প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৯ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
এই নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৭০ জন। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন আটজন।
শনিবার দুপুর ১২টায় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে লাইভ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজন মৃত্যুবরণ করেছেন। যার মধ্যে একজন গত ২৪ ঘণ্টায় যারা শনাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন। আরেকজন যিনি আগেই শনাক্ত হয়েছিলেন। এই দুজন যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের বয়স একজনের ৯০ বছর, আরেকজনের বয়স ৬৮ বছর।’
মৃতদের একজন ঢাকার বাইরে, আরেকজন ঢাকায় জানিয়ে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘তাদের দুজনের ক্ষেত্রেই বয়স ষাটোর্ধ্ব, আগেই বলেছিলাম বয়স কিছুটা ঝুঁকি বাড়ায়। পাশাপাশি উনাদের অন্যান্য অসুখ ছিল। একজনের হৃদরোগ ছিল, আরেকজনের স্ট্রোকের ইতিহাস ছিল।’
ব্রিফিংয়ে কোভিড-১৯ রোগে আরও ৯ জন সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক। তিনি বলেন, ‘আক্রান্তদের মধ্যে আটজনের নমুনা আইইডিসিআরে পরীক্ষা করে শনাক্ত করা হয়েছে। একজনের নমুনা ঢাকার বাইরে পরীক্ষা করা হয়েছে।’
এই ৯ জনের মধ্যে পাঁচজনের কন্টাক্ট ইতিহাস রয়েছে জানিয়ে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘তার মানে হচ্ছে পাঁচজন ইতিমধ্যে শনাক্ত হয়েছে এমন রোগীর সংস্পর্শে বা পরিবারের সদস্যের সংস্পর্শে এসেছেন। দুজন যারা বিদেশ থেকে এসেছিলেন এ রকম সংস্পর্শে আছেন। আর বাকি দুজনের ক্ষেত্রে আমরা এখনো তথ্য সংগ্রহ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আক্রান্তদের মধ্যে দুজন শিশু রয়েছে, যাদের বয়স ১০ বছরের নিচে। তিনজনের বয়স ২০-৩০ বছর বয়সের মধ্যে। দুজনের বয়স ৫০-৬০ এর মধ্যে। একজনের বয়স ৬০-৭০ এবং একজনের বয়স ৯০ বছর।’
এ ছাড়া আরও চারজন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। এই নিয়ে মোট ৩০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে জানান সেব্রিনা ফ্লোরা।