
মোঃ আবু কাওছার মিঠু, রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
ওসমান হাদীকে গুলি করার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন থেকে শুরু করে রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নে শুক্রবার সন্ধ্যার পড়ে বিক্ষোভ মিছল বের হয়। শুক্রবার(১২ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পড়ে মিছিলটি বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষন করে রূপগঞ্জ থানার সামনে মিছিলটি শেষ করে।
জুলাই আন্দোলনের ছাত্র ও এনসিপির কর্মীরা। ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর প্রকাশ্য দিবালোকে সশস্ত্র হামলা। হামলাকারী দুর্বৃত্তদের দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। একইসাথে গুরুতর আহত ওসমান হাদির সর্বোচ্চ মানের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভকারীরা এই হামলাকে দেশের নির্বাচনী পরিবেশ বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেন।
মিছিলে বক্তারা বলেন,এই হামলা কেবল ওসমান হাদির উপর হামলা নয়; এটি গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা! এটি আসন্ন নির্বাচনকে বানচাল করার অপচেষ্টা! যারা ভেবেছে গুলি চালিয়ে, রক্ত ঝরিয়ে তারা ছাত্র-জনতার আন্দোলন থামিয়ে দেবে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। রূপগঞ্জের এই রাজপথ প্রমাণ করে, আমরা ভয় পাই না! একটি ওসমান হাদিকে গুলি করলে হাজারো ওসমান হাদি রাজপথে নেমে আসে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি পরিষ্কার বার্তা দিতে চাই। আপনি দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আমরা আর আশ্বাস চাই না, আমরা ফল চাই! আমরা দেখতে চাই, যারা এই কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে, তারা যেন দ্রুত আইনের আওতায় আসে। এই হামলাকারীরা সমাজের কীট, এদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না। অপরাধীর পরিচয় কেবল অপরাধী। জুলাই আন্দোলনের বন্ধুরা, ইনকিলাব মঞ্চের সহযোদ্ধারা! আমাদের নেতার রক্ত বৃথা যেতে দেব না। আজ আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হচ্ছি—যতক্ষণ না হামলাকারীদের বিচার হচ্ছে, যতক্ষণ না ওসমান হাদি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের বিক্ষোভ চলবে। রাজপথে আমাদের উপস্থিতি বজায় থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা এনসিপি’র প্রধান সমন্বয়কারী মো: ইউসুফ হোসাইন,প্রথম যুগ্ম সমন্বয়কারী আজিজুল হাকিম রাতুল, যুগ্ম সমন্বয়কারী এড. সেলিম মিয়া,সদস্য সমন্বয়কারী ইফতেখারুজ্জামান সাগর,গাফফার চৌধুরী,ইমরান হোসেন,নাঈম হোসেন,রুবেল মিয়া,শরিফ মিয়া,রনি প্রমুখ।
























