বরিশাল ব্যুরো ॥
বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পথে এক গৃহবধুকে (৩৫) গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আরিফ দেওয়ানকে শুক্রবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলার গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় উজিরপুর উপজেলার মশাং গ্রামের ভিকটিম ওই নারী বাদি হয়ে অভিযুক্ত চারজনকে আসামি করে শুক্রবার বিকেলে গৌরনদী মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলো-উপজেলার তাঁরাকুপি গ্রামের বাশার দেওয়ানের ছেলে আরিফ দেওয়ান (৩৫), কামাল গোমস্তার ছেলে আশিক গোমস্তা (৪০)সহ আরো অজ্ঞাত পরিচয়ের দুইজন।
এজাহারে ভিকটিম নারী অভিযোগ করে উল্লেখ করেন, গৌরনদীর বার্থী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসা যাওয়ার সময় তিনমাস পূর্বে আরিফ দেওয়ানের সাথে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনে মাঝে মধ্যে তাদের মধ্যে কথা হতো। গত ৩১ আগস্ট দিবাগত রাত নয়টার দিকে উজিরপুর থেকে মাহিন্দ্রাযোগে ভিকটিম নারী বোনের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে রাত পৌনে ১০টার দিকে বার্থী বাজারে নামার পর আরিফের সাথে তার দেখা হয়। আরিফ তার বসতঘর দেখানোর কথা বলে তাঁরাকুপি গ্রামের একটি টিনের ঘরে নিয়ে যায়। তখন সেখানে বসে জোরপূর্বক ভিমটিমকে ধর্ষণ করে। পরে আশিক গোমস্তাসহ তিনজনে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের ভিডিও করা হয়েছে জানিয়ে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ভিমটিমকে ধর্ষণ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আরিফ দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
তবে মামলার বাদী ভিকটিম নারী ও গ্রেপ্তারকৃত আরিফ দেওয়ানের মোবাইল ফোনে আপত্তিকর কথপকথনের একটি কল রেকর্ড ইতোমধ্যে প্রশাসনসহ গণমাধ্যম কর্মীদের মাঝে ভাইরাল হয়েছে। যাতে ওই নারী এক হাজার টাকার বিনিময়ে আরিফসহ তার সহযোগীদের সাথে এক ঘন্টা সময় কাটানোর কথা বলা হচ্ছে। এ বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন।