Dhaka , Saturday, 22 November 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
বিজিবি’র মাদকবিরোধী সাড়াশি অভিযান: সীমান্তে গাঁজা ও ইস্কাফ সিরাপসহ ১ মাদক কারবারী গ্রেফতার সেন্টমার্টিনের আব্দুল গণির জালে ধরা পড়লো ৩২ কেজির পোপা মাছ ভূমিকম্পে নরসিংদী হারিয়ে গেল শিশু সহ পাঁচ জীবন, আহত শতাধিক ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মত মতবিনিময় সভা রাজনৈতিক মাঠে আওয়ামী লীগকে আর স্থান দেওয়া হবে না: ইশরাক হোসেন গৌরবময় পথচলার ৪৭ বছর: বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইবি দিবস উদযাপন হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনালের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে উদ্বোধন ও অভিষেক উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত রামুতে ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ প্রাইভেট কার নিয়ে চালক আটক নরসিংদীতে ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার বাবা–ছেলের মৃত্যু। অর্জন, প্রাপ্তি ও প্রশ্নে ইবির ৪৭ তম বছরে পদার্পণ  পাইকগাছায় পাখির জন্য বাঁধা মাটির পাত্রে- এবার কাঠবিড়ালির বাসা ফতুল্লা থানা বিএনপি’র গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ নারায়ণগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে বিশাল গণসমাবেশ রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে দেওয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু ॥ আহত ৩ কিশোরগঞ্জের যানজট সমস্যা সমাধান কোথায় হাটহাজারিতে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট,২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড। বেগমগঞ্জে আপন ভাইয়ের দ্বারা সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার রাইসা পোল্ট্রি এন্ড এগ্রো ফার্ম ও তার মালিক লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের পৃথক অভিযানে সীমান্তে ইস্কাফ সিরাপ জব্দ দৈনিক ভোরের চেতনার ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কক্সবাজারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত ভোটের মাধ্যমে জান্নাত- জাহান্নাম নির্ধারণ হয় না” শার্শায় উঠান বৈঠকে বললেন–তৃপ্তি মধুপুর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কক্সবাজারের রামুতে হত্যাসহ ১০ মামলার পলাতক আসামী আনোয়ার হোসেন বাবলা আটক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করেছে কোস্ট গার্ড। বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে মানবতার বন্ধন যুব উন্নয়ন সংস্থা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভূমিকম্পে নরসিংদীতে নিহত ২, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন, আহত শতাধিক কালিয়াকৈরে বিএনপির স্মরণকালের র‍্যালি ও মিছিল অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় বিএনপি প্রার্থী বাপ্পির পক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় বিএনপি প্রার্থীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শরীয়তপুর-১ আসনে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলাম রূপগঞ্জে ভুমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, আহত ২ 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত লক্ষ্মীপুরের মাসরুরের খবর কেউ রাখে না।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 04:25:17 pm, Friday, 27 September 2024
  • 143 বার পড়া হয়েছে

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত লক্ষ্মীপুরের মাসরুরের খবর কেউ রাখে না।।

মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
  
   
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগষ্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম মাসরুর। কিন্তু এখন তার খবর আর কেউ রাখে না।মানবেতর জীবন যাপন করছে তার পরিবার। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন গাজীপুরে।   আন্দোলনে অংশ নিতে নিষেধ করছিলেন স্ত্রী বিবি সালমা। এ সময় স্ত্রীকে থামিয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন- আমি আন্দোলনে গেলে শহীদ হব। যদি মারা যাই- লোকে তোমাদের শহীদের স্ত্রী-সন্তান’ বলে ডাকবে। আর আমার সন্তান মারা গেলে- তখন সবাই আমাদেরকে শহীদের বাবা-মা বলে ডাকবে।
গত ৫ আগস্ট গাজীপুরে আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মাসরুর। তিনি যখন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তখন তার স্ত্রী সালমা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার মৃত্যুর দেড় মাস পর গত রোববার -২২ সেপ্টেম্বর- স্ত্রীর কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান। শিশুটির এখনো নাম রাখা হয়নি। সাড়ে তিন বছর বয়সী নাফিজা আক্তার নামে এক কন্যা সন্তানও রয়েছে তাদের। প্রতিদিন বাবার সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা বলত নাফিজা। গত দেড় মাস বাবার সঙ্গে তার কথা হয় না। বাবার কথা জিজ্ঞেস করতেই দুচোখ পানিতে ভিজে যায় ছোট্ট নাফিজার।
শহীদ মাসরুরের স্ত্রী বিবি সালমার সাথে কথা হলে তিনি বলেন- মাসরুর আমাকে বলেছিলেন আন্দোলনে তার সঙ্গী হতে। আমাকে আন্দোলনে যেতে বুঝিয়ে গেছেন। হাজিরহাটে মিছিল হবে- আমাকে যেতে বলেছেন। সঙ্গে আমার সন্তানকে নেওয়ার জন্যও বলেছিলেন। এখন সবাই আছে, শুধু মাসরুর নেই। এখন আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার- কোথায় যাব- কি করব আল্লাহপাক জানেন। 
৫ আগস্টও সালমার সঙ্গে মাসরুরের কথা হয়। তখন মাসরুর দোকানে ছিলেন। সালমাকে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি আন্দোলনে যাবেন। সালমা খাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে আন্দোলন তারপর খাওয়া-দাওয়া। পরে সালমা তার ভাইয়ের কাছে জানতে পারেন মাসরুর মারা গেছেন। 
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার পাটওয়ারীর হাট ইউনিয়নের চরবড়ালিয়া গ্রামের বৃদ্ধ আবদুল খালেকের ছেলে মাসরুর। জীবিকার তাগিদে তিনি মাদরাসায় শিক্ষকতা, পোলট্রি খামার ও ইলেকট্রিক সরঞ্জামের ব্যবসা করেছেন। তবে কোথাও স্থায়ী হতে পারেননি। সবশেষ প্রায় সাত মাস আগে গাজীপুরে তার শ্বশুর মো. মোস্তফার কাছে যান ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে। সেখানে ব্যবসায় ভালোই করছিলেন। কিন্তু ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনীতি করায় সরকার পতনের আন্দোলনে সবসময় সক্রিয় ছিলেন তিনি। মাসরুর ইসলামী আন্দোলনের পাটওয়ারীর হাট ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। 
মাসরুরের শিক্ষকতা জীবনের সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম মেহরাজ বলেন, ঘটনার দিন মাসরুর তার এক বন্ধুকে বলেছিল, গুলিবিদ্ধ কেউ একজনকে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। গুলিবিদ্ধ সেই লোকটি তার বন্ধু ছিল। এরপর আর তার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। পরে গাজীপুরের শহীদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে— গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনদের দুশ্চিন্তায় না ফেলতে সেদিন তিনি ঘটনাটি লুকিয়েছিলেন। 
মাসরুরের ছোট ভাই হুমায়ুন কবির বলেন, আমার ভাই জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন। নিজে পড়ালেখা করেছেন। পাশাপাশি আমাদের জন্য কষ্ট করেছেন। তিনি একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। পরে ওই মাদরাসার দায়িত্ব আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে তিনি গাজীপুরে ব্যবসা করতে যান। আমার ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। সবাই বলেছে, তার শরীরের একটা গুলি লেগেছে। তবে শেষ গোসলের সময় তার পেটে ও পিঠে দুটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। 
মাসরুরের চাচা শ্বশুর ওমর ফারুক বলেন, মাসরুর আর্থিকভাবে তেমন একটা স্বাবলম্বী ছিলেন না। গাজীপুর যাওয়ার আগে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে যান। এখন তো কোনোভাবে দিন কাটছে তাদের। সামনে তারা কীভাবে চলবে? যতই সময় যাচ্ছে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। সরকার যদি পরিবারটির দিকে মুখ তুলে তাকায় হয়তো মাসরুরের স্ত্রী ছেলে-মেয়েকে নিয়ে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারবে। 
মাসরুরের কথা জিজ্ঞেস করতেই তার বৃদ্ধ বাবা আবদুল খালেকের চোখ থেকে পানি ঝরতে শুরু করে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, মাসরুর সবার চেয়ে ভালো ছিল। পরিবারের সবার দেখভাল করত। সরকার যদি আমাদের দিকে খেয়াল করে তাহলে মাসরুরের স্ত্রী,ছেলে মেয়ের জন্য ভালো একটা কিছু করা সম্ভব। তাই এই এতিম বাচ্চাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টা সহ সকল উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজিবি’র মাদকবিরোধী সাড়াশি অভিযান: সীমান্তে গাঁজা ও ইস্কাফ সিরাপসহ ১ মাদক কারবারী গ্রেফতার

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত লক্ষ্মীপুরের মাসরুরের খবর কেউ রাখে না।।

আপডেট সময় : 04:25:17 pm, Friday, 27 September 2024
মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
  
