
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্য সিঙ্গিমারী সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী -বিএসএফ-। পড়ে তারা হাসিবুল আলম ওরফে হাসিনুর ইসলাম -২৪- নামে এক যুবকের চোখে গুলি করে ভারতের অভ্যন্তরে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় ওই সীমান্তে ও এর আশপাশের এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই যুবক ইতোমধ্যে মারা গেছেন এবং তাকে মৃত অবস্থায় ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বুধবার -১৬ এপ্রিল- দুপুরে ঘটা এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহামুদুন-নবী । বুধবার সন্ধ্যায় ওসি মাহামুদুন-নবী দৈনিক আজকের বাংলাকে বলেন, “এখনও ঘটনাস্থলেই আছি। আজ বিকেল ৪টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। বিএসএফ জানিয়েছে যে আহত বাংলাদেশি যুবক ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। আগামীকাল-বৃহস্পতিবার- ৪ টায় আরেকটি পতাকা বৈঠকের সময় যুবককে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান্য বিএসএফ।“
অন্যদিকে এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৬১, বিজিবি ব্যাটালিয়নের সিইওকে ফোন করলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি। দায়িত্বশীল কারও সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরের দিকে ওই সীমান্তের ৮৯৪নং মেইন পিলার এর ৬ এস নম্বর সাব পিলারের কাছে হাসিবুলসহ কয়েকজন ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি জমিতে ঘাস কাটছিলেন। সেই সময় ভারতের শীতলকুচির -নগর সিঙ্গিমারী ক্যাম্পের- বিএসএফ এর টহল দল আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এরপর তারা হাসিবুল ওরফে হাসিনুরকে ধরে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। বিএসএফ তাদের গাড়িতে তোলার সময় এই বাংলাদেশি যুবকের চোখে গুলি করে। তাকে কুচবিহারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে বলে প্তাকা বৈঠকে জানায় বিএসএফ। আহত হাসিবুল ওরফে হাসিনুর ওই এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা অভিযোগের সুরে বলেন, “তাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গুলি করায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ -বিজিবি- এর দায়িত্বশীল কারও সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

























