
ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ -ট্র্যাব – কর্তৃক আয়োজিত ২৬ তম ট্র্যাব এওয়ার্ড এ সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য জনপ্রিয় সাংবাদিক ও আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি ভূষিত হয়েছেন।
গতকাল হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও-এ ২৬তম ট্র্যাব অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন কমিউনিকেশন অব বাংলাদেশ -কব- এর চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম ফারুক মজনু।অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ -ট্র্যাব- এর মুখপাত্র ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু আবিদ।
তিনি বলেন, “আজ আমাদের সংগঠন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরাদের সম্মানিত করছে। আমাদের অনুষ্ঠান সফল করার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে মোঃ গোলাম ফারুক মজনু’ এর। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। এছাড়াও যারা আমাদের দাওয়াত গ্রহন করে উপস্থিত হয়েছেন তাদের সকলকে জানাই অভিবাদন। মনোনীত করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছি। যোগ্য মানুষদের সম্মান জানানোটা আমাদের দায়িত্ব।
২৬ তম ট্র্যাব এওয়ার্ড গ্রহনের পর জাহিদুল করিম কচি বলেন, “প্রতিটা এওয়ার্ড ই সম্মান ও গৌরবের। সম্মাননা কাজের অগ্রগতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ৩০ বছর ধরে গণমাধ্যম উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে ট্র্যাব। তারই ধারাবাহিকতায় ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তারা আয়োজন করে ট্র্যাব এওয়ার্ড এর। ২৬ তম ট্র্যাব এওয়ার্ড পেয়ে সত্যি ই নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। আমি ধন্যবাদ দিতে চাই সংগঠনের মুখপাত্র ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু আবিদ’কে। নিরপেক্ষতা বজায় রেখে যোগ্য মানুষগুলোকে বেছে নেয়ার পেছনে তার নিরলস পরিশ্রম প্রশংসার দাবিদার। “
উক্ত অনুষ্ঠানে একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা ড.সুকোমল বড়ুয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ’র সম্পাদক হাসান হাফিজ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন -বিএফইউজে- সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এরফানুল হক নাহিদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি -ডিআরইউ- সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি -বাচসাস- সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ, জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগমসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক এবং শোবিজ জগতের বিশিষ্ট তারকারা উপস্থিত ছিলেন।
জাহিদুল করিম কচি বিগত ১৭ বছর ধরে সীমাহীন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কয়েক দফায় চাকরী হারিয়েছেন। এরপরও তিনি আপোষ করেননি পরাজিত শক্তির সাথে। সত্য ও ন্যায়ের পথে লড়াই করে গেছেন নিরলসভাবে, ভয়ভীতি উপেক্ষা করে। তিনি ছিলেন তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সাহসের বাতিঘর। বর্তমানে বিচক্ষণতার সাথে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।