   
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগষ্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম মাসরুর। কিন্তু এখন তার খবর আর কেউ রাখে না।মানবেতর জীবন যাপন করছে তার পরিবার। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন গাজীপুরে।   আন্দোলনে অংশ নিতে নিষেধ করছিলেন স্ত্রী বিবি সালমা। এ সময় স্ত্রীকে থামিয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন- আমি আন্দোলনে গেলে শহীদ হব। যদি মারা যাই- লোকে তোমাদের শহীদের স্ত্রী-সন্তান’ বলে ডাকবে। আর আমার সন্তান মারা গেলে- তখন সবাই আমাদেরকে শহীদের বাবা-মা বলে ডাকবে।
গত ৫ আগস্ট গাজীপুরে আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মাসরুর। তিনি যখন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তখন তার স্ত্রী সালমা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার মৃত্যুর দেড় মাস পর গত রোববার -২২ সেপ্টেম্বর- স্ত্রীর কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান। শিশুটির এখনো নাম রাখা হয়নি। সাড়ে তিন বছর বয়সী নাফিজা আক্তার নামে এক কন্যা সন্তানও রয়েছে তাদের। প্রতিদিন বাবার সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা বলত নাফিজা। গত দেড় মাস বাবার সঙ্গে তার কথা হয় না। বাবার কথা জিজ্ঞেস করতেই দুচোখ পানিতে ভিজে যায় ছোট্ট নাফিজার।
শহীদ মাসরুরের স্ত্রী বিবি সালমার সাথে কথা হলে তিনি বলেন- মাসরুর আমাকে বলেছিলেন আন্দোলনে তার সঙ্গী হতে। আমাকে আন্দোলনে যেতে বুঝিয়ে গেছেন। হাজিরহাটে মিছিল হবে- আমাকে যেতে বলেছেন। সঙ্গে আমার সন্তানকে নেওয়ার জন্যও বলেছিলেন। এখন সবাই আছে, শুধু মাসরুর নেই। এখন আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার- কোথায় যাব- কি করব আল্লাহপাক জানেন। 
৫ আগস্টও সালমার সঙ্গে মাসরুরের কথা হয়। তখন মাসরুর দোকানে ছিলেন। সালমাকে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি আন্দোলনে যাবেন। সালমা খাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে আন্দোলন তারপর খাওয়া-দাওয়া। পরে সালমা তার ভাইয়ের কাছে জানতে পারেন মাসরুর মারা গেছেন। 
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার পাটওয়ারীর হাট ইউনিয়নের চরবড়ালিয়া গ্রামের বৃদ্ধ আবদুল খালেকের ছেলে মাসরুর। জীবিকার তাগিদে তিনি মাদরাসায় শিক্ষকতা, পোলট্রি খামার ও ইলেকট্রিক সরঞ্জামের ব্যবসা করেছেন। তবে কোথাও স্থায়ী হতে পারেননি। সবশেষ প্রায় সাত মাস আগে গাজীপুরে তার শ্বশুর মো. মোস্তফার কাছে যান ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে। সেখানে ব্যবসায় ভালোই করছিলেন। কিন্তু ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনীতি করায় সরকার পতনের আন্দোলনে সবসময় সক্রিয় ছিলেন তিনি। মাসরুর ইসলামী আন্দোলনের পাটওয়ারীর হাট ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। 
মাসরুরের শিক্ষকতা জীবনের সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম মেহরাজ বলেন, ঘটনার দিন মাসরুর তার এক বন্ধুকে বলেছিল, গুলিবিদ্ধ কেউ একজনকে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। গুলিবিদ্ধ সেই লোকটি তার বন্ধু ছিল। এরপর আর তার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। পরে গাজীপুরের শহীদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে— গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনদের দুশ্চিন্তায় না ফেলতে সেদিন তিনি ঘটনাটি লুকিয়েছিলেন। 
মাসরুরের ছোট ভাই হুমায়ুন কবির বলেন, আমার ভাই জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন। নিজে পড়ালেখা করেছেন। পাশাপাশি আমাদের জন্য কষ্ট করেছেন। তিনি একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। পরে ওই মাদরাসার দায়িত্ব আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে তিনি গাজীপুরে ব্যবসা করতে যান। আমার ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। সবাই বলেছে, তার শরীরের একটা গুলি লেগেছে। তবে শেষ গোসলের সময় তার পেটে ও পিঠে দুটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। 
মাসরুরের চাচা শ্বশুর ওমর ফারুক বলেন, মাসরুর আর্থিকভাবে তেমন একটা স্বাবলম্বী ছিলেন না। গাজীপুর যাওয়ার আগে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে যান। এখন তো কোনোভাবে দিন কাটছে তাদের। সামনে তারা কীভাবে চলবে? যতই সময় যাচ্ছে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। সরকার যদি পরিবারটির দিকে মুখ তুলে তাকায় হয়তো মাসরুরের স্ত্রী ছেলে-মেয়েকে নিয়ে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারবে। 
মাসরুরের কথা জিজ্ঞেস করতেই তার বৃদ্ধ বাবা আবদুল খালেকের চোখ থেকে পানি ঝরতে শুরু করে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, মাসরুর সবার চেয়ে ভালো ছিল। পরিবারের সবার দেখভাল করত। সরকার যদি আমাদের দিকে খেয়াল করে তাহলে মাসরুরের স্ত্রী,ছেলে মেয়ের জন্য ভালো একটা কিছু করা সম্ভব। তাই এই এতিম বাচ্চাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টা সহ সকল উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা করছি।