প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১২, ২০২৫, ৫:০৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২৫, ৪:৫৭ পি.এম
মেহেরপুরে গম ক্ষেতের পরিচর্যায় কৃষক

স্টাফ রিপোর্টার, মেহেরপুর
মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকার মাঠে মাঠে এখন নজরে পড়ছে গম ক্ষেতে সেচ, সার আর ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক দেওয়ার দৃশ্য। যদিও আগাম গম বপন করেছেন এমন কৃষকরা ইতিমধ্যেই সার ও সেচের কাজ কাজ সম্পন্ন করেছেন। গত দু'বছরে গম চাষে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে গম চাষ। যদিও ইতিপূর্বে গম চাষে কৃষকদের গুনতে হয়েছে লোকসান। তবে লাভ-লোকসান যেটাই হোক না কেনো বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখে অনেকেই গম চাষ অব্যাহত রেখেছেন। চাষীদের লাভ-লোকসান দেখলে হয়না, আবাদ করতেই হয় বলে জানান, গাংনী উপজেলার হিন্দা গ্রামের কৃষক হাসান বশীর।
তবে সার সংকটের কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে গম ক্ষেতে সারের ব্যবস্থা না করতে পারায় ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কাতেও রয়েছে বলে জানান, করমদী গ্রামের বাবর আলী ও নাসিরুদ্দিনসহ কয়েকজন কৃষক।
করমদী গ্রামের অপর একজন কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, লাভজনক হওয়ায় ও কৃষি বিভাগের উদাসীনতায় এলাকায় চামাক চাষের প্রবণতা বেশি। তবুও খাদ্যের চাহিদা পূরণে গম চাষ করছেন। বিঘা প্রতি জমিতে ১২-১৮ মণ ফলন হয়ে থাকে।
গোপালনগর গ্রামের রেন্টু জানান, ১০ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি। রোগবালাই দমনে আগেভাগেই ছত্রাকনাশক স্প্রের কাজ করা হচ্ছে।
শওড়াবাড়ী গ্রামের জামাত আলী জানান, ৪ বিঘা জমিতে গম চাষ হয়েছে। রোগবালাই না থাকায় ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন।
সহড়াতলা গ্রামের আজাদ মাষ্টার জানান, রোগবালাই তেমন একটা না থাকলেও কিছু গম লালচে আকার ধারণ করেছে।
মাইলমারী গ্রামের চঞ্চল জানান, কৃষি বিভাগ থেকে ২০ কেজি বীজ এবং আরও ১৫ কেজি ক্রয় করে বপন করেছেন। ইতিমধ্যেই ২ টা সেচ সম্পন্ন হয়েছে। শেষ অবধি দেড় বিঘা জমিতে ১২ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
একই গ্রামের জাহাঙ্গীর ও খোকন জানান, গমের আবাদ খুব ভালো হয়েছে। শুরুতে সার সংকটের কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হয়নি তারপরও ভালো ফলনের আশা।
সদর উপজেলার শ্যামপুর কলোনিপাড়ার আব্দুল করিম জানান, গত কয়েকবছরে হালচাষ, সেচ, সার, কীটনাশকসহ মজুরের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা আশানুরূপ লাভবান না হলেও দাম ভালো হওয়ায় লেগে রয়েছেন গম চাষে। তবে সার সংকটে শুধু গমই নয় অন্যান্য ফসলের ফলন নিয়েও হতাশায় নিমজ্জিত।
গত কয়েকদিনে জেলার এমন আরও কয়েকটি গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কার্তিক মাসের শেষ ও অগ্রহায়ণ মাসে গম বপন করে চৈত্র মাসে কাটা মাড়াই করতে হয়। গম চাষ লাভজনক এবং ৪ মাস পরেই তা কাটামাড়াই করে ভালো দাম পাওয়া যায়।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলায় গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় কৃষকেরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলন ও মূল্য পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, কোড নাম্বারঃ ৯২