মোঃ আবু তৈয়ব
হাটহাজারী- চট্টগ্রাম- প্রতিনিধি।।
মাগো! হয়তো আর হবে না ঘরে ফেরা
আজ আমিও হতে পারি সে পথের পথিক
যে পথে চলে গেছে আবু সাঈদ- মুগ্ধরা।
আমার মরণের বিনিময়ে
যদি অমর হয় লাল সবুজের পতাকা-
কোটার ফাঁদে ভাগ্য বিড়ম্বিত অজস্র মেধাবী তরুণের
যদি ঘুরে যায় জীবনের চাকা।
বুকের জমিনে চেপে থাকা অসাম্যতার জগদ্দল পাথর
যদি ছিটকে পড়ে সহসা-
হায়েনাদের পুকুর চুরির নগ্ন নৃত্যে
যদি নেমে আসে অমাবস্যার তমসা।
মানুষের মুখোশ পরিহিত সব অমানুষগুলির মুখোশ যদি
খসে খসে পড়ে শীতের দিনে বৃক্ষের পত্র পতনের মতো।
ত্রিসীমানা জুড়ে থাকা ক্ষুধার্ত হিংস্র শকুনির ভয়ংকর পীড়ন-
যদি নিষ্প্রভ হয় কেরোসিন ফুরালে চেরাগ নিভে যায় যেমন।
আমার পাহাড়,আমার সমতল, আমার সমুদ্র -নদী
যদি বয়ে চলতে পারে আপন গতিতে নিরবধি
তাতে কি এমন ক্ষতি
আমার অকালে ঝরে পরাতে?
মাগো! মুক্তির মিছিলে
আমার মতোই সহস্র অরুণ- তরুণ যারা চলে গেছে অস্তাচলে-
তাদের মতো আমাকেও আর পাবে না ভবের কোলাহলে।
হয়তো,খুঁজে পাবে না ইতিহাসের পাতায়-
জেনে রেখো মা!
আমি বেঁচে রবো নীল আকাশের তারায়।
বেঁচে রবো- স্বজাতির হৃদয়ের মনিকোঠায়।
তুমি আমাকে খুঁজে পাবে
দেশপ্রেমী কোন কবির আগামী দিনের কবিতায়
কিংবা দেশের গানে- কোন শিল্পীর দরদী গলায়।
মাগো! আমি নির্মোহ
কেবল দেশের তরেই বিলিয়েছি প্রাণ-
নিশ্চয়ই পরম করুণাময়
দানিবে আমায় শহীদী সম্মান।
জানি আমার শোকে তোমার নেত্র নালি
হবে সাহারা মরুভূমি-
বেদনার প্রখর উত্তাপে
চৌচির হবে তোমার বুকের জমি।
ভেবোনা মা-
হবে অচিরেই দেখা তোমার সনে-
চির শান্তির অভয়ারণ্যের নয়নাভিরাম উদ্যানে।
বঞ্চিত যেন না হই- সে পরম সৌভাগ্য হতে
এ দোয়াই চাই-
মাগো!
তোমার নিত্য দিনের প্রার্থনায়।