
চঞ্চল,
“ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবেন না—ঘোলা পানি পরিষ্কার করতে বিএনপির বেশি সময় লাগবে না,”—এই জোরালো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক-সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। তিনি অভিযোগ করেন, দেশে নির্বাচনের আবহ তৈরি হওয়ায় একটি স্বার্থান্বেষী মহল সরকারকে দায়মুক্তি দিয়ে বিএনপিকে টার্গেট করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির সুযোগ নিচ্ছে এবং নির্বাচন বিলম্বিত করার ষড়যন্ত্র করছে।
বৃহস্পতিবার – ১৭ জুলাই – বিকেলে লালমনিরহাট জেলা যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যক্ষ দুলু বলেন, “দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। অথচ একটি রাজনৈতিক পক্ষ এর দায় সরকারের ওপর না চাপিয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লক্ষ্য করে স্লোগান দিচ্ছে, যা অত্যন্ত হাস্যকর।”
সমাবেশে তিনি সম্প্রতি গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির – এনসিপি – কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের предполагаিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, “আমরা চাই না গোপালগঞ্জের মতো কোনো ঘটনা দেশের অন্য কোথাও ঘটুক। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের জবাবে দুলু বলেন, “তারেক রহমান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র। তিনি আমাদের আবেগ ও বিশ্বাসের জায়গা। তাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আমরা সহ্য করব না।”
অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “রাজনীতি এত সোজা নয়, শিখতে অনেক সময় লাগে। আমরা ১৬ বছর রাজপথে থেকে গুম-খুনসহ সব ধরনের নিপীড়ন সহ্য করেছি, কিন্তু কখনো মাথা নত করিনি।”
তিনি দলের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে আমাদের এক থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে স্বৈরাচারের দোসররা পুনরায় ক্ষমতায় আসার সুযোগ পাবে।
এছাড়া, দুলু সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সোহাগ হত্যার প্রসঙ্গে বলেন, অপরাধীর কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না। তিনি এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম মমিনুল হক, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিছুর রহমান, সদস্য সচিব হাসান আলী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ সাদেকুল ইসলাম পাভেল ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর খানসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।