মোঃ মাছুম আকবরী আকাশ
পটিয়া- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়ার ১০ নং ধলঘাট ইউনিয়নের মরিয়ম এগ্রো ফার্মে বড় ধরনের গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ১৮ নভেম্বর রাত ৩টার দিকে দস্তিদার পাড়ায় অবস্থিত খাজা শাহের দান বাক্সের পাশে এই ডাকাতি হয়।
ফার্মের পরিচালক মোঃ তৌহিদুল আলম জানান- ডাকাতরা ফার্ম থেকে ২১টি গরু নিয়ে যায়, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা। তিনি জানান- ভোর ৬টায় তিনি ফার্মে এসে দেখেন- বাহিরের দরজা বন্ধ এবং ভেতরে তিনজন প্রহরী বাঁধা অবস্থায় রয়েছে। প্রহরীদের মুক্ত করলে তারা জানান- রাতের বেলায় ডাকাতি হয়েছে।
প্রহরীদের ভাষ্য-ফার্মের প্রহরী সালাউদ্দিন -নোয়াখালী- দক্ষিণ হাতিয়া- জানান- রাতের বেলা ১২ জন ডাকাত দল এসে তার হাত-পা বেঁধে মুখে লাল গামছা দিয়ে ঢেকে দেয়। ডাকাতদের হাতে অস্ত্র ও ছুরি ছিল। তারা হুমকি দেয় বেশি কথা বললে তাকে হত্যা করা হবে। ডাকাতদের বয়স ২৩ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বলে তিনি জানান।
অপর প্রহরী এমরান উদ্দিন রহিম (হাবিলাসদ্বীপ- পাচুরিয়া- চরকানা- জানান- ডাকাতরা প্রথমেই বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এরপর তার হাত বেঁধে গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দেয়। তিনি আরও বলেন- ডাকাতরা লুঙ্গি পরা অবস্থায় ছিল এবং তাদের কয়েকজন সুঁইটার পরিহিত ছিল।
এর এক সপ্তাহ আগে ১২ নভেম্বর রাতে পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপ গ্রামে আরেকটি খামারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে ১৯টি গরু লুট করা হয়। এই ঘটনায় খামারের লোকজনকেও বেঁধে রাখা হয়।
১৮ নভেম্বরের ঘটনায় পটিয়া থানার ওসি জাহেদ নূর বলেন- খামারটি এত বড় হওয়া সত্ত্বেও কোনো সিসি ক্যামেরা বা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। তদন্ত চলছে।
তার আগে- বারইকাড়া এলাকার দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার মুখতার শাহকে বহদ্দারহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এই ডাকাতির সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা তদন্তাধীন রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে- সাম্প্রতিক ডাকাতির পর এলাকায় টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।