Dhaka , Thursday, 19 September 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
হাটহাজারিতে যানযট নিরসনে অভিযান।। বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের উদ্যোগে সাগর -রুনি হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন।। নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা।। রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ও দোকানে হামলা ভাংচুর- লুটপাট।। ঈদগাঁও ধলেশ্বরী নদীতে দেশীয় পোনা অবমুক্ত।। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির স্মারকলিপি প্রদান।। যেকোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা জানিয়েছেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম।। দুর্গাপুরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নে এডভোকেসী সভা।। দেবহাটায় আইবিডব্লিউএফ’র ব্যবসায়ী সমাবেশ।। দেবহাটায় সিভিএ প্রক্রিয়াগুলির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ সভা।। লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ১ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি।। মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে নাগরপুরে উপজেলা বিএনপির সাংবাদিক সম্মেলন।। এ্যাডভোকেট তৌহিদ বকুলনেছা মহিলা কলেজের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় বিএমএসএস এর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।। চমক দেখালেন জেলা প্রশাসক- মরকখোলার মরা খালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান।। শান্তিপূর্ণ এলাকায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া ঠিক হবে না- মির্জা ফখরুল।। ঠাকুরগাঁওয়ে বিএডিসি’র কোটি টাকার টেন্ডারের গোপন তথ্য ফাঁস হতাশ অন্য ঠিকাদাররা।। সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা: অন্তবর্তীকালীন সরকারকে পুন- বিবেচনা করতে বললেন ফখরুল।। চাঁপাইনবাবগঞ্জে গুম হওয়া আরিফ কে ফিরে পেতে এলকাবাসীর মানববন্ধন।। রংপুর মহানগর আ’লীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডলের ৭ দিনের রিমান্ডে।। চাঁপাইনববাগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন হুজরাপুর কাজিপড়া এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১০ কেজি ৭০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার।। পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫৯০ গ্রাম হেরোইন এবং ০১টি ওয়ানশুটার গান উদ্ধার।। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপচার্য অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম।। আন্দোলনে শহীদদের মামলা নিয়ে ব্যবসা চলছে সারজিস আলম।। ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে ৪৮ জন শিক্ষক সংবর্ধিত।। রাজাপুরে ঘর ভাংচুর ও চাদা দাবীর অভিযোগে উপজেলা বিএনপি সভাপতিসহ ১৪ জনের নামে মামলা।।  ঝালকাঠিতে সেনাবাহিনীতে চাকরির নামে প্রতারণা যুবক গ্রেপ্তার।। প্লাজমা সোসাইটি ইন মাটিয়াল এর উদ্যোগে ফ্রি ব্লাড ক্যাম্পেইন কর্মসূচি।। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মানববন্ধন।। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলাকারি যুবলীগ নেতা সাদ্দাম গ্রেফতার।। নানা অনিয়মের অভিযোগ চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে।।

কারাম উৎসবে মতেছেে ওরাঁও সম্প্রদায়।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 11:04:40 am, Wednesday, 18 September 2024
  • 4 বার পড়া হয়েছে

কারাম উৎসবে মতেছেে ওরাঁও সম্প্রদায়।।

জসীমউদ্দীন ইতি

ঠাকুরগাঁও প্রতনিধি।।

   

প্রতি বছরের মতে এ বছরেও সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে ওরাঁও সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব কারাম পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার -১৭ সেপ্টেম্বর- রাত সাড়ে ৯ টায় জাতীয় আদিবাসী পরিষদ- ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে সদর উপজেলার সালন্দর পাঁচ পীরডাঙ্গা গ্রামের ওরাঁও মহল্লায় কারাম উৎসব পালিত হয়।

ওরাঁও সম্প্রদায়ের মানুষেরা বংশ পরম্পরায় যুগ যুগ ধরে প্রতি বছর এই উৎসব পালন করে আসছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। উৎসবে ওরাঁও সম্প্রদায়ের লোকজন উপবাস করে কারাম গাছের ডাল কেটে এনে স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্ডপে পুঁতে রেখে পূজা-অর্চনা করেন। এরপর ঢাক-ঢোলের তালে তালে ও নাচে গানে গল্প বলার মধ্য দিয়ে শুরু করেন উৎসব। এ সময় পুরো এলাকা মুখরিত হয় কারাম উৎসবে। ওরাঁওরাসহ হিন্দু, মুসলিম মিলে প্রায় সব সম্প্রদায়ের ছোট বড় সকল বয়সের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় পাঁচ পীরডাঙ্গা গ্রাম।

