মিয়া মোহাম্মদ ছিদ্দিক,
কটিয়াদী(কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধি।।
কৃষিতে অসচ্ছল অনেক কৃষকের পরিবারে গ্রীষ্মকালীন সবজি এনে দিয়েছে সচ্ছলতা।আর গ্রীস্মকালীন সবজি চাষে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন মাঠজুড়ে রয়েছে শসা, বেগুন, ঝিংগা, চিচিংগা, কাঁকরোল, পটলসহ বিভিন্ন ধরনের গ্রীস্মকালীন সবজি। অন্যান্য ফসলের চেয়ে সবজি চাষ লাভজনক হওয়াই কৃষকরা ঝুঁকছেন সবজি চাষে।ধানসহ অনান্য ফসলে যখন লাভের পরিবর্তে লোকসানের মুখ দেখছেন তখনই কৃষিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ করে বিপ্লব ঘটিয়েছে কিশোরগঞ্জের উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রতিটি গ্রামের কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ও সহায়তায় উপজেলার কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ করে ভালো দামও পাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসসুত্রে জানাযায়,চলতি বছর উপজেলার ৬৫০ হেক্টর জমিতে গ্রীস্মকালীন শাক-সবজি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে লোহাজুরী, জালালপুর ও মসুয়া ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে গ্রীষ্মকালীন সবজি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে।
চরঝাকালিয়া গ্রামের চাষী শহীদুল ইসলাম দুলাল জানান, এবছর আমি আমার ৪৪ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে শসা, চিচিংগা ও চালকুমড়া চাষ করেছি।এতে প্রায় ২৫ হাজারের মতো খরচ হয়েছে এ পর্যন্ত ১ লক্ষ টাকা বিক্রি করেছি। বাজারে এখন যে দাম রয়েছে তাতে আমি ৫০ হাজার টাকা বিক্রি হবে।চিচিঙ্গার পাশাপাশি করলা, চালকুমড়াও চাষ করেছি।এতেও যে টাকা বিক্রি হবে লাভবান হব।
ফেকামার গ্রামের আরেক চাষী মাসুক মিয়া জানান,আমরাও অন্য ফসলের তুলনায় কাকরোল চাষ অধিক লাভজনক বিধায় আমি ১বিঘা জমিতে চাষ করেছি।জমি থেকেই পাইকারী ক্রেতারা চিচিঙ্গা কিনে নিয়ে যাচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা ধরে।প্রায় এক বিঘা জমিতে ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে।ধান,গম,ভুট্টা,আলুর তুলনায় অধিক লাভ এই আগাম গ্রীষ্মকালীন সবজিতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মুকশেদুল হক বলেন, কম খরচে লাভ বেশী হওয়াই এই এলাকায় বাণিজ্যিক ভাবে গ্রীস্মকালীন সবজি চাষ বাড়ছে।আমরা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সার, কীটনাশক কখন-কিভাবে ব্যবহার করতে হবে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।