
মামুন মিঞা, ফরিদপুর:
ফরিদপুরে পিস্তল ঠেকিয়ে গৃহবধূর কানের স্বর্ন গহনা ছিনতাইয়ের চাঞ্চল্যকর ঘটনার মূল আসামি ও খুন, ডাকাতি, চুরি ও মাদক মামলার আসামি মো.শরীফুল ইসলাম ওরফে ডন শরীফ (৩৮) এবং তার সহযোগী মো. রায়হান মোল্লা (২৫)-কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।এ সময় তাদের কাছ থেকে ১.৫০০ কেজি গাঁজা,খেলনা পিস্তল, সুইচ গিয়ার,ক্ষুর, কাঁচি ও চুরিকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুরের গোয়ালচামটে র্যাব-১০, সিপিসি–৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান সংস্থাটির অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো.কামরুজ্জামান পিপিএম। এ সময় র্যাবের কর্মকর্তাগন ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব জানায়,গত ২১ অক্টোবর ভোরে ফরিদপুর শহরের উত্তর শোভারামপুর এলাকায় গৃহবধূ মঞ্জু রানী দাসের (৩৫) কানের স্বর্ন গয়না পিস্তল ঠেকিয়ে ছিনিয়ে নেয় দুই দুর্বৃত্ত। ঘটনাটি সিসিটিভি ফুটেজে ধারণ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরদিন কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের হলে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ,প্রযুক্তিগত নজরদারি ও সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুরের সালথা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডন শরীফ ও তার সহযোগী রায়হানকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে শনিবার সকালে খুলনার হরিণটানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাব জানায়,ডন শরীফ দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর শহর ও আশপাশের এলাকায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মহিলাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে আসছিল। তারা সাধারণত ভোরবেলা বা রাতের শেষ প্রহরে মোটরসাইকেলে এসব অপকর্ম করে দ্রুত পালিয়ে যেত। এছাড়া তারা স্থানীয়ভাবে মাদক বেচাকেনার সঙ্গেও জড়িত ছিল।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, ডন শরীফের বিরুদ্ধে ডাকাতি, খুন, চুরি ও মাদকসহ মোট ১০টি মামলা রয়েছে।
২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের ঝিলটুলীতে সংঘটিত স্টাফ নার্স অরুনিমা ভৌমিক হত্যা মামলার প্রধান আসামিও তিনি। ওই ঘটনায় ছিনতাইয়ের সময় হামলার শিকার হয়ে নার্স অরুনিমা নিহত হন।
এছাড়া চলতি বছরের আগস্টে পাবনার এক তরুণের কাছ থেকে ট্রায়াল দেওয়ার কথা বলে ইয়ামাহা আর–১৫ মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান শরীফ। পরে মোটরসাইকেলটি বিক্রি করে দেন বলে র্যাব জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. কামরুজ্জামান বলেন, “র্যাব সর্বদা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সন্ত্রাস, ছিনতাই, মাদক, অবৈধ অস্ত্র ও সংগঠিত অপরাধ দমনে বদ্ধপরিকর। জনগণের সহযোগিতা ও তথ্য প্রদানই র্যাবের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করছে। জনগণের নিরাপত্তাই র্যাবের অঙ্গীকার।”






















