জান্নাতীন নাঈম জীবন
পবিপ্রবি প্রতিনিধি।।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত হৃদয় তরুয়ার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের-পবিপ্রবি- শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বুধবার -১৪ আগস্ট- বিকেল ৪টার দিকে পটুয়াখালী শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় এসে নিহত হৃদয়ের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান তাঁরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়ার -২২-।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে পেয়ে হৃদয়ের বাবা রতন চন্দ্র তরুয়া, মা অর্চনা রানী ও বোন নিতু রানী কান্নায় ভেঙে পড়েন। শিক্ষকেরা হৃদয়ের মা–বাবাকে সান্ত্বনা দেন এবং তাঁদের পাশের থাকার কথা বলেন। এ সময় শিক্ষকেরা হৃদয়ের বাবা-মায়ের হাতে ফলের ঝুড়ি ও নগদ কিছু টাকা তুলে দেন। সেই সঙ্গে হৃদয়ের বোনের জন্য পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ারও আশ্বাস দেন।
পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান- প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান- অধ্যাপক আতিকুর রহমান- অধ্যাপক মো. জামাল হোসেন- অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমান- অধ্যাপক সুজাহাঙ্গীর কবীর- অধ্যাপক মামুনুর রশীদ- অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম- অধ্যাপক মো. আবদুল মালেক- অধ্যাপক আবু ইউসুফ- অধ্যাপক নেছার উদ্দিন- অধ্যাপক ড. এ বি এম সাইফুল ইসলাম- ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. আমিনুল ইসলামসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক প্রতিনিধিরা।
অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন- মেধাবী শিক্ষার্থী হৃদয় যেভাবে মারা গেছেন- এটি কারও কাম্য নয়। নিহত হৃদয়ের পরিবারের জন্য যা যা করণীয়- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তা করা হবে।