
তৌহিদ বেলাল,
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালুকাবেলায় দিনের পর দিন নিঃশব্দে বসে আছেন জেসমিন আক্তার- একজন অসহায় মা, যাঁর চোখে শুধুই অপেক্ষা, তাঁর একমাত্র ছেলে অরিত্র হাসানের খোঁজ পাওয়ার আশায়।
গত ১০ দিন ধরে মা জেসমিন আক্তার ছুটে বেড়াচ্ছেন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের হিমছড়ি, ইনানী, লাবণীসহ এক পয়েন্ট থেকে আরেক পয়েন্টে। মাঝে মাঝে নীরব কান্নায় ভিজছে তাঁর আঁচল।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান গত ৮ জুলাই (মঙ্গলবার) সকালে দুই বন্ধুদের সঙ্গে হিমছড়ি সৈকতে গোসলে নেমে তলিয়ে যান। তার দুই বন্ধুর লাশ পাওয়া গেলেও অরিত্র হাসানকে জীবিত কিংবা মৃত এখনো পাওয়া যায়নি।
অরিত্র সাগরে নামার আগে তার মাকে একটি ছবি পাঠিয়েছিলেন। সেই ছবি আজ যেনো হয়ে উঠেছে জেসমিন আক্তারের একমাত্র অবলম্বন।
তিনি বলেন, ‘ছবিটা পেয়ে আমি তাকে একটা ছোট্ট ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলাম। লিখেছিলাম- ‘বাবা, না জানিয়ে সেখানে গেছো! একটু সাবধানে থেকো, ছবি তুলো, কিন্তু উপকূলে থেকো।’
কিন্তু আমার সেই ম্যাসেজ অরিত্র আর রিসিভ করতে পারেনি। রাতে একটু রাগও করেছিলাম। কে জানতো সেটাই হবে আমার শেষ কথা, ছেলের সাথে।