
অরবিন্দ রায়,
নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত ও অন্তত ০৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালি ইউনিয়নের মুরাদ নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
নিহত ইদন মিয়া (৭০) উপজেলার মুরাদ নগর গ্রামের বাসিন্দা এবং ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলামের চাচা।
সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় যমুনা টেলিভিশনের নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি আইয়ুব খান সরকারের ওপর হামলা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা সরকারের পটপরিবর্তন হওয়ার পর থেকে গত বছরের ৫ আগষ্টের পর থেকে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন, বাজার দখল সহ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করার লক্ষ্যে দুই গ্রুপ পরস্পর বিরোধে জড়ায়। এর আগেও বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ইউনিয়ন যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলামের চাচা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোন সময় আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত অবস্থায় রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের ওপর হামলায় ক্ষোভ নিন্দা প্রকাশ করেছে সাংবাদিকরা। পলাশ উপজেলার প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাজী জাহিদ হোসেন গাজী ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম রনি সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।