
মো.ইমরান হোসেন,
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পারিবারিক কবরস্থান থেকে নিজের মায়ের লাশ তুলে এনে ঘরে মশারী টানিয়ে লেপ–কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখার অভিযোগ উঠেছে সজিব হোসেন নামের এক মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা কি ঘটেছে ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের মোথাজুরী এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ও কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,
উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের মোথাজুরী এলাকার খোদেজা বেগম স্বামী আনতাজ আলীর মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে সজিবকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। সজিব ধীরে ধীরে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে এবং প্রায়ই মায়ের সাথে ঝগড়া-বিবাদ ও শারীরিক নির্যাতন করত।
গত শনিবার দুপুরে মা–ছেলের মধ্যে তীব্র বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে অভিমান ও মানসিক যন্ত্রণায় খোদেজা বেগম গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার সন্ধ্যায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। কিন্তু রাতের কোনো একসময় সজিব গোপনে কবর খুঁড়ে লাশ তুলে নিজ ঘরে নিয়ে আসে। সেখানে মশারী টানিয়ে লেপ–কাঁথা দিয়ে লাশ ঢেকে রাখে। সোমবার সকালে কবরস্থানে গিয়ে কবর খোলা দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সজিব ঘর বন্ধ করে রেখেছে, আচরণেও অস্বাভাবিকতা দেখা যাচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সজিবের ঘরের তালা ভাঙা হয়। ঘরের ভেতর মশারীর নিচে লেপ–কাঁথায় মোড়া অবস্থায় পাওয়া যায় খোদেজা বেগমের লাশ। লাশ থেকে তখন প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় খোদেজা বেগমের লাশ পুনরায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কালিয়াকৈর থানাধীন ফুলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুরুজ জামান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক ও মর্মান্তিক। ছেলে সজিব মাদকাসক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় লাশটি পুনরায় দাফন করা হয়েছে।

























