Dhaka , Wednesday, 15 October 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন চাঁদাবাজির মামলায় বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় আইনজীবীর উপর হামলার চেষ্টা, সংবাদ সংগ্রহে বাধা তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে রূপগঞ্জে দলীয় জনসভা সদরপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৭ জেলের কারাদণ্ড। কালিহাতীতে বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ: অবশেষে গ্রেফতার ধর্ষক ইসমাইল সরাইলে মাসব্যপি টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন হাটহাজারীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ, তিন ফার্মেসীকে জরিমানা। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের মিনিবার ফুটবল মেগা ফাইনাল অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত ৪ ভোলাকোট ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন মতিন সভাপতি  হারুন সাধারণসম্পাদক   যশোরে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক কারবারি গ্রেফতার শার্শায় আরোও এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার ঈদগাঁওতে বন্দুকসহ পুলিশের হাতে আটক ১ রূপগঞ্জে জোরপূর্বক ব্যবসায়ীর জমি ঘরে দখলের চেষ্টা কক্সবাজারে টেকসই মৎস্যচাষ উন্নয়নে দিনব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে উদ্বোধন হলো JUSC Sports Club গর্জনিয়া–কচ্ছপিয়া লাইন পরিচালনা কমিটি অনুমোদন দিল কক্সবাজার জেলা সিএনজি, অটোরিকশা ও টেম্পো সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন- রেজিষ্ট্রেশন নং-১৪৯১ রামগঞ্জে আলোচিত মা মেয়ে হত্যার সন্দেহভাজন আরেক আসামি গ্রেফতার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ডোর টু ডোর প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে:- মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সাভার আশুলিয়ায় প্রতারণা মামলায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার রামগঞ্জে আলোচিত মা-মেয়ে হত্যাকান্ডে খুনিদের ফাঁসির দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন নোয়াখালীতে রাস্তায় প্রকাশ্যে যুবককে গলা কেটে হত্যা নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার উদ্যোগে সড়ক সংস্কার ঠাকুরগাঁও হরিপুরে ঘন কুয়াশায় শীতের আগমনী বার্তা নোয়াখালীতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার-১ সরাইল,ব্যাটালিয়ন(২৫বিজিবি) কর্তৃক বিপুল পরিমাণের অবৈধ মালামাল আটক সুন্দরগঞ্জে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে কর্মবিরতি ‘সমন্বিত উদ্যোগ, প্রতিরোধ করি দুর্যোগ’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে হাটহাজারীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু তাহের চৌধুরীর ইন্তেকালঃ বিভিন্ন মহলের শোক নরসিংদীর পলাশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

উখিয়া সিবিও এনজিও এ্যালায়েন্স’র ১২ দফা দাবি নিয়ে জামায়াতের সাথে সংলাপ 

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 07:31:33 pm, Monday, 19 May 2025
  • 279 বার পড়া হয়েছে

