Dhaka , Friday, 22 November 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
বৈষম‌বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন: বেঁচে ফেরার আশা করেনি সানিয়াত।। বিদ্যুৎ অফিসে ডেকে নিয়ে প্রতিবেদককে হুমকি থানায় জিডি।। লালপুরে ভাঙা কালভার্টে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত।। গাংনী রিপোর্টার্স ক্লাবে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।। নীলফামারীতে  শর্ট পিচ নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত।। ইকরা ট্রাভেলস-সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন।। জিয়া মঞ্চ পিরোজপুর জেলা শাখার নব গঠিত আহবায়ক কমিটির পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত।। পিরোজপুর সদর উপজেলায় সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক ও উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনামাছ অবমুক্তকরণ।। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত।। দেবহাটায় জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ আসিফ ও আহতদের স্মরনে স্মরন সভা।। সীমিত সামর্থ্য ও নানা সংকট নিয়ে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।। দেবহাটা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত।। সিদ্ধিরগঞ্জে ঝোপের ভেতর থেকে ইজিবাইক চালকের জবাই করা লাশ উদ্ধার।। খাদ্যের সরবরাহে কোন কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে দেওয়া হবেনা- বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।। আগামীকাল হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল শুরু।। কোম্পানীগঞ্জে ট্রাকের চাপায় শিশুর মৃত্যু।। শেরপুরে গ্রাম পর্যায়ে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকাদানে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত।। মেধা যাচাইয়ের লক্ষ্যে জামালপুরে নূরানী স্কলারশীপ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত।। নারায়ণগঞ্জে অজ্ঞাত ব্যক্তির জবাইকৃত লাশ উদ্ধার।। লক্ষ্মীপুরে আহতদের সুচিকিৎসা দাবিতে সড়ক অবরোধ।। রূপগঞ্জে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টায় হামলার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন।। নিখোঁজের ১০ দিন পর খালে মিলল বেদের মরদেহ।। রামগঞ্জে বিনা লাভের সবজি বাজারে ব্যাপক সাড়া।। পাবনায় ইজিবাইক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ২।। কক্সবাজার’র রামুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে প্রতারণা- দুইযুবক আটক।। মোবাইলে ভিডিও চালু রেখে পাবনার এক কিশোরীর ঢাকায় আত্মহত্যা।। কাজের গুনগত মান ঠিক না থাকলে বিল দেয়া হবে না- চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত।। বেতন বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জে ওরিয়ন ফার্মায় শ্রমিক অসন্তোষ।। সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুলিতে নিহত সুমাইয়ার লাশ  চার মাস পর কবর থেকে উত্তোলন।। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ।।

অর্ধলক্ষাধিক পরিবারের ঈদের আনন্দ ম্লান!

  • সৈকত
  • আপডেট সময় : 04:55:29 am, Wednesday, 12 May 2021
  • 287 বার পড়া হয়েছে

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলার অংশ হিসাবে গত এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ফলে কক্সবাজার শহরসহ জেলার পর্যটন কেন্দ্রসমূহে অবস্থিত ৭ শতাধিক আবাসিক হোটেল ও সহস্রাধিক রেস্তোরাঁয় এ বছর ঈদের প্রস্তুতি নেই। করোনার কারণে কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টরের সাথে জড়িত অর্ধলক্ষাধিক পরিবারে এবারও ঈদের আনন্দ ম্লান।

প্রতিবছর দুই ঈদ, দূর্গাপুজা ও ইংরেজি নববর্ষে কক্সবাজারে সর্বোচ্চ পর্যটকের ঢল নামে।

তবে করোনার কারণে গতবছরও কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টরের অবস্থা ছিল এবারের মতোই। তবে বছরের আগস্টে সীমিত পরিসরে পর্যটন শিল্প খুলে দেয়ার পর গত ইংরেজি নববর্ষে কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।

এসময় একদিনেই কক্সবাজারে ১০ লক্ষাধিক পর্যটক সমাগম ঘটে বলে জানান পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার গত ১ এপ্রিল থেকে কক্সবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করলে কক্সবাজার শহরসহ জেলার পর্যটন কেন্দ্রসমূহে অবস্থিত ৭ শতাধিক আবাসিক হোটেল ও সহস্রাধিক রেস্তোরাঁ, দোকানপাট, ট্যুর অপারেটরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ বেকার হয়ে পড়েন।

ফলে এবারের ঈদুল ফিতরের আনন্দ থেকে কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টরের সাথে জড়িতদের পরিবার বঞ্চিত বলে জানান ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান।

ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ ট্যুরিজম সার্ভিসেস এসোসিয়েশন কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন- করোনা লকডাউনের কারণে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে দৈনিক ১০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে। গত দেড় মাস ধরে হোটেল-মোটেলসমূহ বন্ধ থাকায় মালিকপক্ষ ব্যাপক লোকসানের শিকার হচ্ছে। যে কারণে বেশিরভাগ কর্মচারীকেই ছুটি দেয়া হয়েছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস অফিসার্স এসোসিয়েশন পর্যটন সেক্টরের কর্মজীবীদের জীবিকা রক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের সময় হোটেল-মোটেল ও সমুদ্র সৈকত খুলে দেওয়ার দাবী জানান। এই দাবীতে সংগঠনটি খুব শীঘ্রই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিচ্ছে বলেও জানান সংগঠনটির সভাপতি সুবীর চৌধুরী বাদল ও করিম উল্লাহ কলিম।

