
অরবিন্দ রায়
স্টাফ রিপোর্টার।।
নরসিংদীতে কাঁচা মরিচ ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম বেশি থাকায় অনেক ব্যবসায়ী দোকানে কাঁচা মরিচ রাখছেন না। কারন কাঁচা মরিচ ২/৩ দিনের মধ্যে বিক্রি না হলে পঁচে যায়। কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পাবার কারনে অনেকই কাঁচা মরিচ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ঈদের আগে কাঁচা মরিচ ছিল ৩০০ – ৩৫০ টাকা কেজি। প্রায় এক সপ্তাহ বৃষ্টি থাকায় বিপদে পড়েছে দিনমজুর শ্রেণির মানুষ।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি। তার উপর আবার ৮০০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ কেনার সামর্থ্য তাদের নেই।
দেশে বেড়েই চলছে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সবজির বাজারসহ মাছ-মাংস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম লাগামহীন ঊর্ধ্বমুখী। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা বেড়েছে। কাঁচাবাজার যেন সাধারণ মানুষের হাতের বাইরে চলে গেছে । গত কয়েকদিনের তুলনায় বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে।
বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছ-মাংস-সবজিসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তি থাকায় কেনাকাটায় হিমশিম খাচ্ছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
বাজারে বেড়েছে চাল, মুরগি, ডিম, কাঁচামরিচ ও বিভিন্ন সবজির দাম। কয়েকদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে সরু ও মোটা চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২৫ টাকা। প্রতি হালি ডিমে বেড়েছে ২ টাকা। কাঁচামরিচ প্রতি কেজিতে ৪০ টাকা মাছের বাজারও চড়া।
বেশ কয়েকটি বাজারে এমন মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। বেগুন প্রতি কেজি ৭০- ৮০ টাকা, টমেটো ১০০- ১২০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, ধনে পাতা ৩২০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ – ৫০ টাকা, চিচিঙা ৬০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১২০ টাকা পিস মাঝারি, ও চাল কুমড়া ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আলু প্রতি কেজি ৩৫ – ৪০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশি আদা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, চীনা আদা ২৪০ টাকা, দেশি রসুন ১৬০ টাকা, চীনা রসুন ১৯০ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ ৭০ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৭৫ টাকা, খোলা চিনি ১৪০ ১৫০ টাকা, প্যাকেট চিনি ১৫৫- ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা দানার মসুর ডাল ১০৫ টাকা ও ছোট দানার মসুর ডাল ১৪০ টাকা কেজি নেওয়া হচ্ছে।
বাজারে চালের দামও বেড়েছে। খুচরা বাজারে সরু মিনিকেট চাল ২ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৮৫ টাকা। একইভাবে ২-৩ টাকা বেড়ে ভালো মানের বিআর-২৮ চাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা।
মুরগির ব্রয়লার ১৬০ – ৭০ টাকা ও কক বা লেয়ার ২৪০ – ২৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিমের হালিতে ২ টাকা বেড়েছে। প্রতি হালি ডিম এখন ৫০ টাকা। গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তীত রয়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়।
বাজারে মাছের দামও চড়া। মাঝারি ইলিশ ১০০০ থেকে ১২০০, বড় রুই ও কাতল ৪৬০-৫১০ টাকা, বড় তেলা পিয়া মাছ ২২০ টাকা, চাষের শিং মাছ প্রতিা কেজি ৭৫০ -৯৫০ টাকা, কৈ ৩০০ -৪৭০, পাঙাশ ২০০-২২০ টাকা, দেশি শিং ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ১০০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রঘুনাথপুরপুর বাজারের ব্যবসায়ী উৎপল রক্ষিত জানান, দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
দ্রব্য মূল্যের বৃদ্ধি পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাবন করছেন দিন মজুররা।