কারাম একটি গাছের নাম। ওরাঁও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের কাছে এটি একটি পবিত্র গাছ। মঙ্গলেরও প্রতীক। প্রতি বছর বাংলা ভাদ্র মাসের শেষে ও আশ্বিনের শুরুতে বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি- সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনায় এই গাছের ডালকে পূজা অর্চনা করেন এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মনি কেরকেটা বলেন- আমরা এখানে আদিকাল থেকে ও যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় কারাম পূজা ও উৎসব করে আসছি। মূলত বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি- সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং ভালো ফসল উৎপাদন হওয়ার কামনায় এই পূজা আমরা করে থাকি।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইমরান চৌধুরী বলেন, আদিবাসীদের মধ্যে ওরাঁও সম্প্রদায়ের মানুষদের বড় উৎসব হচ্ছে এই কারাম উৎসব। এই সম্প্রদায়ের মানুষরা মনে করে কারাম গাছের ডাল যুগে যুগে তাদেরকে বিপদ-আপদ থেকে শুরু করে মহাপ্রলয় হতে রক্ষা করে। যার কারণে ভাদ্র মাসের শেষ দিন ও পহেলা আশ্বিনে তারা এই উৎসব পালন করেন। এখানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় কারাম উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং এই অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই উৎসবে সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ করেন। এটি এখানকার ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহ অবস্থানের একটা সবচেয়ে বড় উদাহরণ।

উদীচী ঠাকুরগাঁও জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু বলেন- আমি এই উৎসবে প্রতি বছরই আসি। এবারও এসেছি। এসে তাদের উৎসবে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করি। কারাম উৎসব একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এই দিনে ওরাঁও সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাদের ধর্মীয় কাজসহ নাচে গানে উৎসব উদযাপন করেন। এটি একটি অত্যন্ত চমৎকার আয়োজন। এই সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত দরিদ্র তাই আমি চাই রাষ্ট্রীয় ও সরকারিভাবে তাদের সহযোগিতা করার মাধ্যমে উৎসবটি যেন ভবিষ্যতে প্রতিবছর আরও বড় পরিসরে পালন করা হয়।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নরেন চন্দ্র পাহান জানান- আদিবাসীদের দুই সহোদর ধর্মা ও কর্মা। ধর্মা কারাম গাছকে পূজা করতো। আর সেই গাছ একদিন কর্মা তুলে নিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। তখন নানা বিপদ-আপদ ও অভাব দেখা দিলে আবার সেই গাছ খুঁজে আনা হয়। তখন থেকে সেই গাছকে বিশ্বাস করে ধর্ম পালন করায় ধর্মা রক্ষা পান সব বিপদের হাত থেকে। আর কর্মা ধর্ম পালন না করায় ক্ষতির সম্মুখিন হন। তখন থেকেই বিপদ-আপদ ও অভাব-অনটন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মূলত কারাম পূজা করা হয়।

স্থানীয়সহ অন্যান্য জেলা থেকে আগত কারাম উৎসব দেখতে আসা মানুষেরা জানান, একই রঙের পোশাক পরে সারিবদ্ধভাবে গ্রামের নারী পুরুষরা ঢোলের তালে তালে কারামের নৃত্য পরিবেশন দেখে তারা আনন্দিত ও খুশি।

এ সময় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ কেউকেটার সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা- জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতৃবৃন্দ- সালন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে এলাহী মুকুট চৌধুরীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উৎসবে ঢাক-ঢোলের বাজনায় নাচে গানে আনন্দ উপভোগ করে আদিবাসীদের পরিবার ও স্বজনরা। সঙ্গে যোগ দেন শিশু কিশোররাও।

পূজা অর্চনা শেষে গ্রামের তরুণ-তরুণীরাসহ সব বয়সের নারী-পুরুষরা বুধবার -১৮ সেপ্টেম্বর- দুপুরে আবারও ঢাক-ঢোলের তালে নেচে-গেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কারাম বৃক্ষের ডাল নদীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দিয়ে এ বছরের মতো শেষ করবেন কারাম উৎসব।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

হাটহাজারিতে যানযট নিরসনে অভিযান।।

কারাম উৎসবে মতেছেে ওরাঁও সম্প্রদায়।।

আপডেট সময় : 11:04:40 am, Wednesday, 18 September 2024

জসীমউদ্দীন ইতি

ঠাকুরগাঁও প্রতনিধি।।

   

প্রতি বছরের মতে এ বছরেও সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে ওরাঁও সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব কারাম পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার -১৭ সেপ্টেম্বর- রাত সাড়ে ৯ টায় জাতীয় আদিবাসী পরিষদ- ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে সদর উপজেলার সালন্দর পাঁচ পীরডাঙ্গা গ্রামের ওরাঁও মহল্লায় কারাম উৎসব পালিত হয়।

