দৈনিক আজকের বাংলা ডেস্ক।।
তৃতীয় কিস্তির পর থেকেই ‘কৃষ ফোর’ নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু নানা কারণে কৃষ-এর চতুর্থ কিস্তি আসেনি। এই সিরিজের সবগুলো ছবিই বানিয়েছিলেন হৃতিকের বাবা প্রযোজক-পরিচালক রাকেশ রোশান। বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে ‘কৃষ ফোর’ প্রসঙ্গে হৃতিক ও তাঁর বাবা জানিয়েছিলেন, ছবির চতুর্থ কিস্তিও তাঁরা বানাবেন। বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য পায় ‘কৃষ থ্রি’। ফলে সুপারহিরো সিরিজটি এগিয়ে নিয়ে যেতে কোনো বাধা ছিল না। হঠাৎ করে সে আলোচনা থেমে গেলেও ছবির ১৫ বছর পূর্তিতে আবারও ‘কৃষ ফোর’-এর কথা মনে করিয়ে দেন হৃতিক।
‘অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন’ রোহিত মেহরা হিসেবে পর্দায় এসেছিল ভারতীয় সুপারহিরো কৃষ। এ বছর ছবিটির ১৫ বছর পূর্তি হলো। ২০০৬ সালের ২৩ জুন মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। মুক্তির ১৫ বছর পর ছবির অভিনেতা হৃতিক রোশন ঘোষণা দিলেন, ‘কৃষ ফোর’ নির্মিত হবে। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে কৃষের একটি টিজার পোস্ট করেছেন হৃতিক। এবার কি তবে আবার আসছে ‘কৃষ’?
ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হৃতিকের ভিডিওতে দেখা গেছে, কালো লং কোট পরে আকাশে উড়ছে কৃষ। মুখ থেকে খুলে ফেলে দিয়েছেন মুখোশ। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘অতীতে যা হওয়ার হয়েছে। দেখা যাক, সামনে কী হয়। কৃষ ফোর।’ হ্যাশট্যাগে তিনি যুক্ত করেছেন, ‘ফিফটিন ইয়ারস অব কৃষ’ এবং ‘কৃষ ফোর’।
কেন কৃষ নিয়ে এত মাতামাতি? হিন্দি ছবির ইতিহাসে ‘কৃষ’ ছাড়াও পাওয়া গিয়েছিল একাধিক সুপারহিরো। তবে কৃষ-এর মতো জনপ্রিয়তা পায়নি কেউ। এমনকি ছবির পরের কিস্তিগুলোতেও টান টান উত্তেজনা অটুট ছিল ছবিটির। এই ছবির মাধ্যমেই হলিউডে দেখা সুপারহিরোদের আদলে যেন দেশীয় এক সুপারহিরোকে পান ভারত ও উপমহাদেশের দর্শকেরা। এটিই ছবির সাফল্যের প্রধান কারণ বলে মনে করেন চলচ্চিত্র সমালোচক ও বাণিজ্যিক ছবির বিশ্লেষকেরা। তবে পাশাপাশি এ–ও জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, ‘কৃষ ফোর’ নিয়ে বিস্তারিত তেমন কোনো তথ্য জানাননি ছবির অভিনেতা, প্রযোজক বা পরিচালক।
কৃষ ফ্রাঞ্চাইজের প্রথম ছবি ২০০৩ সালের ‘কোয়ি মিল গ্যায়া’। পরে ২০০৬ সালে আসে ‘কৃষ’ এবং ২০১৩ সালে ‘কৃষ থ্রি।’ কৃষ রোহান মেহরা ও নিশার ছেলে। বাবা ও ছেলে দুই চরিত্রেই অভিনয় করেছিলেন হৃতিক। নিশার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রীতি জিনতা।
‘কৃষ’-এর গল্পটি আসে ‘কোয়ি মিল গ্যায়া’ থেকে। বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী কৃষ একটি সুপারকম্পিউটার বানিয়ে পৃথিবীকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। সেটি চলে যায় দুষ্টু বিজ্ঞানী সিদ্ধার্থ আর্যর হাতে। নিজের স্বার্থের জন্য তিনি সেটি অপব্যবহার করেন। ছবির দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তিতে কৃষের সঙ্গীর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও দ্য কুইন্ট