এম. শাহাবুদ্দিন রাজশাহী।।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নানান আয়োজন ১৬ দিন ব্যাপি বিভিন্ন প্রোগ্রামের আয়োজন করেছেন তেবিলা উচ্চ বিদ্যালয় দূর্গাপুর – রাজশাহী ও ব্র্যাক অগ্নি প্রকল্প রাজশাহী -আর্থিক সহযোগিতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ।
উক্ত আয়োজনে ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতনতা মূলক সভা -অঙ্গিকার লিখন -চিত্রাকংন প্রতিযোগীতা- নাচ গান- পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান- বতৃতা ও মানব বন্ধনের মধ্যদিয়ে পরিচালিত হয়। উক্ত আয়োজন সঞ্চালনা ও পরিচালনায় মোঃ মিজানুর রহমান পারভেজ – প্রজেক্ট অফিসার -ব্র্যাক-অগ্নি- সভাপতিত্ব করেন জনাব হাবিবুর রহমান প্রধান শিক্ষক -তেবিলা উচ্চ বিদ্যালয় । প্রধান অতীথি জনাব ইজাজ আহমেদ চৌধুরী- টেকনিক্যাল ম্যানেজার -ব্র্যাক-অগ্নি -এছাড়াও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন স্থানীয় অভিবাবক- cso মেম্বার -কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার ও সাংবাদিকগন ।
বিশ্ব নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসের ভাবনা-
বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের মানুষ আজ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছেন। বস্তুত, আমাদের সবারই উচিত নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং অন্যদেরকেও উৎসাহিত করা। নারী নির্যাতনমুক্ত সুস্থ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে নিজে নির্যাতন করা থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি আমাদের আশপাশে ঘটে যাওয়া যেকোনো নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে সম্মিলিতভাবে। কারণ নারী নির্যাতনকে টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে বেশি দায়ী আমাদের নীরবতা।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জাতীয়ভাবে এই প্রচারাভিযান পক্ষ পালিত হয়। আমাদের দেশে জাতীয়ভাবে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী- বিশ্বব্যাপী ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জন নারী তার নিকটতম সঙ্গী বা অন্য কেউ কিংবা উভয়ের দ্বারা নিজের জীবদ্দশায় অন্তত একবার শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন।
এবার যদি আমাদের দেশের দিকে ফিরে তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাই নারী ও মেয়েশিশুর প্রতি নিপীড়ন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। গত বছর এই নির্যাতনের হার হয় ঊর্ধ্বমুখী।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে অর্থনৈতিক দুর্দশায় যৌতুকের দাবিতে কিংবা কলহের জেরেও নির্যাতনের সংখ্যা বেড়েছে।
এ সব উদ্যোগ গ্রহণের পরও নারী নির্যাতন আমাদের দেশের প্রতিদিনকার ঘটনা। শুধু বাইরেই নয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে- শতকরা ৮০ ভাগ নারী তার নিজঘরেই পারিবারিক নির্যাতনের শিকার।
নারী নির্যাতন যে কতটা ভয়াবহ ও সর্বগ্রাসী হয়ে উঠছে তা প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই আমাদের চোখের সামনে ধরা দেয়। সারা দেশেই নারী নির্যাতন নানারূপে ও মাত্রায় সংঘটিত হচ্ছে এবং এর ফলে আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে।
ধর্ষণ- হত্যা- অ্যাসিড নিক্ষেপ- যৌতুকের কারণে নির্যাতন- শারীরিক-মানসিক নির্যাতন- বাল্যবিবাহ ইত্যাদি বহুমাত্রিক সহিংসতা নারীর জীবনের নিত্যসঙ্গী।
প্রতিটি নির্যাতনেরও রয়েছে বিভিন্ন রূপ ও মাত্রা। সাইবার ক্রাইম বা মোবাইল- ইন্টারনেট- ফটোশপ ইত্যাদি প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারী ও কিশোরীদের হয়রানি ও নির্যাতনও থেমে নেই। ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের পাশাপাশি এ কারণে হত্যা ও আত্মহত্যার প্রবণতাও বাড়ছে।