
ইবি প্রতিনিধি।।
ঈদের ছুটির মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থেকে ভ্যানযোগে গাছের গুড়ি ও খড়ি পাচারের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এস্টেট শাখার কর্মচারী ফরিদুল ইসলামের প্রটোকলে এসব গুড়ি পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। গত ১৪ জুন ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্তব্যরত আনসারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার দিন আনুমানিক ভোর পাঁচটার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক দিয়ে ৭-৮টি ভ্যানযোগে গাছের গুড়ি ও খড়ি পাচার হয়। এসময় আনসার সদস্যরা ভ্যান বের হতে বাঁধা দিলে ওই নিরাপত্তাকর্মচারী নিজে গিয়ে ‘ভ্যান পাসের’ ব্যবস্থা করেন। ভ্যানগুলো বের হওয়ার সময় অভিযুক্ত কর্মচারী বাইকযোগে টহলের মাধ্যমে ভ্যানগুলোকে প্রটোকল দিচ্ছিলেন এমন একটি ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি বাইক নিয়ে ফটকের বাইরে ভেতরে আসা যাওয়া করছিলেন। এসময় একে একে কয়েকটি ভ্যান বের হয়। সেগুলোতে কয়েকটিতে বড় গাছের গুড়ি আর কয়েকটিতে ছোট-বড় খড়ি ছিল। এদিকে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিশ^বিদ্যালয়ের লেকের পানি জমিতে সেচের অভিযোগও আছে।
তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে নিরাপত্তা কর্মচারী ফরিদ বলেন, আমি একটি ভ্যানে কিছু খড়ি নিয়ে যাচ্ছিলাম। সিকিউরিটি প্রধান (আব্দুস সালাম সেলিম) স্যারের সঙ্গে কথা বলেই নিয়েছিলাম। পরে বিশ^বিদ্যালয়ের এক সিনিয়র কর্মচারী বাঁধা দিলে সেগুলো আমি আনসার ক্যাম্পের সামনে রেখে আসি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মালি আলতাফ হোসেন বলেন, ঈদের ছুটির আগে বিভিন্ন জায়গায় ১০০-১৫০ মণের মত খড়ি কেটে রেখে ক্যাম্পাস থেকে গিয়েছিলাম। ক্যাম্পাসে ফিরে দেখি একটা খড়িও নেই।
প্রধান নিরাপত্তা কর্মাকর্তা আব্দুস সালাম সেলিম বলেন, ফরিদ আমাকে বলেছিল কিছু ছোট-খাটো খড়ি আর পাতা নিয়ে যাবে। তাই আমি বাঁধা দেইনি। যখন শুনলাম ৩ ভ্যান খড়ি নিয়ে গিয়েছে আমি তাকে সব ফেরত দিয়ে যেতে বলেছি। এস্টেট প্রধানকেও বিষয়টি জানিয়েছিলাম।
এস্টেট অফিসের প্রধান শামছুল ইসলাম বলেন, ছোট-খাটো ডালপালা নিয়ে গেছে শুনেছিলাম। এ ব্যাপারে আমি পুরোপুরি জানিনা। ক্যাম্পাসে গিয়ে খোঁজ নিব।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমি বিষয়টা শোনার সাথে সাথে সিকিউরিটি ইনচার্জকে বলেছি। বিষয়টা জানাজানি হওয়ার আগেই সবকিছু ফেরত দিতে বলেছি।

























