
ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। একটি মহল সংস্কারের নামে নির্বাচনকে আটকে দিয়ে দেশকে ভিন্ন পথে নিয়ে যেতে চায়। এই ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই।সংস্কারের নামে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করার কোনো সুযোগ নেই। সংস্কার ও নির্বাচন আপন গতিতে চলা উচিত। একটির জন্য আরেকটিকে থামিয়ে রাখা যাবে না। দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা জনগণের দাবি। তাই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজনে অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে।
তিনি মঙ্গলবার -২৫ মার্চ- বিকালে নগরীর কাজীর দেউরী মোড়ে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় কোতোয়ালি থানা যুবদলের উদ্যোগে পথচারী ও অসহায় রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কোতোয়ালী থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব মো. হাসানের সভাপতিত্বে ও যুবদল নেতা মাঈনুদ্দিন খান রাজিবের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য মসিউল আলম স্বপন, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনীতি এবং রাষ্ট্রের পরিবর্তন আনতে চান। এ জন্যই তিনি রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছেন। ৩১ দফার বাইরেও যদি রাষ্ট্রসংস্কারের ভালো কোনো প্রস্তাব থাকে তাহলে তাও তিনি গ্রহণ করতে প্রস্তুত। বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইনশাল্লাহ জনগণের রায় নিয়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে রাষ্ট্র সংস্কার করবে।
তিনি বলেন, আমরা অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে স্পষ্ট বলতে চাই, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিন। এদেশের জনগন দীর্ঘ ১৭ বছর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। জনগনকে তাদের ভোটাধিকার ফেরত দিন, রাষ্ট্রের মালিনা বুঝিয়ে দিন। জনগনের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংস্কার করবে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজপথে রক্ত দিয়েছে, জেলে গিয়েছে, অনেক নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছে। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা জ্বলে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিনত হয়েছে। এজন্য বিএনপিকে ভাঙতে পারে নাই। বিএনপি আজ অনেক শক্তিশালী। বিএনপিকে যারাই ধ্বংস করতে চেয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে। বিএনপি কোথায় আর যারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারা আজ কোথায়? তাই বিএনপিকে থামানোর চেষ্টা করবেন না। দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনগণের সংসদ দেখতে চায়। বিএনপি বিগত দিনে অনেক ত্যাগ শিকার করেছে। প্রয়োজনে আবারও ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবদলের সাবেক নেতা নাছির উদ্দিন চৌধুরী নাছিম, আমিন উল্লাহ, ইসমাইল হোসেন লেদু, মো. সেলিম, আবদুল্লাহ আল মামুন জিতু, আবুল হোসেন, জসিম উদ্দিন, মো. আলি, মো. মিঠু, সাইফুল ইসলাম, জাহিদ হোসেন, কামরুল ইসলাম কুতুবী, মো. রুবেল প্রমূখ।