
সাইফুল ইসলাম, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
নোয়াখালীতে আপন ভাইয়ের দ্বারা সন্ত্রাসী হামলায় রাইসা পোল্ট্রি এন্ড এগ্রো ফার্মের মালিক ডাঃ আব্দুল জলিল স্বপ্নের ফার্ম ভেঙে তসনস করে দিলো নিজেই মায়ের পেটের ভাই আব্দুল গফুর।
আজ সকাল ৯টায় বেগমগঞ্জ উপজেলার ১নং ওয়ার্ড কাশেম চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন ডাঃ আব্দুল জলিল রাসেলের “রাইসা পোল্ট্রি এন্ড এগ্রো ফার্ম ” পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলা করে সপ্নকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।
গ্রামীণ মানুষকে স্বাবলম্বী করতে ডাঃ জলিল উদ্যোগী এই ফার্ম ভাঙ্গার মাধ্যমে একটি সপ্নের অপমৃত্যু ঘটল।
ফার্মটি ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে লসে চলা সত্ত্বেও বহু বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং তাদের পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনয়ন করে আসছেন।
চট্টগ্রাম আজিজুর রহমান হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এর প্রভাষক ডাঃ জলিল স্যার ও তার স্ত্রী হামলা অবস্থা অনুরোধ করলেন ভাই খামারটা ভাঙছেন কেন?
দয়া করে ভাঙবেন না আপনি জমি পেলে খামারসহ নিয়ে যান, কিন্তু তারপরও প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করল।
প্রতিবেদক বিস্তারিত খবর নিয়ে জানা যায়,
৪ বছরে পোল্ট্রি ব্যাবসায় ডাঃ আব্দুল জলিল অগ্রনী ব্যাংক চৌমুহনী শাখাকে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে ফার্ম লসে থাকলে ও
কোন কর্মচারীর বকেয়া বেতন পাবে না।
তারা বলেন আমাদের স্যার সময়মত আমাদের বেতন বোনাস পরিশোধ করে আসছে গত ৪বছর।
তারা আরো বলেন, লসের এই খামার গত চার বছর ধরেই স্যার চালাচ্ছেন। এই খামার পরিচালনা না করলে হয়তো জলিল স্যার আরও ভালো থাকতেন।
কর্মচারী ইলিয়াস বলেন সকালে আমরা ২জন লোক খামারটি মেরামত করা অবস্থায় আবদুল গফুর হঠাৎ আক্রমন করে মাত্র ১ঘন্টায় সব ঘর সব ভেঙে ফেললেন।
ডাঃ জলিল প্রতিবেদককে জানান পারিবারিক জায়গা জমি নিয়ে ভাইদের মাঝে কিছু সমস্যা ছিলো।
এই জন্য বেগমগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করে গত ১১নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ টায় এসআই কামাল ভাইদের মাধ্যমে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় শালিস বসে। উক্ত শালিসে আব্দুল গফুরের উশৃংখলায় পরবর্তীতে ২ পক্ষের ২ জন করে ৪ নাম নিয়ে বসার সিদ্ধান্ত হয়।
কিন্তু থানায় বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কিভাবে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর হয় এই ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন করেন। এবং এর বিচার দাবি করেন।

























