
অরবিন্দ রায়,
ভূমিকম্পে হঠাৎ কেঁপে উঠল নরসিংদী। নিহত ২, আহত অর্ধশতাধিক হয়েছে। ভূমিকম্পে পলাশের মালিতা পশ্চিম পাড়া গ্রামের মাটির ঘরের দেয়াল চাপায় কাজম আলী (৭০) ও ডাঙ্গায় কাজিরচড় গ্রামের নাসির উদ্দিন নামে ১ জন ভূমিকম্পের সময় হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মারা যায়।
জেলা সদর হাসপাতাল সূএে জানা যায়, জেলা ও উপজেলায় কমপক্ষে দেড় শতাধিক মানুষ প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের ৩ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন, তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি কাঁপতে শুরু করে,মানুষের মধ্যে তীব্র আতন্ক ছড়িয়ে পড়লে নারী পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসে। মানুষ শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে মানুষ নিরাপদে আশ্রয়ে খোঁজে সড়কে ও খোলা স্হানে দাঁড়িয়ে পড়েন। ভূমিকম্পের পর বহু ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ভূমিকম্পে সময় নরসিংদীর ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে জাতীয় গ্রিডের সাবস্টেশনের যন্ত্রাংশ আগুনে পুড়ে যায়। খবর পেয়ে পলাশ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে ২টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পলাশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র অফিসার মো.আব্দুল শহিদ।
শুক্রবার সকাল ১০ টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্হল নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্পের মাএা ছিল ৫ দশমিক ৫।
নরসিংদীর ব্রাক্ষন্দী বাসিন্দা নাজমুল শিক্ষক শাহীন জানান,আমার জীবনে এ রকম ভূমিকম্প কখনো অনুভব করিনি।
শিক্ষক শিলা রানী জানান,ভূমিকম্পে মনে হচ্ছিল ভবন একপাশ থেকে আরেক পাশ দুলছে। মুহূর্তে কি করব বুঝতে পারছিলাম না। পরে ছেলে মেয়ে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসি।
শুক্রবার বন্ধের দিন থাকায় বেশির ভাগ মানুষ বাসা- বাড়িতে অবস্থান করেছে। নরসিংদী জেলা হাসপাতালে আহত অবস্থায় অর্ধশতাধিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।

























