স্টাফ রিপোর্টার।।
রাজধানী ঢাকায় রাজউক মিলনায়তনের ভিআইপি অডিটোরিয়ামে গত ২১ ডিসেম্বর ২০২৪- শনিবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার সম্পাদক- বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার বহুমুখী শিল্পস্রষ্টা ড. খান আসাদুজ্জামান পিভিএমএস-এর একক সঙ্গীত সন্ধ্যা।
সারাবিশ্বের বাংলাভাষী মানুষের মুখপত্র জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার গৌরবোজ্জ্বল ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসবের দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী পর্ব শেষে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত গৌরবোজ্জ্বল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সূচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ফিজিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডিভিশন প্ল্যানিং কমিশনের মাননীয় সচিব -সদস্য- মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এবং সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মাননীয় সচিব ড. মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ এফসিএমএ। এছাড়াও উক্ত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ- সাংবাদিক- কবি- সাহিত্যিক- শিল্পী ও শুভাকাঙ্ক্ষীগণ উপস্থিত ছিলেন।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শেষে যখন আস্তে আস্তে বিকেল গড়িয়ে আসে অর্থাৎ শীতের সন্ধ্যায় উষ্ণতা ছড়িয়ে সুরের মূর্ছনায় শুরু হয় ড. খান আসাদুজ্জামান পিভিএমএস-এর একক সঙ্গীত পরিবেশনা। বিশিষ্ট সংগীত সাধক, গীতিকার ও সুরকার আবু জাফরের কথা ও সুর করা ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গান দিয়ে আয়োজনটি শুরু হয়। চমৎকার গায়কী দিয়ে ড. খান আসাদুজ্জামান একে একে অনুষ্ঠানে ১৭টি সংগীত পরিবেশন করেন। যার মধ্যে ৩টি গান তার নিজের কথা ও সুর করা। এটা পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে এক বিরল ঘটনা। এর আগে কোনো পত্রিকা বা টেলিভিশনের সম্পাদক এমন একক আয়োজন করেছেন বলে মনে হয় না।
ড. খান আসাদুজ্জামান এরপর একে একে গেয়েছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিল্পীর গান, সিনেমার গান। তিনি যে গানগুলি গেয়েছেন- ‘অলিরও কথা শুনে বকুল হাসে’, ‘আমার এই জীবন মরণ শুধুই তোমার’, ‘খোপার ঐ গোলাপ দিয়ে’, ‘কী মধুর মা, মা ডাকখানি’, ‘ তুমি কী কেবলই ছবি’, ‘অনেক জমানো ব্যথা বেদনা’, ‘এক বৈশাখে দেখা হলো দুজনার’, ‘নষ্ট করলে কষ্ট হয়’, ‘যখন রাত্রি নিঝুম, নেই চোখে ঘুম’, ‘তুমি তো আমায় ভুলে গেছো’, ‘এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায়’, ‘সোনার আখঁরে লেখা ভুলে যাওয়া নাম’, ‘নীলাঞ্জনা, ঐ নীল নীল চোখে’, ‘পৃথিবীতে সুখ বলে যদি কিছু’, ‘মাটিরও পিঞ্জিরার মাঝে’, ‘বন্ধু চির বন্ধন এক’।
এই ১৭টি গানের মধ্যে ‘কী মধুর মা, মা ডাকখানি’, ‘নষ্ট করলে কষ্ট হয়’ ও ‘বন্ধু চির বন্ধন এক’ এ ৩টি গানের গীতিকার ও সুরকার তিনি।
প্রমিত উচ্চারণে ড. খান আসাদুজ্জামান-এর সুললিত ও দরাজ কন্ঠে গাওয়া গানগুলি উপস্থিত শ্রোতাদের মনে দারুণ সাড়া ফেলে। শ্রোতাগণ তার গানের সাথে নচে-গেয়ে আয়োজনটি উপভোগ করেন। কখনো কখনো হাততালি দিয়ে অডিটোরিয়ামে আনন্দের ঝড় তুলে ফেলে। এছাড়া মায়ের গান শুনে কয়েকজনের চোখে পানিও দেখা গেছে। অনেকে আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদেও ফেলেন।
সবশেষ রাত নয়টায় তার লেখা সাংবাদিকের সাতকাহন কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে এক অপূর্ব মুগ্ধতা নিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্ত হয় এবং ড. খান আসাদুজ্জামান পিভিএমএস উপস্থিত সকল দর্শক-শ্রোতাদের ধন্যবাদ জানা