দৈনিক আজকের বাংলা ডেস্ক
বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টি পানি ধরে রাখার মতো ক্ষমতা ঢাকা শহরের নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, অপরিকল্পিতভাবে যে ঢাকা শহর গড়ে উঠেছে; বর্ষা মৌসুমে যে বৃষ্টি হয় তা ধরে রাখার ক্ষমতা শহরের নেই।
তাই বৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
গতকাল বুধবার নগরীর যাত্রাবাড়ীতে শহীদ শেখ রাসেল পার্ক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা উল্লেখ করেন।
রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাপক কর্মযজ্ঞ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের স্বল্পমেয়াদি কাজ হলো, স্তূপ আকারে যে বর্জ্য ছিল সেগুলো পরিস্কার করা, যাতে পানি নিস্কাশন ও পানি প্রবাহের সুযোগটা হয়। মধ্যমেয়াদি কিছু কার্যক্রম নিয়েছি। সেটা হলো, যেখানে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন, নর্দমাগুলোকে সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন, আধারের জায়গাটা সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন, সেসব জায়গাতে অবকাঠানো উন্নয়ন করা। এরই মাঝে আমরা দরপত্র সম্পন্ন করেছি, কাজ চলছে। প্রায় ১০৩ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম আমরা নিয়েছি। পরবর্তী সময়ে হবে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়ন। আমরা মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছি।
জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান কার্যক্রমকে স্বল্পমেয়াদি উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, বর্তমানে যে ধারণক্ষমতা আছে, যে অবকাঠামো আছে, সেখানে যেন অন্ততপক্ষে পানি যেতে পারে, নিস্কাশন হতে পারে এবং পরে তা নদীতে প্রবাহিত হতে পারে। আমরা এ পর্যন্ত যতটুকু করেছি, তাতে কিছু সুফল পাচ্ছি। কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যমেয়াদি কার্যক্রমে আমাদের সফল হতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমে আমাদের হাত দিতে হবে।
এ সময় খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থানগুলোতে কোনোভাবেই কোনো ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না- মন্তব্য করে তিনি বলেন, এসব স্থানকে আধুনিকভাবে সজ্জিত করলে মানুষ একটু উন্মুক্ত জায়গা পায়; শিশু-কিশোররা আনন্দঘনভাবে খেলাধুলা করতে পারে।
তিনি বলেন, ডিএসসিসির ১১ নম্বর ওয়ার্ডে র্যাবের উদ্যোগে খেলার মাঠে অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান। কিন্তু নগরীতে খেলার মাঠের সংকট রয়েছে। আমরা বারবার গণপূর্তকে চিঠি দিয়েছি; র্যাব কর্তৃপক্ষ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েক দফা আলাপ করেছি। খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থানগুলোতে কোনোভাবেই কোনো ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রীরও এ ব্যাপারে নির্দেশনা আছে। সেটাও আমি সবার নজরে এনেছি। আশা করব, তারা সেটা অচিরেই ছেড়ে দেবে।
এর আগে তিনি নগরীর সিআইডি অফিস সংলগ্ন শান্তিনগরে অন্তর্র্বতীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (এসটিএস) উদ্বোধন, মালিবাগ মোড় থেকে চানমারি পর্যন্ত ওয়াসার নর্দমা পরিদর্শন এবং পরে কাজী আলাউদ্দীন রোডের জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় ডিএসসিসির প্রধান
নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।