালো দাম পাওয়া যায়। 
   
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলায় গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় কৃষকেরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলন ও মূল্য পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।