Dhaka , Sunday, 23 February 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
দুই ওসির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, আসামি লাপাত্তা রূপগঞ্জে বিএনপির ৩১দফা বাস্তবায়নে সমাবেশ মানসিক প্রতিবন্ধী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক-ক্লাস না নিলেও উঠছে বেতন রূপগঞ্জে যুবদলের কার্যালয় উদ্বোধন   নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব রোধে প্রচারণা রমজানে এলেই নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, আমরা উদ্বিগ্ন প্রেসক্লাব পাইকগাছার জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  নীলফামারীতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত নরসিংদীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত অর্ধ শতাধিক নোয়াখালীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সামাই তৈরী করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ফরিদুলের ৬ মিথ্যা মামলা, পুলিশী ষড়যন্ত্র আটকে আছে পাসপোর্ট মোংলা বন্দরে আমদানিকরা সেই চিঁটাগুড় রেলযোগে বাঘাবাড়িতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বাউল দল নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তব অর্পণ সংস্কারের গল্প আমাদেরকে বলার দরকার নেই ভাষা শহীদদের স্মরণে ঈদগাহ প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন আজ ইসলামপুর ইউনিয়ন যুবদলের পক্ষ থেকে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত ২১ ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে বর্নাঢ্য আয়োজন মীর নোয়াবুল হক মেমোরিয়াল হাই স্কুলের চরভদ্রাসনে ২১শে ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে উপজেলা শহীদ মিনারে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদদের স্মরণে পুষ্পক অর্পণ একুশে পাঠচক্রের নিয়মিত আসর অনুষ্ঠিত  ফরিদপুরে পৃথক অভিযানে ১৫৩ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০২  মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩  সাঙ্গু বিজ্রপাড়া কাটগড় এলাকায় মাদকসম্রাজ্ঞী ভূট্টোনি ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ অর্থসহ গ্রেপ্তার নরসিংদীতে মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন গাজীপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন  নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার নামে স্লোগান দিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন মণিরামপুরে যুবলীগের আহবায়কসহ দুই কাউন্সিলর কারাগারে একুশে ফেব্রুয়ারিতে মীর নোয়াবুল হক মেমোরিয়াল হাইস্কুলের পুষ্পমাল্য  অর্পন মোংলায় ১৭ বছর পর শহিদ দিবসে পৃথক পৃথক পুষ্পস্তবক অর্পণ বিএনপির ভাষা শহীদদের প্রতি মণিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি নালিতাবাড়ীতে একুশের প্রথম প্রহরে পালিত হলো প্রভাতফেরি 

দুই ওসির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, আসামি লাপাত্তা

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 08:18:48 pm, Saturday, 22 February 2025
  • 1 বার পড়া হয়েছে

দুই ওসির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, আসামি লাপাত্তা

জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

  

ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। ভূল্লী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ওসি- সাইফুল ইসলাম সরকার দাবি করছেন, তিনি আটক এক আসামিকে সদর থানায় হস্তান্তর করেছেন। অথচ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ওসি- শহিদুর রহমান বলছেন, তারা এমন কোনো আসামি গ্রহণ করেননি। এ ঘটনায় পুলিশের স্বচ্ছতা ও দায়িত্ব পালন নিয়ে জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার -২০ ফেব্রুয়ারি- দুপুর ১টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে আটক করে ভূল্লী থানা পুলিশ।

ভূল্লী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সরকার শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানান, ওই দিন দুপুর ২টায় আটক ব্যক্তিকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কিন্তু -২১ ফেব্রুয়ারি- রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভূল্লী থানা আমাদের কাছে কোনো আসামি হস্তান্তর করেনি। আমরা এমন কাউকে আটকও করিনি।

ভুল্লী থানার ওসির কথা বলতেই তিনি আরিফ নামে এক ব্যক্তি দেখিয়ে দেন কথা বলার জন্য। আরিফ কে এমন প্রশ্ন করাতেই তিনি উগ্র আচরণ করে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।

এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে- তাহলে আসামি গেল কোথায়?

এ বিষয়ে জানতে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম এর সঙ্গে রাতেই যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি অবগত রয়েছি। ওসির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখছি। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি। পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামের রহস্যজনক নীরবতা।

গোপন সূত্রের দাবি, মোহাম্মদ আলীকে আসলে সদর থানায় নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাকে গোপনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও সদর থানায় এমন অভিযোগ উঠেছিল।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক দিন ধরেই শুনছি, টাকা দিলেই আসামি ছাড়া যায়। এর আগেও এমন এক ঘটনায় এক এএসআইকে বদলি করা হয়েছিল।

পুলিশের এমন ভূমিকা আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করছে। অনেকেরই প্রশ্ন, আইনের শাসন কি কেবল দুর্বলদের জন্য? প্রভাবশালী হলে কি পুলিশও অসহায় হয়ে পড়ে?

এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত- এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যথায়, পুলিশের প্রতি জনসাধারণের আস্থা আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

দুই ওসির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, আসামি লাপাত্তা

দুই ওসির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, আসামি লাপাত্তা

আপডেট সময় : 08:18:48 pm, Saturday, 22 February 2025

জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

  

ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। ভূল্লী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ওসি- সাইফুল ইসলাম সরকার দাবি করছেন, তিনি আটক এক আসামিকে সদর থানায় হস্তান্তর করেছেন। অথচ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ওসি- শহিদুর রহমান বলছেন, তারা এমন কোনো আসামি গ্রহণ করেননি। এ ঘটনায় পুলিশের স্বচ্ছতা ও দায়িত্ব পালন নিয়ে জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার -২০ ফেব্রুয়ারি- দুপুর ১টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে আটক করে ভূল্লী থানা পুলিশ।

ভূল্লী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সরকার শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানান, ওই দিন দুপুর ২টায় আটক ব্যক্তিকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কিন্তু -২১ ফেব্রুয়ারি- রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভূল্লী থানা আমাদের কাছে কোনো আসামি হস্তান্তর করেনি। আমরা এমন কাউকে আটকও করিনি।

ভুল্লী থানার ওসির কথা বলতেই তিনি আরিফ নামে এক ব্যক্তি দেখিয়ে দেন কথা বলার জন্য। আরিফ কে এমন প্রশ্ন করাতেই তিনি উগ্র আচরণ করে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।

এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে- তাহলে আসামি গেল কোথায়?

এ বিষয়ে জানতে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম এর সঙ্গে রাতেই যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি অবগত রয়েছি। ওসির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখছি। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি। পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামের রহস্যজনক নীরবতা।

গোপন সূত্রের দাবি, মোহাম্মদ আলীকে আসলে সদর থানায় নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাকে গোপনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও সদর থানায় এমন অভিযোগ উঠেছিল।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক দিন ধরেই শুনছি, টাকা দিলেই আসামি ছাড়া যায়। এর আগেও এমন এক ঘটনায় এক এএসআইকে বদলি করা হয়েছিল।

পুলিশের এমন ভূমিকা আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করছে। অনেকেরই প্রশ্ন, আইনের শাসন কি কেবল দুর্বলদের জন্য? প্রভাবশালী হলে কি পুলিশও অসহায় হয়ে পড়ে?

এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত- এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যথায়, পুলিশের প্রতি জনসাধারণের আস্থা আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।