
তিতাস(কুমিল্লা)প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার ক্ষোভে আল-আমিনকে (২২) নামের এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছে আহত যুবকের পরিবারের।ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাত আনুমানিক ৭ টার দিকে উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের উত্তর মানিক নগর গ্রামের এরশাদ মিয়ার বাড়ির সামনে।এসময় আহত যুবকের স্বজনরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আল-আমিনকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত যুবক আল-আমিন উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের কালাচান্দকান্দি গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আল-আমিনসহ ৩০/৪০জন যুবক পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর বটতলী মাঠ থেকে ফুটবল খেলা শেষে পিকআপ যোগে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের খানেবাড়ি গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছালে কালাচান্দকান্দি গ্রামের হেলাল,জাহাঙ্গীর গং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আগে থেকে ওতপেতে থাকা সংঘবদ্ধ দলটি আল-আমিনের পথরোধ করে।এসময় আল-আমিন নিজেকে আত্মরক্ষার জন্য দৌড়ে উত্তর মানিক নগর এরশাদ মিয়ার বাড়িতে পৌঁছলে ওই খানেই সংঘবদ্ধ দলটি তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়।দক্ষিণ মানিক নগর গ্রামের মজিবুর বলেন,আমরা কাউকে চিনিনা, দেখলাম ২০/৩০জন ছেলে জাহাপুর বটতলী মাঠ থেকে ফুটবল খেলা দেখে পিকআপ দিয়ে আসছে এমন সময় স্কুলের সামনে এসে গাড়িটি থামলে গাড়িতে থাকা সবায় নেমে এদিক সেদিক দৌড়ে চলে যায়। শুধু একজনকে কয়েকজনে দৌড়াইয়া উত্তর দিকে নিয়ে যেতে দেখলাম।পরে শুনি কালাচান্দকান্দি গ্রামের একজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাত ও পা ভেঙ্গে ফেলছে।আহত আল-আমিনের বাবা শহিদ মিয়া বলেন, ছেলে আল-আমিন জাহাপুর থেকে ফুটবল খেলা দেখে আসার পথে পূর্ব শত্রুতার ক্ষোভেই পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হেলাল ও জাহাঙ্গীর গং হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ী কুপিয়েছে।এদিকে হেলাল ঘটনার সাথে জড়িত না অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন ঘটনার সময় আমি বাহার চেয়ারম্যানের সাথে বাতাকান্দি ছিলাম।এবিষয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো.ইব্রাহিম সরকার বলেন, ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। তবে যারাই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।তারা অপরাধ করেছে। আমি এই ঘটনার ন্যায় বিচার চাই।তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, কলাকান্দিতে একজনকে কুপিয়েছে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি এবং আহত যুবককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।