মোঃ সৌরভ হোসাইন (সবুজ)
স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ।।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় খাল পূর্ণঃ খনন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালেও তা আমলে নেয়া হয়নি।
জানা যায়,উল্লাপাড়া উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) অধীনে বাঙ্গালা ইউনিয়নের ধরইল থেকে ভয়নগর ব্রীজ পর্যন্ত ৩ কিঃ মিঃ খাল পূর্ণঃখনন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। ধরইল বিলের পানি নিষ্কাসনের জন্য এ খাল পূর্ণঃখনন করা হচ্ছে। গত মাসে ধরইল গ্রামের পূর্বপ্রান্ত থেকে এ খাল খনন শুরু করা হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, খাল খননের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার স্থানীয় ইউপি সদস্য আশিকুর রহমান রিপনের সাথে যোগসাজশ করে বেকো মেশিন দিয়ে ৩ থেকে ৪ ফিট করে খালের কাঁদা সরিয়ে কৃষি জমিতে রাখছেন। খালের পাড় কেটে বড় দৈর্ঘ্য দেখানো হচ্ছে। অপর দিকে খননের প্রকৃত চিত্র যাতে না দেখা যায় সেজন্য অপর পাশ থেকে পানি দিয়ে পুরো খাল ভরাট করা হচ্ছে। এভাবে খাল খনন করা হলে সামান্য ঝর বৃষ্টিতে খালের মাটি খালেই যাবে। খালটি কৃষকদের কোন কাজেই আসবে না। এতে খননের নামে সরকারী অর্থ লোপাট করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা এমন খাল খননের নামে লুটপাট কাজে বাধা দিলে উল্টো তাদের চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
খাল খননে নিয়োজিত বেকো মেশিন চালক শাহ আলম ও আজাদ জানান, ঠিকাদার যেভাবে মাটি খনন করতে বলেছে আমরা সেভাবেই খনন করছি। বাঙ্গালা ইউপি সদস্য আশিকুর রহমান রিপন জানান,তিনি খাল খনন কাজে জড়িত নয়। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য হিসাবে কাজ বুঝে নিচ্ছেন। বিএডিসির টেন্ডারকৃত কাজ ইউপি সদস্য বুঝে নেয় কিভাবে?? প্রশ্ন করলে তিনি তা এডিয়ে যান।
এর আগেও উল্লাপাড়া উপজেলায় বিএডিসির অধীনে একাধিক খাল পূর্ণঃ খননের নামে একইভাবে সরকারী অর্থ লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে।
বাঙ্গালা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল রানা জানান,স্থানীয় কৃষকরা তার কাছে খাল খননের অনিয়মের বিষয়টি বার বার জানিয়েছে। বিষয়টি তিনি উল্লাপাড়া বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলীকে জানালেও তা আমলে না নিয়ে খাল খনন করা হচ্ছে।
এতে সরকারী অর্থ অপচয় করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
খাল খননে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে উল্লাপাড়া বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাহিদ হাসান জানান,৩ কিঃ মিঃ খাল পূর্ণঃ খননের কথা থাকলেও এখন ৮ লাখ টাকা ব্যায়ে ওই খালের ১ কিঃমিঃ খনন করা হচ্ছে। পরর্বতীতে ধাপে ধাপে পুরো খাল খনন করা হবে। তবে খননের নামে অনিয়ম হয়ে থাকলে তা তদন্ত করে বিল কেটে দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সিরাজগঞ্জ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাজুদ আলম জানান,অনিয়মের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এমন হয়ে থাকলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।