উখিয়া সিবিও এনজিও এ্যালায়েন্স'র ১২ দফা দাবি নিয়ে জামায়াতের সাথে সংলাপ 

কক্সবাজার অফিস 
রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মানবিক বিপর্যয় গুলোর একটি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। বাংলাদেশ সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের আশ্রয় দেয়, বিশেষ করে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায়। এই সংকটে হোস্ট কমিউনিটি অর্থাৎ স্থানীয় জনগণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 
দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে। এ পরিস্থিতি শুধু বাংলাদেশ সরকারের জন্য নয়, বরং হোস্ট কমিউনিটি বা স্থানীয় জনগণের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাদের এই আগমন স্থানীয় পরিবেশ, অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামোর উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। 
হোস্ট কমিউনিটির জনগণ শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি ও মানবিক সহায়তা প্রদর্শন করে। তারা নিজেদের সীমিত সম্পদের মধ্যেও খাদ্য, পানি, আশ্রয় এবং সহযোগিতা প্রদান করেছে। শুরুতে এই মানবিক সহায়তা ছিল স্বতঃস্ফূর্ত ও আন্তরিক।
রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি হোস্ট কমিউনিটির জীবিকা, জমি, বনজ সম্পদ এবং পরিবেশের উপর চাপ সৃষ্টি করে। স্থানীয় জনগণের জন্য শ্রম বাজার সংকুচিত হয়, কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বন উজাড়ের হার বৃদ্ধি পায়।
স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংস্কৃতি, ভাষা ও জীবনধারার পার্থক্য থাকায় মাঝে মাঝে সামাজিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তার ঝুঁকি এবং অপরাধ প্রবণতা বাড়ার আশঙ্কাও দেখা গেছে। তবে হোস্ট কমিউনিটি সাধারণভাবে সহনশীলতা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে চলেছে।
হোস্ট কমিউনিটির অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের জন্য বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবিকা উন্নয়নে হোস্ট কমিউনিটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। একইসঙ্গে, আন্তর্জাতিক সহায়তা আরও জোরদার হওয়া উচিত।
রোহিঙ্গা সংকটে হোস্ট কমিউনিটির মানবিক অবদান অবিস্মরণীয়। এই বিপর্যয়ের মোকাবেলায় স্থানীয় জনগণের সহানুভূতি, ত্যাগ ও ধৈর্য গোটা বিশ্বের কাছে একটি মানবিক উদাহরণ। তবে এই অবদান টেকসই রাখতে হলে তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট সহায়তা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা অপরিহার্য।
এ লক্ষে ইউসিএনএ’র পক্ষ থেকে এগারো দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের  বরাদ্দের ৩০% হোষ্ট কমিউনিটির মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে, হোষ্ট কমিউনিটির প্রকল্প গুলো হোষ্ট কমিউনিটির এজেন্সির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে, হোষ্ট কমিউনিটির কে জিআরপি তে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং  হোষ্ট কমিউনিটি উখিয়া টেকনাফের বাহিরে ৩০% বরাদ্দ থেকে কোন প্রকল্প নেওয়া যাবে না, কোন দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠান সরাসরি ক্যাম্পে কাজ করতে পারবে না। রোহিঙ্গাদের কোন সংস্থা র মাধ্যমে হুন্ডির মাধ্যমে ক্যাম্পে কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না, অধিকার ভিত্তিক প্রকল্পগুলো, যেমন মানবপাচার প্রতিরোধ, সহিংসতা প্রতিরোধ , জিবিভি ইত্যাদি স্হানীয় এনজিও ও সিবিও দের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে, আন্তর্জাতিক ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনে ইউসিএনএ’র প্রতিনিধি বা হোষ্ট কমিউনিটির প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে, উখিয়া টেকনাফে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যানজট নিরসনে বাইপাস সড়ক তৈরি করতে হবে এবং একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে, হোষ্ট কমিউনিটির মানুষের জন্য মানবিক প্রকল্পগুলো চলমান রাখতে হবে এবং কোন অজুহাতে বন্ধ করা যাবেনা, ইউসিএনএ’র সাথে আরআরআরসি, ডিসি ও ইউএন এজেন্সিগুলোর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে, এলক্ষে আইনপ্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট করতে হবে এবং সম্প্রীতি রক্ষায় সম্প্রীতি পরিষদের কর্মকাণ্ডে স্বীকৃতি প্রদান করে রোহিঙ্গা ও হোষ্ট কমিউনিটির মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। 
সংলাপে এগারো দফা দাবি উপস্থাপন করেন এনজিও হেলপ এর নির্বাহী পরিচালক ও UCNA এর সভাপতি আবুল কাশেম। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আমির মাওলানা আবুল ফজল, উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা সুলতান আহমদ, মাওলানা আবদুর রহিম, মাওলানা আবুল হোসেন, মাস্টার মুহাম্মদ হাশেম, মোহাম্মদ ইউনুছ, মনজুর আলম।
উখিয়া সিবিও এনজিও এ্যালায়েন্স -UCNA এর পক্ষ  থেকে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ শাহ আলম, রাকিব আল হাসান, রাশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ জুয়েল, মারজুদুর রহমান আয়াত, নুর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মনজুর আলম, খোরশেদ আলম বাবু, আব্দুর রহমান প্রমুখ। 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

