মেঃ আল আমিন মল্লিক
বেতাগী প্রতিনিধি।।
বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর করুনা গ্রামের ভাতিজার হাতে চাচার খুনের অভিযোগ উঠছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- অভিযুক্ত আসামী ভাতিজা অহিদুজ্জামান -৩২- পালানোর সময় মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে বেতাগী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। থানা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে গতকাল শুক্রবার -০৬ ডিসেম্বর- বিকেল সাড়ে ৪টায় মিষ্টি আলুর লতানো চারা বীজরোপন করাকে কেন্দ্র করে ভাতিজা অহিদুজ্জামান -৩২- এর চাচা সুলতান হাওলাদার -৬০- এর সাথে ঝগড়া বিবাদ হয়। এক পর্যায় ভাতিজা অহিদুজ্জামান ধারলো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। স্বজনরা চাচা সুলতানকে তাৎক্ষণিকভাবে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় -শেবাচিম- প্রেরণ করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে গতকাল রাত সাড়ে ৯ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নিহতের বড় ছেলে বলেন- গতকাল -৬ ডিসেম্বর- বিকেলে আসরের নামাজ শেষ করে বাড়ির উঠানে আসলেই ভাতিজা এলোপাতাড়ি পেটে কোপাতে থাকে। এতে তার বাবার পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। গামছা দিয়ে বেঁধে সাথে সাথে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে বরিশালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বলেন। বরিশাল শেবাচিমে রাত সাড়ে ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
স্থানীয়রা বলেন- অভিযুক্ত ভাতিজা অহিদুজ্জামান অনেক দিন ধরে এলাকায় অপকর্ম এর সাথে জড়িত থাকায় পলাতক ছিলো। চাচা সুলতান হাওলাদারের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো।
এব্যাপারে বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ -ওসি- এর দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা ফারুক হোসেন খান বলেন, ভাতিজা অহিদুজ্জামানকে সুবিদখালী এলাকা থেকে গতকাল (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে- তাকে বরগুনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।তার বিরুদ্ধে বেতাগী থানায় মামলা করা হয়েছে।