পাবনা প্রতিনিধ।।
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরকে কেন্দ্র করে চাঁদভা ইউনিয়ন বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের মুমুর্ষ অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান -৪৫- বেরুয়ান গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে বুলবুল হোসেন -৪০-। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার -২৮ অক্টোবর- সকাল সোয়া আটটার দিকে হাঁপানীয়া মজিবর মোড়ে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- গত ২৭ অক্টোবর উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের খালেকের মায়ের জানাজা নামাজে আসেন চাঁদভা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বর আব্দুল হান্নান।
এসময় চাঁদভা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান- বিএনপির নেতা মিন্টু গং সড়াবাড়িয়া বাজারে বিএনপির নেতা ও সাবেক মেম্বর হান্নানকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ ও মারপিটের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
এরই জের ধরে সোমবার -২৮ অক্টোবর- সকাল সোয়া আটটার দিকে জাহিদ হাসান হাঁপানিয়া মজিবর মোড়ে মজনু মোল্লার মুদিখানা দোকানে ভুষি কিনতে আসেন। এসময় সবুজ সিএনজি যোগে হেলমেট ও মুখোশ পরিহিত ১৫-২০ জন দেশীয় ধারালো অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জাহিদ হাসানের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করতে থাকে। তার বন্ধু বুলবুল হোসেন তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় মজনুর দোকানের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় দুই জনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
দোকানদার মজনু মোল্লা বলেন- সকাল সোয়া আটটার দিকে জাহিদ আমার কাছ থেকে চার কেজি ভূষি কেনার জন্য আসে। হঠাৎ সিএনজি করে ১৫-২০ মুখোশ ও হেলমেট পরে জাহিদকে ধাওয়া করলে সে বাঁচার জন্য আমার দোকানের ভিতরে ডুকে পড়ে।
তারা জোরপূর্বক দোকানের ভিতরে ডুকে এলো পাতাড়ি ভাবে জাহিদকে মারপিট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে।
জাহিদের বন্ধু বুলবুল তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
তবে ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে চাঁদভা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেম্বর হান্নান বলেন, গত ২৭ অক্টোবর আমি একটি জানাজা নামাজে যাওয়ার পথে মিন্টু- জাহিদ গং আমাকে সড়াবাড়িয়া বাজারে গতিরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ ও মারপিটে ভয়ভীতি দেখায়।
পরে আজম সহ বাজারের বেশ কয়েকজন এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরের দিন সকালে জাহিদ- বুলবুলকেকে মজিবর মোড়ে কে বা কাহারা মারধর করেছে এটা আমার জানা নেই।
আটঘরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ -ওসি- শফিকুজ্জামান সরকার বলেন- শুনেছি হাঁপানিয়া মজিবর মোড়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ এবিষয়ে অভিযোগ করেননি।