উখিয়া সিবিও এনজিও এ্যালায়েন্স’র ১২ দফা দাবি নিয়ে জামায়াতের সাথে সংলাপ 

আপডেট সময় : 07:31:33 pm, Monday, 19 May 2025
কক্সবাজার অফিস 
রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মানবিক বিপর্যয় গুলোর একটি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। বাংলাদেশ সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের আশ্রয় দেয়, বিশেষ করে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায়। এই সংকটে হোস্ট কমিউনিটি অর্থাৎ স্থানীয় জনগণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 
দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে। এ পরিস্থিতি শুধু বাংলাদেশ সরকারের জন্য নয়, বরং হোস্ট কমিউনিটি বা স্থানীয় জনগণের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাদের এই আগমন স্থানীয় পরিবেশ, অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামোর উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। 
হোস্ট কমিউনিটির জনগণ শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি ও মানবিক সহায়তা প্রদর্শন করে। তারা নিজেদের সীমিত সম্পদের মধ্যেও খাদ্য, পানি, আশ্রয় এবং সহযোগিতা প্রদান করেছে। শুরুতে এই মানবিক সহায়তা ছিল স্বতঃস্ফূর্ত ও আন্তরিক।
রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি হোস্ট কমিউনিটির জীবিকা, জমি, বনজ সম্পদ এবং পরিবেশের উপর চাপ সৃষ্টি করে। স্থানীয় জনগণের জন্য শ্রম বাজার সংকুচিত হয়, কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বন উজাড়ের হার বৃদ্ধি পায়।
স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংস্কৃতি, ভাষা ও জীবনধারার পার্থক্য থাকায় মাঝে মাঝে সামাজিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তার ঝুঁকি এবং অপরাধ প্রবণতা বাড়ার আশঙ্কাও দেখা গেছে। তবে হোস্ট কমিউনিটি সাধারণভাবে সহনশীলতা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে চলেছে।
হোস্ট কমিউনিটির অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের জন্য বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবিকা উন্নয়নে হোস্ট কমিউনিটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। একইসঙ্গে, আন্তর্জাতিক সহায়তা আরও জোরদার হওয়া উচিত।
রোহিঙ্গা সংকটে হোস্ট কমিউনিটির মানবিক অবদান অবিস্মরণীয়। এই বিপর্যয়ের মোকাবেলায় স্থানীয় জনগণের সহানুভূতি, ত্যাগ ও ধৈর্য গোটা বিশ্বের কাছে একটি মানবিক উদাহরণ। তবে এই অবদান টেকসই রাখতে হলে তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট সহায়তা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা অপরিহার্য।
এ লক্ষে ইউসিএনএ’র পক্ষ থেকে এগারো দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের  বরাদ্দের ৩০% হোষ্ট কমিউনিটির মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে, হোষ্ট কমিউনিটির প্রকল্প গুলো হোষ্ট কমিউনিটির এজেন্সির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে, হোষ্ট কমিউনিটির কে জিআরপি তে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং  হোষ্ট কমিউনিটি উখিয়া টেকনাফের বাহিরে ৩০% বরাদ্দ থেকে কোন প্রকল্প নেওয়া যাবে না, কোন দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠান সরাসরি ক্যাম্পে কাজ করতে পারবে না। রোহিঙ্গাদের কোন সংস্থা র মাধ্যমে হুন্ডির মাধ্যমে ক্যাম্পে কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না, অধিকার ভিত্তিক প্রকল্পগুলো, যেমন মানবপাচার প্রতিরোধ, সহিংসতা প্রতিরোধ , জিবিভি ইত্যাদি স্হানীয় এনজিও ও সিবিও দের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে, আন্তর্জাতিক ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনে ইউসিএনএ’র প্রতিনিধি বা হোষ্ট কমিউনিটির প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে, উখিয়া টেকনাফে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যানজট নিরসনে বাইপাস সড়ক তৈরি করতে হবে এবং একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে, হোষ্ট কমিউনিটির মানুষের জন্য মানবিক প্রকল্পগুলো চলমান রাখতে হবে এবং কোন অজুহাতে বন্ধ করা যাবেনা, ইউসিএনএ’র সাথে আরআরআরসি, ডিসি ও ইউএন এজেন্সিগুলোর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে, এলক্ষে আইনপ্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট করতে হবে এবং সম্প্রীতি রক্ষায় সম্প্রীতি পরিষদের কর্মকাণ্ডে স্বীকৃতি প্রদান করে রোহিঙ্গা ও হোষ্ট কমিউনিটির মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। 
সংলাপে এগারো দফা দাবি উপস্থাপন করেন এনজিও হেলপ এর নির্বাহী পরিচালক ও UCNA এর সভাপতি আবুল কাশেম। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আমির মাওলানা আবুল ফজল, উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা সুলতান আহমদ, মাওলানা আবদুর রহিম, মাওলানা আবুল হোসেন, মাস্টার মুহাম্মদ হাশেম, মোহাম্মদ ইউনুছ, মনজুর আলম।
উখিয়া সিবিও এনজিও এ্যালায়েন্স -UCNA এর পক্ষ  থেকে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ শাহ আলম, রাকিব আল হাসান, রাশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ জুয়েল, মারজুদুর রহমান আয়াত, নুর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মনজুর আলম, খোরশেদ আলম বাবু, আব্দুর রহমান প্রমুখ।