
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে প্রবাস ফেরত ছেলেকে আনতে গিয়ে চালকের ঘুমে সর্বস্বান্ত হলো সাতটি তাজা প্রাণ।তাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী গ্রামের কাসারীবাড়ি । এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৬ আগস্ট) ভোরে নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের পূর্ব বাজার এলাকায় লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের খালে পড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এর আগে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে প্রবাসী বাহার উদ্দিনকে আনার জন্য মাইক্রোবাসে পরিবারের সদস্যরা বিমানবন্দরে যান।
জানা যায়, রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে চালক ঘুমিয়ে যাওয়ায় মাইক্রোবাসটি খালে পড়ে যায়।
এ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা প্রবাসী বাহার উদ্দিন ও আব্দুর রহিম বলেন, চালক রাসেল ঘুম চোখে নিয়ে মাইক্রোবাস চালাচ্ছিল। বার বার বলা শর্তেও গাড়ি থামিয়ে বিশ্রাম নেয়নি সে। এর আগে কুমিল্লায় একটা দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায়। কিন্তু বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার আগে চালক ঘুমিয়ে পড়ায় মাইক্রোবাসটি সড়কের পাশে খালে ফেলে দেয়। গাড়িটি তাৎক্ষণিক ডোবেনি, ধীরে ধীরে ডুবছিল। তখন চালককে গাড়ির লক খুলতে বললেও সে খোলেনি। তবে সে নিজে গাড়ির জানালার কাঁচ নামিয়ে বের হয়ে পালিয়ে যায়। কাউকে বাঁচানোর চেষ্টাও করেনি।
এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে প্রবাসী বাহার, তার বাবা আব্দুর রহিম, শ্বশুর ইস্কান্দার মীর্জা, ভাবি সুইটি ও শ্যালক রিয়াজ বের হয়ে আসেন। তবে এ দুর্ঘটনায় বাঁচতে পারেনি বাহারের স্ত্রী কবিতা আক্তার (২৪), মেয়ে মীম আক্তার (২), মা মুরশিদা বেগম (৫০), নানী ফয়জুন নেছা (৭০), ভাতিজি রেশমা আক্তার (৯), লামিয়া আক্তার (৮) ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৫)। নিহতরা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী এলাকার কাশারি বাড়ির বাসিন্দা।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোবারক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চালক ঘুমিয়ে পড়ায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। কয়েকজন বের হতে পারলেও সাতজন ভেতরে আটকা পড়ে মারা যান। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো বাড়িতে নিয়ে গেছে স্বজনরা।