ওরাঁও সম্প্রদায়ের মানুষেরা বংশ পরম্পরায় যুগ যুগ ধরে প্রতি বছর এই উৎসব পালন করে আসছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। উৎসবে ওরাঁও সম্প্রদায়ের লোকজন উপবাস করে কারাম গাছের ডাল কেটে এনে স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্ডপে পুঁতে রেখে পূজা-অর্চনা করেন। এরপর ঢাক-ঢোলের তালে তালে ও নাচে গানে গল্প বলার মধ্য দিয়ে শুরু করেন উৎসব। এ সময় পুরো এলাকা মুখরিত হয় কারাম উৎসবে। ওরাঁওরাসহ হিন্দু, মুসলিম মিলে প্রায় সব সম্প্রদায়ের ছোট বড় সকল বয়সের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় পাঁচ পীরডাঙ্গা গ্রাম।

কারাম একটি গাছের নাম। ওরাঁও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের কাছে এটি একটি পবিত্র গাছ। মঙ্গলেরও প্রতীক। প্রতি বছর বাংলা ভাদ্র মাসের শেষে ও আশ্বিনের শুরুতে বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি- সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনায় এই গাছের ডালকে পূজা অর্চনা করেন এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মনি কেরকেটা বলেন- আমরা এখানে আদিকাল থেকে ও যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় কারাম পূজা ও উৎসব করে আসছি। মূলত বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি- সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং ভালো ফসল উৎপাদন হওয়ার কামনায় এই পূজা আমরা করে থাকি।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইমরান চৌধুরী বলেন, আদিবাসীদের মধ্যে ওরাঁও সম্প্রদায়ের মানুষদের বড় উৎসব হচ্ছে এই কারাম উৎসব। এই সম্প্রদায়ের মানুষরা মনে করে কারাম গাছের ডাল যুগে যুগে তাদেরকে বিপদ-আপদ থেকে শুরু করে মহাপ্রলয় হতে রক্ষা করে। যার কারণে ভাদ্র মাসের শেষ দিন ও পহেলা আশ্বিনে তারা এই উৎসব পালন করেন। এখানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় কারাম উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং এই অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই উৎসবে সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ করেন। এটি এখানকার ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহ অবস্থানের একটা সবচেয়ে বড় উদাহরণ।

উদীচী ঠাকুরগাঁও জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু বলেন- আমি এই উৎসবে প্রতি বছরই আসি। এবারও এসেছি। এসে তাদের উৎসবে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করি। কারাম উৎসব একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এই দিনে ওরাঁও সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাদের ধর্মীয় কাজসহ নাচে গানে উৎসব উদযাপন করেন। এটি একটি অত্যন্ত চমৎকার আয়োজন। এই সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত দরিদ্র তাই আমি চাই রাষ্ট্রীয় ও সরকারিভাবে তাদের সহযোগিতা করার মাধ্যমে উৎসবটি যেন ভবিষ্যতে প্রতিবছর আরও বড় পরিসরে পালন করা হয়।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নরেন চন্দ্র পাহান জানান- আদিবাসীদের দুই সহোদর ধর্মা ও কর্মা। ধর্মা কারাম গাছকে পূজা করতো। আর সেই গাছ একদিন কর্মা তুলে নিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। তখন নানা বিপদ-আপদ ও অভাব দেখা দিলে আবার সেই গাছ খুঁজে আনা হয়। তখন থেকে সেই গাছকে বিশ্বাস করে ধর্ম পালন করায় ধর্মা রক্ষা পান সব বিপদের হাত থেকে। আর কর্মা ধর্ম পালন না করায় ক্ষতির সম্মুখিন হন। তখন থেকেই বিপদ-আপদ ও অভাব-অনটন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মূলত কারাম পূজা করা হয়।

স্থানীয়সহ অন্যান্য জেলা থেকে আগত কারাম উৎসব দেখতে আসা মানুষেরা জানান, একই রঙের পোশাক পরে সারিবদ্ধভাবে গ্রামের নারী পুরুষরা ঢোলের তালে তালে কারামের নৃত্য পরিবেশন দেখে তারা আনন্দিত ও খুশি।

এ সময় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ কেউকেটার সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা- জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতৃবৃন্দ- সালন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে এলাহী মুকুট চৌধুরীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উৎসবে ঢাক-ঢোলের বাজনায় নাচে গানে আনন্দ উপভোগ করে আদিবাসীদের পরিবার ও স্বজনরা। সঙ্গে যোগ দেন শিশু কিশোররাও।

পূজা অর্চনা শেষে গ্রামের তরুণ-তরুণীরাসহ সব বয়সের নারী-পুরুষরা বুধবার -১৮ সেপ্টেম্বর- দুপুরে আবারও ঢাক-ঢোলের তালে নেচে-গেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কারাম বৃক্ষের ডাল নদীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দিয়ে এ বছরের মতো শেষ করবেন কারাম উৎসব।