দীর্ঘদিন পর্যটন সেক্টর বন্ধ থাকায় এসব পরিবারে অভাব-অনটন দেখা দিয়েছে। দক্ষ ও যোগ্য পর্যটন কর্মীরা পেশা পরিবর্তন করে অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। ফলে পর্যটন শিল্পে দক্ষ ও যোগ্য কর্মীর অভাব দেখা দিবে।

দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মীরা এখন সম্পূর্ণ কর্মহীন রয়েছে। দীর্ঘ দিন হোটেল বন্ধ থাকার ফলে হোটেলে আসবাবপত্র এসিসহ মুল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া রেস্তোঁরার কর্মচারী, ঝিনুক ওয়ালা, বীচ হকার, জীপ গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপার, কিটকট কর্মচারী, শুটকী বিক্রেতা, বার্মিজ শিল্পের সাথে জড়িত লক্ষাধিক মানুষ বেকার রয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুসারে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বন্ধ রয়েছে। এই সময়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে এলে সরকার পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে।

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

বৈষম‌বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন: বেঁচে ফেরার আশা করেনি সানিয়াত।।

অর্ধলক্ষাধিক পরিবারের ঈদের আনন্দ ম্লান!

আপডেট সময় : 04:55:29 am, Wednesday, 12 May 2021

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলার অংশ হিসাবে গত এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ফলে কক্সবাজার শহরসহ জেলার পর্যটন কেন্দ্রসমূহে অবস্থিত ৭ শতাধিক আবাসিক হোটেল ও সহস্রাধিক রেস্তোরাঁয় এ বছর ঈদের প্রস্তুতি নেই। করোনার কারণে কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টরের সাথে জড়িত অর্ধলক্ষাধিক পরিবারে এবারও ঈদের আনন্দ ম্লান।

প্রতিবছর দুই ঈদ, দূর্গাপুজা ও ইংরেজি নববর্ষে কক্সবাজারে সর্বোচ্চ পর্যটকের ঢল নামে।

তবে করোনার কারণে গতবছরও কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টরের অবস্থা ছিল এবারের মতোই। তবে বছরের আগস্টে সীমিত পরিসরে পর্যটন শিল্প খুলে দেয়ার পর গত ইংরেজি নববর্ষে কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।

এসময় একদিনেই কক্সবাজারে ১০ লক্ষাধিক পর্যটক সমাগম ঘটে বলে জানান পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার গত ১ এপ্রিল থেকে কক্সবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করলে কক্সবাজার শহরসহ জেলার পর্যটন কেন্দ্রসমূহে অবস্থিত ৭ শতাধিক আবাসিক হোটেল ও সহস্রাধিক রেস্তোরাঁ, দোকানপাট, ট্যুর অপারেটরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ বেকার হয়ে পড়েন।

ফলে এবারের ঈদুল ফিতরের আনন্দ থেকে কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টরের সাথে জড়িতদের পরিবার বঞ্চিত বলে জানান ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান।

ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ ট্যুরিজম সার্ভিসেস এসোসিয়েশন কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন- করোনা লকডাউনের কারণে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে দৈনিক ১০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে। গত দেড় মাস ধরে হোটেল-মোটেলসমূহ বন্ধ থাকায় মালিকপক্ষ ব্যাপক লোকসানের শিকার হচ্ছে। যে কারণে বেশিরভাগ কর্মচারীকেই ছুটি দেয়া হয়েছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস অফিসার্স এসোসিয়েশন পর্যটন সেক্টরের কর্মজীবীদের জীবিকা রক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের সময় হোটেল-মোটেল ও সমুদ্র সৈকত খুলে দেওয়ার দাবী জানান। এই দাবীতে সংগঠনটি খুব শীঘ্রই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিচ্ছে বলেও জানান সংগঠনটির সভাপতি সুবীর চৌধুরী বাদল ও করিম উল্লাহ কলিম।

দীর্ঘদিন পর্যটন সেক্টর বন্ধ থাকায় এসব পরিবারে অভাব-অনটন দেখা দিয়েছে। দক্ষ ও যোগ্য পর্যটন কর্মীরা পেশা পরিবর্তন করে অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। ফলে পর্যটন শিল্পে দক্ষ ও যোগ্য কর্মীর অভাব দেখা দিবে।

দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মীরা এখন সম্পূর্ণ কর্মহীন রয়েছে। দীর্ঘ দিন হোটেল বন্ধ থাকার ফলে হোটেলে আসবাবপত্র এসিসহ মুল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া রেস্তোঁরার কর্মচারী, ঝিনুক ওয়ালা, বীচ হকার, জীপ গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপার, কিটকট কর্মচারী, শুটকী বিক্রেতা, বার্মিজ শিল্পের সাথে জড়িত লক্ষাধিক মানুষ বেকার রয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুসারে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বন্ধ রয়েছে। এই সময়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে এলে সরকার পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে।