Dhaka , Saturday, 17 May 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
হাতের মেহেদী না শুকাতেই মেহেদীহাসানের জীবন শুকিয়ে গেলো  জুলাই দেশের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সংগ্রামের ফল- ভিপি নুর নোয়াখালীর চৌমুহনীতে আগুনে পুড়িয়ে যাওয়া পরিবারের পাশে টিন ও নগদ অর্থ সহয়তা দিলো জামায়াতে ইসলামী কালিহাতীতে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার ভৈরব রেলওয়ে জংশনে মালবাহী ট্রেনে ৪০ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক কারবারী গ্রেফতার ঐতিহ্যবাহী রামু রাবার বাগান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন শহীদ জিয়াউর রহমানই দেশে মুক্ত বাজার চালু করেছিলেন সাবেক এমপি কাজল ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাপান স্বেচ্ছাসেবক দলের আলোচনা ও কর্মী সভা অনুষ্ঠিত  রূপগঞ্জে জোরপূর্বক বালুভরাট ও দখলের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে ছাত্রদল নেতাদের হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ বিক্ষোভ মিছিল, ও সড়ক অবরোধ সরকারের শিক্ষা উন্নয়নে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহায়ক ভূমিকা রাখছে, কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজাউল হক  তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে মোংলায় যুবদলের প্রচার মিছিল কক্সবাজারের চকরিয়ায় ট্রাক-অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত নোয়াখালী বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মহসিন আলম মনোনীত দুর্গাপুর উপজেলা ও পৌর শাখা পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের রেডিসনে চলছে জমজমাট ঈদুল আজহা ফেস্ট রাঙামাটিতে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় যুবলীগ নেতা গ্রেফতার পাইকগাছায় নাশকতা মামলায় আটক-১ লালমনিরহাটে জামিনে মুক্ত ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি ও কিশোর গাং নেতার হামলার শিকার ৩ সাংবাদিক আলিকদমে চাঁন্দের গাড়ি খাদে পড়ে হতাহত ২৩ কক্সবাজারে স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী মৌমিতা উধাও  চার বছরেও শেষ হয়নি এলজিইডির স্কুল ভবন নির্মাণকাজ, ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী আগে নির্বাচন কমিশনের সংস্কার করে সংসদ নির্বাচন দেন- ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল নারকীয় রহস্য, পাটক্ষেতে আগুনে ঝলসে যাওয়া লাশ, এক ঘণ্টা পরই বিদ্যুতের ছোবলে মৃত্যু আরেক নারীর নরসিংদী ছাত্রদলের দুই নেতা জামিনে মুক্তিতে আনন্দ মিছিল  সোনারগাঁয়ে আ. লীগের কার্যালয় সহ ৫-৬০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ রূপগঞ্জে মোবাইল কোটের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ১ লাখ টাকা জরিমানা র‌্যাব-১৩ এর অভিযানে আনুমানিক ১ কোটি টাকা মূল্যের কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ তথ্য উপদেষ্টার উপর হামলার ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও সিএমইউজে’র নিন্দা জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি বালুচরে পশুর হাট না বসানোর দাবিতে প্রশাসনিক দপ্তরে জোনাকী সামাজিক সংস্থার লিখিত অভিযোগ

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙনে বিলিন ফসলি জমি।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 12:04:49 pm, Saturday, 8 June 2024
  • 65 বার পড়া হয়েছে

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙনে বিলিন ফসলি জমি।।

হযরত বেল্লাল
  
সুন্দরগঞ্জ -গাইবান্ধা- প্রতিনিধি।।
গত এক সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে আসা ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উজানে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে তোষাপাটসহ নানাবিধ ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলা কাপাশিয়া- হরিপুর- শ্রীপুর ও চন্ডিপুর ইউনিয়নে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া এক চর হতে অন্য চরে যাওয়া আসা করা সম্ভব হচ্ছে না। 
          
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর- বেলকা – হরিপুর- চন্ডিপুর- শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। প্রতিবছর তিস্তায় পানি বাড়ার সাথে সাথে বা বন্যা আসলেই শুরু হয় নদী ভাঙন। চলতে থাকে বছর ব্যাপী। নদী পাড়ের মানুষের দাবি- স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ দিনেও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধ- ড্রেজিং- নদী খনন- ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করেনি সরকার। যার কারণে প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, হাজারও একর ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
           
কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাশিয়া গ্রামের আকবর আলী জানান- হঠাৎ করে গত এক সপ্তাহ ধরে তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে তার ২ বিঘা জমির তোষাপাটসহ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি। তিনি আর বলেন নদীতে পানি বাড়লে এবং বন্যা আসলে তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। অথচ দেখার কেউ নাই। সামন্য ত্রান বিতরণ করে দায় এড়িয়ে যান সকলে।
           
হরিপুর লখিয়ার পাড়া গ্রামের মহির শেখ বলেন প্রতিবছর নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি- আবাদী জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। একজন চরবাসিকে মৌসুমে কমপক্ষে ২ বার ঘরবাড়ি সরাতে হচ্ছে। কিন্তু আজও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধের কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না।
            
কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মন্জু মিয়ার দাবি নদী খনন, ড্রেজিং, স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে কল্পে বহুবার চাহিদা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু আজও কোন ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ হতে নেয়া হয়নি। শুধুমাত্র ভাঙন রোধে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। স্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকানো না হলে চরবাসির দুঃখ কোন দিনও দুর হবে না। ভাঙনে প্রতিবছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি এবং হাজারও একর ফসলি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
            
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশিদুল কবির জানান- কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি চরে তিস্তার ভাঙনে তোষাপাটসহ অন্যান্য ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলি হচ্ছে। এতে করে কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা হয়নি। 
          
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল জানান- কাপাশিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন নদীভাঙন শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পাওয়া যায়নি। তালিকা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

হাতের মেহেদী না শুকাতেই মেহেদীহাসানের জীবন শুকিয়ে গেলো

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙনে বিলিন ফসলি জমি।।

আপডেট সময় : 12:04:49 pm, Saturday, 8 June 2024
হযরত বেল্লাল
  
সুন্দরগঞ্জ -গাইবান্ধা- প্রতিনিধি।।
গত এক সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে আসা ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উজানে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে তোষাপাটসহ নানাবিধ ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলা কাপাশিয়া- হরিপুর- শ্রীপুর ও চন্ডিপুর ইউনিয়নে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া এক চর হতে অন্য চরে যাওয়া আসা করা সম্ভব হচ্ছে না। 
          
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর- বেলকা – হরিপুর- চন্ডিপুর- শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। প্রতিবছর তিস্তায় পানি বাড়ার সাথে সাথে বা বন্যা আসলেই শুরু হয় নদী ভাঙন। চলতে থাকে বছর ব্যাপী। নদী পাড়ের মানুষের দাবি- স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ দিনেও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধ- ড্রেজিং- নদী খনন- ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করেনি সরকার। যার কারণে প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, হাজারও একর ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
           
কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাশিয়া গ্রামের আকবর আলী জানান- হঠাৎ করে গত এক সপ্তাহ ধরে তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে তার ২ বিঘা জমির তোষাপাটসহ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি। তিনি আর বলেন নদীতে পানি বাড়লে এবং বন্যা আসলে তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। অথচ দেখার কেউ নাই। সামন্য ত্রান বিতরণ করে দায় এড়িয়ে যান সকলে।
           
হরিপুর লখিয়ার পাড়া গ্রামের মহির শেখ বলেন প্রতিবছর নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি- আবাদী জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। একজন চরবাসিকে মৌসুমে কমপক্ষে ২ বার ঘরবাড়ি সরাতে হচ্ছে। কিন্তু আজও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধের কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না।
            
কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মন্জু মিয়ার দাবি নদী খনন, ড্রেজিং, স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে কল্পে বহুবার চাহিদা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু আজও কোন ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ হতে নেয়া হয়নি। শুধুমাত্র ভাঙন রোধে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। স্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকানো না হলে চরবাসির দুঃখ কোন দিনও দুর হবে না। ভাঙনে প্রতিবছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি এবং হাজারও একর ফসলি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
            
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশিদুল কবির জানান- কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি চরে তিস্তার ভাঙনে তোষাপাটসহ অন্যান্য ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলি হচ্ছে। এতে করে কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা হয়নি। 
          
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল জানান- কাপাশিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন নদীভাঙন শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পাওয়া যায়নি। তালিকা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।