
অরবিন্দ রায় স্টাফ রিপোর্টার,
নরসিংদীর শিবপুরে কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের বিল জালিয়াতির মাধ্যমে ৫২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় (পিআইও) অফিসের দুই কর্মচারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে । সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলা কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়।
এ ঘটনায় শিবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসাইন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শিবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের কার্য সহকারী (প্রজেক্ট) আরিফুল ইসলাম তুহিন (৩৫) ও পিয়ন (আউটসোর্সিং) আশিক ভূইয়া (২৫)। তুহিন শিবপুর উপজেলা সদরের মোঃ হোসেন আলীর ছেলে এবং আশিক ভূইয়া একই উপজেলার খড়িয়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।
শিবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, শিবপুর উপজেলার পিআইও অফিস থেকে গত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের ১৯১টি বিল হিসাবরক্ষণ অফিসে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু বাজেট না থাকায় এর মধ্যে ৮১টি বিল গত ২৬ জুন তারিখে বাউন্স হয়। পরে বিষয়টি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) এর দৃষ্টিগোচর হলে তারা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে গোপনে অনুসন্ধান চালায়।
অনুসন্ধানে সিসিটিভি ফুটেজসহ প্রাথমিকভাবে পিআইও অফিসের ওই দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলনের প্রমাণ মেলে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে ৮১টি বিলের টাকা উত্তোলন করে নিজস্ব একাউন্টে জমা করেছিল।
এসব তথ্য শিবপুর উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনকে উপস্থাপন করা হলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সোমবার রাত সাড়ে ১২ টায় কার্যালয় থেকে শিবপুর থানা পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেন। তারা কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের আত্মসাৎ করা মোট ৫২ লাখ ৭৮ হাজার টাকার মধ্যে ৫২ লাখ টাকা পুলিশের কাছে জমা দেয়।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসাইন গনমাধ্যম কে জানান , পিআইও এর অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৫২ লাখ টাকাও জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনার মূল হোতা তুহিন। অভিযোগটি দুদকে প্রেরণ করে, আটকৃতদের মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।