
অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টার
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগরে শান্তা ইসলাম -২৪- নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ হত্যার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও মামলার প্রধান আসামি সোহেলসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে তারা মানববন্ধন ও রায়পুরা থানা ঘেরাও করে।
রোববার দুপুরে রায়পুরা পৌরসভা মাঠে এ মানববন্ধন করা হয়। পরে পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিলটি রায়পুরা বাজার হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রায়পুরা থানা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে থানা ঘেরাও করে অফিসার ইনচার্জের সামনে আসামী গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
মানববন্ধনে নিহতের স্বামী ও স্বজনরা বলেন, শান্তা ইসলাম ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে তাকে সন্ত্রাসী সোহেল বাহিনীরা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। ঘটনার ৯ দিন পার হয়ে গেলেও সোহেলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি প্রশাসন। সে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আদিল মাহমুদ গনমাধ্যম কে জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি শান্তাকে হত্যা করেছে সোহেল। তাকে গ্রেপ্তার করতে রায়পুরা থানা পুলিশের পাশাপাশি র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন -র্যাব- ও গোয়েন্দা শাখা -ডিবি- সদস্যরা তৎপর রয়েছে। এছাড়াও রায়পুরা থানার ১০ জন এসআই ও ৬ জন এএসআইদের নিয়ে একটি স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর রায়পুরার চরাঞ্চলের শ্রীনগর ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলার সময় গুলিতে নিহত হয় শান্তা ইসলাম। সে ওই এলাকার শাকিল খানের স্ত্রী। সোহেল মিয়াকে প্রধান করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা আহসান উল্লাহ।