
পলাশ হাওলাদার, পটুয়াখালী জেলাা প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিয়ের ২২বছর পরেও নুর চেহারা স্বামীর হাতে নির্যাতনে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চরবাংলা গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের সত্তার প্যাদার ছেলে মো. মান্নান প্যাদা এর বিরুদ্ধে তার স্ত্রী নুর চেহারার অভিযোগ।
এবিষয় নুর চেহারা বাদী হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু ট্রাইবুন্যাল আদালতে ২১/০৯/২০২২ তারিখ তার স্বামী মো. মান্নান প্যাদা ও মোসা. নুর নাহারকে বিবাদী করে একটি নারী ও শিশু মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানাযায়, বিগত ২২-২৩ বছর পূর্বে ইসলামী শরা-শরিয়াত মোতাবেক নুরচেহারা ও মান্নান এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর দীর্ঘ দিন তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই কাটেছে। বিগত ৭-৮মাস থেকে নুরচেহার কাছে তার স্বামী যৌতুক দাবিকরে বিভিন্ন সময় অহেতুক মারধর করে।
এবিষয় ভুক্তভোগী নুর চেহারা জানান, বিয়ের পর থেকেই আমরা ভালোভাবেই ঘরসংসার করে আসছি এবং আমার গর্ভে আমার স্বামীর ঔরষে তিনটি পুত্র সন্তান হয়। বিগত ৭-৮ মাস আগে থেকেই সে আমাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছে। আমার স্বামী প্রতিবেশী নুর নাহার নামের এক বিবাহীত মহিলার সাথে ব্যবসার সুবাদে পরোকিয়ায় প্রেমে আসক্ত হয়। তার পরথেকেই আমার উপরে আমার স্বামী ও ওই মহিলা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। আমি নিরুপায় হয়ে পটুয়াখালী নারী শিশু আদালতে একটি মামলা করি।
ভুক্তভোগীর ভাই মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার জানান, আমার বোনকে বিয়ে দেয়ার পর থেকেই আমার বোন জামাইকে ভাইয়ের মত ভালোবাসছি। বিভিন্ন সময় তার ব্যবসার জন্য আমার কাছথেকে টাকা পয়সা নিয়েছে। আমি আমার বোনের সুখের জন্য প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আমার বোন জামাইকে দিয়েছি। এখন আমার বোন জামাই পরোকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে আমার বোনকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালায়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর আমার বোন জামাই ও তার পরোকিয়া প্রেমিকা নুর নাহার আমার বোনকে বেধর মারধর করে এবং আমি খবর পাইয়ে আমার বোনকে উদ্ধার করে গলাচিপা ৫০ শয্যা বিশিস্ট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা করাই। আমারা বোন জামাই আমার বোনের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করেনা। সে বিভিন্ন মানুষের কাছে আমার বোনকে তালাক দেওয়ার প্রস্তাব পাঠায়।
এ বিষয় মান্নান প্যাদার কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠো ফোনে জানান, আমর স্ত্রী আমার বিরুদ্দে মামলা করেছে। আমার ছেলে সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আমার স্ত্রীকে নিয়ে আমি ঘর সংসার করতে চাই। আমার সাথে অন্য মহিলার সাথে কোনো অবৈধ সম্পর্কে নাই। আসার স্ত্রী যে মারধর ও অবৈধ সম্পর্কের কথা বলেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা।