Dhaka , Thursday, 3 July 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
দুর্গাপুর মটরযান ক’র্মচা’রী শ্র’মিক ইউনিয়ন নি’র্বাচ’নে সাধারণ সম্পাদক পদে শ্রমিকদের পছন্দের প্রার্থী আলিউল আজিম সাবেক মেয়র মাহবুব খান ও তার ছেলে সিয়ামের ৩২৯ কোটি টাকা আ’ত্মসা’ৎ, দেশ ত্যা’গে নি’ষেধা’জ্ঞা রূপগঞ্জে ট্রা’ক চা’পা’য় অ’জ্ঞা’তনা’মা ব্যক্তির মৃ’ত্যু হাটহাজারীতে কৃষক সমা’বে’শ ন্য’য্য মূল্যে সা’র,বী’জ,কী’টনা’শক ও বিনা সু’দে ঋ’নে’র জো’র দা’বি হাসিনাকে ভারত থেকে ধ’রে এনে বি’চার করতে হবে— নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী অ’গ্নিকা’ণ্ডে পু’ড়ে যায় বাড়িসহ নগদ ৫ লক্ষ টাকা এবং প’শুপা’খি  রামগঞ্জে ই’য়া’বা’স’হ যুবদল ক’র্মী আ’টক লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং কর্ণফুলী এলিট’র নতুন কমিটি গঠন কাজল প্রেসিডেন্ট ও উজ্জল সেক্রেটারী কউকের নী’রবতা’য় কক্সবাজার হোটেল জোনে প্র’ভাবশা’লী সি’ন্ডিকে’টের অ’বৈ’ধ ব’হুত’ল নি’র্মা’ণ জো’রাল! নরসিংদী প্রকল্প জা’লিয়া’তির ৫২ লাখ টা’কা উ’দ্ধা’র, ২ ক’র্মচা’রী গ্রে’প্তার হালিশহরে কোটি টাকার ম’দ উ’দ্ধা’র, কিন্তু চো’রাচা’লানী রয়ে গেছে ব’হাল ত’বিয়’তে আগামী ৬ মাসের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় বাংলাদেশ নৌ’বাহি’নীকে সু’পারি’শ করেছে সরকার নৌ’পরি’বহন উপদেষ্ট রূপগঞ্জে প্রে’মিকা ও স্বা’মীর ছু’রিকা’ঘা’তে প্রে’মিক নি’হত গাকৃবিতে উচ্চফলনশীল অধিক লবণ সহিষ্ণু গমের নতুন জা’ত ‘জিএইউ গম ১’ উদ্ভাবন    রাজাপুরে সরকারি ৫টি গাছ বি’ক্রির অ’ভিযো’গ স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তার বি’রু’দ্ধে নোয়াখালীতে ক’রো’নায় বৃ’দ্ধে’র মৃ’ত্যু নতুন অর্থবছরের প্রথমদিনেই ব’ন্দর জে’টিতে চার বিদেশি জাহাজ নোয়াখালীতে সা’পের কা’ম’ড়ে শি’শু’র মৃ’ত্যু সিলেট এমএজি ওসমানী মে’ডিকে’ল কলেজ ও হা’সপাতা’লে শি’শু বিভাগে বিশেষায়িত ক্লি’নিক চালু লালমনিরহাটে বিভিন্ন মা’মলা’র উনিশ আ’সা’মি গ্রে’প্তার  লালমনিরহাটের হ’ত্যা মা’মলা’র দুই আ’সামী’কে বগুড়া থেকে গ্রে’প্তার করেছে র‍্যাব মফস্বল সাংবাদিকতায় অনন্য অবদান সাংবাদিক নোমানীকে বার্তা প্রবাহ সম্মাননা কালিয়াকৈরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ১০ হাজার গাছের চা’রা বিত’রণ শৌলজালিয়ায় আও’য়ামী লী’গ নে’তা চেয়ারম্যান রিপন ও প্যানেল চেয়ারম্যানকে মা’রধ’র নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ক’মরে’ড অনিমা সিং’হে’র প্র’য়াণ দিবস উপলক্ষে স্মর’ন স’ভা পদ্মা সেতু দক্ষিণে প্রায় দেড় লাখ টাকার গাঁ’জাস’হ না’রী ও পু’রুষ আ’টক আদিতমারীতে পানিতে ডু’বে ১৮ মাস বয়সী শি’শুর মৃ’ত্যু  র‍্যাবের হাতে আ’ন্তঃজে’লা ডা’কা’ত দলের স’র্দার গ্রে’প্তার সীমান্ত এলাকায় ১৫ বিজিবির অ’ভিযা’নে বি’পুল প’রিমা’ণ অ্যা’ন্ড্রয়ে’ড মোবাইল ফোনের ডি’সপ্লে উদ্ধা’র ডাক বিভাগের কো’ষাগা’র ব্য’বস্থা’প’না ডিজিটাল রূ’পা’ন্তরে’র উদ্বোধন

কউকের নী’রবতা’য় কক্সবাজার হোটেল জোনে প্র’ভাবশা’লী সি’ন্ডিকে’টের অ’বৈ’ধ ব’হুত’ল নি’র্মা’ণ জো’রাল!

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 04:39:11 pm, Wednesday, 2 July 2025
  • 34 বার পড়া হয়েছে

শওকত আলম কক্সবাজার

কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন সৈকতপাড়া এলাকায় স্বৈরাচার-দোসর-নব্য বিএনপি নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে দেদারছে চলছে অবৈধ বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আইকনিক ভবনের খুব কাছেই পাহাড় কেটে একের পর এক বহুতল দালান উঠলেও রহস্যজনক কারনে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তারা। বরং কউক’র রহস্যজনক নীরবতা জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও সংশ্লিষ্টরা জানান, কক্সবাজারে শত শত অবৈধ বহুতল ভবন নির্মানের বিরুদ্ধে কউকের বিমাতাসুলভ আচরন দৃশ্যমান। তাদের অভিযোগ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এসব অবৈধ ভবনে অভিযানের নামে প্রথমে একটা নোটিস দিয়ে মোটা অংকের ঘুস দাবী করে। পরে দরকষাকষির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আদায় করেন তারা। যেসব ভবন মালিক কউক’কে খুশি করতে পারে, তাদের ভবন বীরদর্পে উঠে যায় আর যেসব ভবনের মালিক চাহিদামত ঘুস দিতে ব্যর্থ হয় তাদের ভবনে বুলডোজার চালানো হয় বলে জনশ্রুতি রয়েছে। যার কারনে কউকের এই দ্বীমুখি আচরন এখন কক্সবাজারে ওপেন সিক্রেট।
যার ফলে কক্সবাজারে কালো টাকার মালিকরা কউক’কে ম্যানেজ করে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে সরকারী পাহাড় কেটে একের পর এক অনুমোদনহীন বহুতল ভবন নির্মাণ করে চলেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পর্যটন জোন কলাতলীতে প্রতিযোগিতা দিয়ে একের পর এক অবৈধ ভবন নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কক্সবাজার শহরে স্বৈরাচার আওয়ামী সমর্থক নেতা ও নব্য বিএনপি নেতাদের সমন্বয়ে গড়ে উঠা সিন্ডিকেটের অধীনেই চলছে এসব অবৈধ ভবন নির্মান কর্মকান্ড।
কোথাও পাহাড় কেটে, কোথাও সড়ক দখল করে চলছে এসব ভবণ নির্মান। অনেকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মৌখিক অনুমতি নিয়েই খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গায় নির্মান করছে বহুতল ভবন। শুধুমাত্র কলাতলির সৈকত পাড়া মসজিদের দক্ষিণ পাশের পাহাড়ের লাগোয়া জায়গায় গড়ে তোলা হচ্ছে ৫/৬ তলা বিশিষ্ট ৪ টি ভবন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন দুর্ণীতিবাজ কউক কর্মকর্তা, চাঁদাবাজ ও কথিত সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেই এসব অপকর্ম চালানো হচ্ছে। এসব ম্যানেজ করার জন্যও রয়েছে উক্ত সিন্ডিকেটের উপ-টীম ।
সূত্র মতে, কলাতলির বিশেষ এলাকাকে ইসি এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হলেও কেউ মানছেনা এই আইন। ভবন তৈরীতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) ও জেলা প্রশাসন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঠিক অনুমতির ও প্রয়োজন মনে করছেন না প্রভাবশালীরা।
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, সৈকত পাডা জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশেই আবাসিক হোটেল রিগ্যাল হোমের অল্প দুরত্বে খাস খতিয়ানভুক্ত পাহাড়ি জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে একটি বহুতল ভবন। ইতিমধ্যে ভবনটি ছয়তলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই করা হয়েছে। সৈকত পাড়া এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানায়, এই ছয়তলা ভবনটি নির্মাণ করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ৪-৬জন দোকানদার।
উক্ত দোকানদাররা জানান, এ ভবনটি দোকান মালিক সমিতির আন্ডারে করা হচ্ছে, এবং উক্ত এলাকার সমাজ কমিটির সদস্য অবগত আছে এবং তারা দেখাশোনাও করে বলে জানান উক্ত ভবন নির্মাণ কারীরা।
উক্ত নির্মাণাধীন ভবনের টিক সামনে অবস্থিত চা দোকানদার ভুট্টো জানান, উক্ত ভবন নির্মানের জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছে। তাছাড়া সাংবাদিক পরিচয়ে কয়েকজন এসে খরচের টাকাও নিয়ে গেছে। এখানে মালিক পক্ষের কেউ নেই। এবং উক্ত ভবটি সমাজের অন্তর্ভুক্ত একটি সমিতির উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিবেদককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “যদি আপনার কোন বিষয় জানার থাকলে আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন”। পরিবেশ অধিদপ্তর ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবনটি নির্মাণের বিষয়ে অবগত বলেও দাবী করেন করেন এ দোকানদার।
অন্য দিকে ঠিক একই গলিতে দুইশো গজের মধ্যে রয়েছে ম্যারিন পার্ক কটেজ। এই ভবনটি দুই তলা বিশিষ্ট হলেও সরকার পরিবর্তনের সুযোগে ৫ তলা পর্যন্ত কাজ চলমান রয়েছে। গত ১ মাসের মধ্যে ৪ টি ছাদ ঢালাই শেষ করেছে কটেজের মালিক। এখানেও রয়েছে কউক ও সাংবাদিক ম্যানেজের কথা বলে একটি টাকা হাতিয়ে নেয়া মধ্যসত্বভোগী দল।
উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কতিপয় কর্মকর্তা ভবণ নির্মাণের খবর জানার পরেও অজ্ঞাত কারণে চুপ রয়েছেন বলে দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। কতিপয় কর্মকর্তা ভবন নির্মাণস্থল পরিদর্শনে এসে ম্যানেজ হয়ে ফিরে গেছে বলে জানিয়েছেন একাধিক সূত্র।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, সুগন্ধা পয়েন্টের পূর্ব পাশে সৈকতপাড়া এলাকায় বীনা বাঁধায় চলছে একাধিক অবৈধ বহুতল ভবনের নির্মান কাজ। গেল কয়েক বছর ম্যারিন পার্ক কটেজটি বহুতল করার চেষ্টা ব্যর্থ হলেও গত কয়েক মাসের মধ্যেই উঠে গেছে পাঁচ তলা ভবন। কউক’কে ম্যানেজ করে এসব ভবন নির্মাণ করছে বলে দাবি করেছেন অনেক ভবন মালিক।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, শুধুমাত্র সৈকতপাড়া মসজিদ এর পেছনের গলিতে আধা কিলোমিটার এর মধ্যেই গড়ে উঠছে অর্ধ ডজন অবৈধ ভবন। গণপূর্তের নির্মিত শিশু উদ্যানের পিছনের গলিতেই গেলে দেখা মেলে এসব অবৈধ ভবন নির্মাণের হিড়িক। ভবন মালিকের অনেকেই নিজেদের নিবন্ধিত জায়গায় নির্মাণের দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে এসব জায়গা খাস খতিয়ানভুক্ত।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন সম্প্রতি প্রতিবেদককে জানান, “ওই লোকেশনে অবৈধ ভবণ নির্মাণের বিষয়টি আমাকে কেউ অবগত করেনি। আমি ওখানে একটি টিম পাঠাবো। তারা খবরা-খবর নিয়ে অবৈধ হলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমি কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। সর্বোচ্চ সততা এবং পেশাদারিত্বের মধ্যেই আমি কাজ চালিয়ে যাব”।
তবে কউক চেয়ারম্যানের এই বক্তব্যের পরে উক্ত এলাকার কয়েকটি অবৈধ নির্মানাধীন ভবনে কয়েকটি নোটিশ দিলেও এসব অবৈধ ভবনের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ , প্রকৃতপক্ষে সৈকতপাড়া এলাকার কোন ভবনেই কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই। উক্ত এলাকায় ইতিপূর্বে নির্মিত শতাধিক বহুতল ভবন কউক, জেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই করা হয়েছে। কলাতলীর সাতটি পয়েন্টে সুযোগ বুঝেই নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছ

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

দুর্গাপুর মটরযান ক’র্মচা’রী শ্র’মিক ইউনিয়ন নি’র্বাচ’নে সাধারণ সম্পাদক পদে শ্রমিকদের পছন্দের প্রার্থী আলিউল আজিম

কউকের নী’রবতা’য় কক্সবাজার হোটেল জোনে প্র’ভাবশা’লী সি’ন্ডিকে’টের অ’বৈ’ধ ব’হুত’ল নি’র্মা’ণ জো’রাল!

আপডেট সময় : 04:39:11 pm, Wednesday, 2 July 2025

শওকত আলম কক্সবাজার

কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন সৈকতপাড়া এলাকায় স্বৈরাচার-দোসর-নব্য বিএনপি নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে দেদারছে চলছে অবৈধ বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আইকনিক ভবনের খুব কাছেই পাহাড় কেটে একের পর এক বহুতল দালান উঠলেও রহস্যজনক কারনে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তারা। বরং কউক’র রহস্যজনক নীরবতা জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও সংশ্লিষ্টরা জানান, কক্সবাজারে শত শত অবৈধ বহুতল ভবন নির্মানের বিরুদ্ধে কউকের বিমাতাসুলভ আচরন দৃশ্যমান। তাদের অভিযোগ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এসব অবৈধ ভবনে অভিযানের নামে প্রথমে একটা নোটিস দিয়ে মোটা অংকের ঘুস দাবী করে। পরে দরকষাকষির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আদায় করেন তারা। যেসব ভবন মালিক কউক’কে খুশি করতে পারে, তাদের ভবন বীরদর্পে উঠে যায় আর যেসব ভবনের মালিক চাহিদামত ঘুস দিতে ব্যর্থ হয় তাদের ভবনে বুলডোজার চালানো হয় বলে জনশ্রুতি রয়েছে। যার কারনে কউকের এই দ্বীমুখি আচরন এখন কক্সবাজারে ওপেন সিক্রেট।
যার ফলে কক্সবাজারে কালো টাকার মালিকরা কউক’কে ম্যানেজ করে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে সরকারী পাহাড় কেটে একের পর এক অনুমোদনহীন বহুতল ভবন নির্মাণ করে চলেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পর্যটন জোন কলাতলীতে প্রতিযোগিতা দিয়ে একের পর এক অবৈধ ভবন নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কক্সবাজার শহরে স্বৈরাচার আওয়ামী সমর্থক নেতা ও নব্য বিএনপি নেতাদের সমন্বয়ে গড়ে উঠা সিন্ডিকেটের অধীনেই চলছে এসব অবৈধ ভবন নির্মান কর্মকান্ড।
কোথাও পাহাড় কেটে, কোথাও সড়ক দখল করে চলছে এসব ভবণ নির্মান। অনেকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মৌখিক অনুমতি নিয়েই খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গায় নির্মান করছে বহুতল ভবন। শুধুমাত্র কলাতলির সৈকত পাড়া মসজিদের দক্ষিণ পাশের পাহাড়ের লাগোয়া জায়গায় গড়ে তোলা হচ্ছে ৫/৬ তলা বিশিষ্ট ৪ টি ভবন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন দুর্ণীতিবাজ কউক কর্মকর্তা, চাঁদাবাজ ও কথিত সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেই এসব অপকর্ম চালানো হচ্ছে। এসব ম্যানেজ করার জন্যও রয়েছে উক্ত সিন্ডিকেটের উপ-টীম ।
সূত্র মতে, কলাতলির বিশেষ এলাকাকে ইসি এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হলেও কেউ মানছেনা এই আইন। ভবন তৈরীতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) ও জেলা প্রশাসন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঠিক অনুমতির ও প্রয়োজন মনে করছেন না প্রভাবশালীরা।
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, সৈকত পাডা জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশেই আবাসিক হোটেল রিগ্যাল হোমের অল্প দুরত্বে খাস খতিয়ানভুক্ত পাহাড়ি জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে একটি বহুতল ভবন। ইতিমধ্যে ভবনটি ছয়তলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই করা হয়েছে। সৈকত পাড়া এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানায়, এই ছয়তলা ভবনটি নির্মাণ করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ৪-৬জন দোকানদার।
উক্ত দোকানদাররা জানান, এ ভবনটি দোকান মালিক সমিতির আন্ডারে করা হচ্ছে, এবং উক্ত এলাকার সমাজ কমিটির সদস্য অবগত আছে এবং তারা দেখাশোনাও করে বলে জানান উক্ত ভবন নির্মাণ কারীরা।
উক্ত নির্মাণাধীন ভবনের টিক সামনে অবস্থিত চা দোকানদার ভুট্টো জানান, উক্ত ভবন নির্মানের জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছে। তাছাড়া সাংবাদিক পরিচয়ে কয়েকজন এসে খরচের টাকাও নিয়ে গেছে। এখানে মালিক পক্ষের কেউ নেই। এবং উক্ত ভবটি সমাজের অন্তর্ভুক্ত একটি সমিতির উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিবেদককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “যদি আপনার কোন বিষয় জানার থাকলে আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন”। পরিবেশ অধিদপ্তর ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবনটি নির্মাণের বিষয়ে অবগত বলেও দাবী করেন করেন এ দোকানদার।
অন্য দিকে ঠিক একই গলিতে দুইশো গজের মধ্যে রয়েছে ম্যারিন পার্ক কটেজ। এই ভবনটি দুই তলা বিশিষ্ট হলেও সরকার পরিবর্তনের সুযোগে ৫ তলা পর্যন্ত কাজ চলমান রয়েছে। গত ১ মাসের মধ্যে ৪ টি ছাদ ঢালাই শেষ করেছে কটেজের মালিক। এখানেও রয়েছে কউক ও সাংবাদিক ম্যানেজের কথা বলে একটি টাকা হাতিয়ে নেয়া মধ্যসত্বভোগী দল।
উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কতিপয় কর্মকর্তা ভবণ নির্মাণের খবর জানার পরেও অজ্ঞাত কারণে চুপ রয়েছেন বলে দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। কতিপয় কর্মকর্তা ভবন নির্মাণস্থল পরিদর্শনে এসে ম্যানেজ হয়ে ফিরে গেছে বলে জানিয়েছেন একাধিক সূত্র।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, সুগন্ধা পয়েন্টের পূর্ব পাশে সৈকতপাড়া এলাকায় বীনা বাঁধায় চলছে একাধিক অবৈধ বহুতল ভবনের নির্মান কাজ। গেল কয়েক বছর ম্যারিন পার্ক কটেজটি বহুতল করার চেষ্টা ব্যর্থ হলেও গত কয়েক মাসের মধ্যেই উঠে গেছে পাঁচ তলা ভবন। কউক’কে ম্যানেজ করে এসব ভবন নির্মাণ করছে বলে দাবি করেছেন অনেক ভবন মালিক।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, শুধুমাত্র সৈকতপাড়া মসজিদ এর পেছনের গলিতে আধা কিলোমিটার এর মধ্যেই গড়ে উঠছে অর্ধ ডজন অবৈধ ভবন। গণপূর্তের নির্মিত শিশু উদ্যানের পিছনের গলিতেই গেলে দেখা মেলে এসব অবৈধ ভবন নির্মাণের হিড়িক। ভবন মালিকের অনেকেই নিজেদের নিবন্ধিত জায়গায় নির্মাণের দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে এসব জায়গা খাস খতিয়ানভুক্ত।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন সম্প্রতি প্রতিবেদককে জানান, “ওই লোকেশনে অবৈধ ভবণ নির্মাণের বিষয়টি আমাকে কেউ অবগত করেনি। আমি ওখানে একটি টিম পাঠাবো। তারা খবরা-খবর নিয়ে অবৈধ হলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমি কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। সর্বোচ্চ সততা এবং পেশাদারিত্বের মধ্যেই আমি কাজ চালিয়ে যাব”।
তবে কউক চেয়ারম্যানের এই বক্তব্যের পরে উক্ত এলাকার কয়েকটি অবৈধ নির্মানাধীন ভবনে কয়েকটি নোটিশ দিলেও এসব অবৈধ ভবনের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ , প্রকৃতপক্ষে সৈকতপাড়া এলাকার কোন ভবনেই কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই। উক্ত এলাকায় ইতিপূর্বে নির্মিত শতাধিক বহুতল ভবন কউক, জেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই করা হয়েছে। কলাতলীর সাতটি পয়েন্টে সুযোগ বুঝেই নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছ