
এস চাঙমা সত্যজিৎ
বিশেষ প্রতিনিধি।।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মানিকছড়ি উপজেলার কারিতাস সিপিপি পিএইপি-২ প্রকল্পের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন পাড়া গ্রাম পর্যায়ের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ৯০ জন কৃষাণ-কৃষাণীর মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ এবং উপজেলা পর্যায়ে এডভোকেসী এন্ড নেটওয়ার্কিং ফোরাম গঠন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (২৮ মার্চ ২০২২) সকালে মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পর্যায়ের এডভোকেসী এন্ড নেটওর্য়াকিং ফোরামের উপজেলার ২৬টি পাড়া থেকে ৩০জন সদস্যসহ এসটিএগণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ফোরাম গঠনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা ও সদস্যদের দায়িত্ব সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন মাঠ কর্মকর্তা মোঃ সোলায়মান। সভায় ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরে প্রকল্পের উপকারভোগী জৈব কৃষি সদস্যদের মাঝে গ্রীষ্মকালীন সবজি বীজ (বরবটি ১৯ কেজি, মিষ্টি কুমড়া ৪ কেজি, কলমীশাক ১ কেজি, পুঁইশাক ২ কেজি ১৯০ গ্রাম, তিতাকরলা ১ কেজি, ঝিঙ্গা ৩ কেজি ২০০ গ্রাম) বিতরণ করা হয়। এছাড়াও ১ হাজার কেজি ৫শ গ্রাম আদা বীজ বিতরণের পাশাপাশি ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনের জন্য ১৮০টি সিমেন্ট রিং, ১৫ হাজার ৫শ ৪টি কোঁচো বিতরণ করা হয়েছে।
বিতরণকালে সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অনুপম বড়ুয়া, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ ইউনুছ নুর, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল মনি পাল, মানিকছড়ি উপজেলার সিপিপি পিএইপি-২ প্রকল্পের মাঠ কর্মকর্তা মোঃ সোলায়মানসহ মাঠ সহায়কগণ উপস্থিত ছিলেন ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ফেয়ার ইকোলজিক্যাল ট্রানজিশন বাস্তবায়নে কৃষির আধুনিক প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই। জৈব প্রযুক্তি ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। তাছাড়া প্রাপ্ত উপকরণ কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিকভাবে কিভাবে স্বাবলম্বী হয়ে লাভবান হওয়া যায় সে বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করনে। রাসায়নিক সারের ব্যবহারের পরিবর্তে জৈব সারের ব্যবহারের বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে জমির প্রাণ রক্ষা পায় এবং মাটির উর্বরতার শক্তির ধারণ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য সকলকে কাজ করতে আগ্রহী করা যায়।