হোসাইন রুবেল ভোলা।।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় মাঝরাতে দূর্বৃত্তের আগুনে পুড়ে গেছ ওই ইউনিয়ন পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) মাঝ রাতে উপজেলার কুতুবা ইউনিয়ন এর মানিকার হাট বাজারে ওই ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল আহসান জোবায়েদ মিয়ার নির্বাচনী অফিসের সার্টার ভেঙে দূর্বৃত্তরা গুরুত্বপূর্ণ সকল নথিপত্রে আগুন ধরিয়েদেয়। পরে বাজার এর পাহারাদার ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা আগুন নেভাতে সক্ষম হন।
ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল আহসান জোবায়েদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ২০০৮ সালে মানিকার হাট বাজারে এই ঘরটা ভাড়া নিয়ে আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর অফিস চালাচ্ছি।আজ ৩-৪ মাস ইউনিয়ন পরিষদে রিপিয়ারিং এর কাজ চলে তাই ওইখানের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র গুলো আমার এই অফিসে নিয়ে আছি। ওইখানে কাজ চলে বিধায় আমি এই অফিস থেকেই জন্ম সনদ, নাগরিক সনদ সহ পরিষদের বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে থাকি। এবার চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে এই ইউনিয়ন থেকে আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এই সুবাদে আমি আমার নির্বাচনী কার্যক্রমও এই অফিস থেকে করে থাকি। গতকাল রাতে আমি আমার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আমার প্রতিদন্ধী আনারস প্রতীকের কাজী মোঃ কামাল এর কর্মীরা আমার অফিসের চার পাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছি। তার পরেই রাত ৩ টা নাগাদ খবর পাই অফিসে আগুন লেগেছে। আমার ধারনা এই আগুন আমার প্রতিদন্ধী প্রার্থীর ইন্দনে ঘটেছে।
এ সময় তিনি আরও বলেন,বিষয়টি বোরহানউদ্দিন থানায় জানিয়েছি পুলিশ এসেছে তদন্ত করছে। ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি তিনি এসে দেখে গেছেন।
এদিকে অভিযুক্ত আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী মোঃ কামাল এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন ফকির বিপিএম জানান, ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে আগুনেট ঘটনা আমরা শুনেছি,ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।