
মোঃ রাকিবুল হাসান,
শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গতকাল সন্ধ্যায় ভারত থেকে নেমে আসা একটি বন্যা হাতির দল গজনী হয়ে পশ্চিম বাকাকুড়া এলাকায় এসে উঠতি বোর পাকা ধান খেতে শুরু করে। উক্ত সাংবাদে কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া পানবর সহ আশেপাশের লোক জন হাতি তাড়াতে আসে। সন্ধ্যার পর থেকে শেষ রাত পযর্ন্ত লড়াই চলতে থাকে হাতি আর মানুষের মধ্যে। অবশেষে বন্য হাতির দল শেষ রাত্রের দিকে চলে গেলেও ১ টি হাতি মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। তবে হাতির মৃত্যুর সঠিক তথ্য গ্রামবাসিরা বলতে পারে না। সংবাদ পেয়ে বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ ও বনবিভাগে আরো লোকজন ঘটনাস্থলে যান। উক্ত ঘটনার সংবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ, ঝিনাইগাতি থানা পুলিশ, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ আরো অনেক লোকজন ঘটনাস্থলে যান। বন্যা হাতি মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে ঝিনাইগাতী প্রাণিসম্পদ বিভাগ। উল্লেখ্য গত এক মাসের অধিক সময় ধরে ভারত থেকে নেমে আসে ২/৩ টি বন্য হাতির দল। শেরপুর জেলার তিনটি উপজেলার সীমান্তে ৫০ কি.মি ধরে তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। এতে এই সীমান্ত এলাকায় সম্প্রতি ৩ জন বন্য হাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। পাকা বুড়ো ধান থাকতে আরও তান্ডব চালাতে পারে অন্য হাতে ফল। তাই সীমান্তবাসি আতঙ্কের দিনাতিপাত করছে। বন্য হাতির তাণ্ডবে হয় ফসল বা ঘরবাড়ি নচেৎ কৃষকের জীবন ক্ষতির মুখে পড়তে পারে এমন ধারণা বিজ্ঞমহলের।