
নিউজ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বিষয়ক সচিব পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
হেগসেথের মতে, এই হামলা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে পরিচালিত হয় এবং লক্ষ্যবস্তু ছিল একটি জাহাজ, যা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুসারে ‘অবৈধ মাদক পাচারে জড়িত’ ছিল। তিনি জানান, জাহাজে থাকা তিনজন পুরুষকে “মাদক-সন্ত্রাসী” হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অভিযানের ধারাবাহিকতায় এটি সর্বশেষ হামলা। এখন পর্যন্ত এই অভিযানে ৬২ জনের বেশি নিহত হয়েছেন এবং ১৪টি জাহাজ ও একটি সেমি-সাবমারসিবল ধ্বংস করা হয়েছে।
যদিও ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করছে, এসব অভিযান মাদক চোরাচালান দমনে পরিচালিত হচ্ছে, তবে এখনো পর্যন্ত কোনো স্বাধীন প্রমাণ বা তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। সমালোচকরা বলছেন, এসব হামলা মূলত বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ঘটনাটিকে “গভীর মানবিক উদ্বেগের বিষয়” বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, “যে অভিযোগই থাকুক না কেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এসব হামলা বন্ধ করতে হবে এবং জাহাজে থাকা ব্যক্তিদের বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

























