
মোঃ রাকিবুল হাসান
শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী সীমান্ত এলাকায় এ বছর চলতি বোর ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। অত্র এলাকার অধিকাংশ লোক কৃষক ও প্রান্তিক চাষী। তাই এই অঞ্চলের পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস কৃষি ফসল। প্রধান কৃষি ফসলের মধ্যে প্রধান ফসল ধান। ধানের উৎপাদনে পাশাপাশি অন্যান্য কৃষি ফসলও উৎপাদন করে। যেমন আমন ধান কাটার পর সরিষা চাষ করে। সরিষা কাটার পরে বোর চাষ করে। এছাড়াও পাট, গম, ভূট্টা সহ আরো অন্যান্য কৃষি ফসল। পাশাপাশি উচু জমি গুলিতে বছর জুরেই নানা জাতের সবজি চাষ করে। এই সমস্ত কৃষি ফসল উৎপাদন করে নিজেদের পরিবারের ও এলাকার চাহিদা পূরণ করে দেশের আভ্যন্তরে যোগানে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে। উল্লেখ্য ধান উৎপাদন করেও কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। সরকারিভাবে ধানের মূল্য ১২শ’ টাকা নির্ধারণ করা হলেও কৃষকের উৎপাদিত বোর ধান বাজারে ৮/৯শ’ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে না। প্রতি একর জমিতে উৎপাদন ব্যায় মিটিয়ে কৃষকের হাত শূন্য। প্রতি একর জমিতে বোর ধান উৎপাদন হয়েছে ৫০/৬০ মণ। ৫০/৬০ মণ ধান বিক্রি করে যে টাকা হয় তা কৃষকের উৎপাদন খরচের সমান। বোর উৎপাদন করতে কৃষকের ব্যায় হয়েছে প্রতি একর জমিতে ৪৫/৫০ হাজার টাকা। ধান বিক্রির সম পরিমাণ কৃষক পাচ্ছে। এতে কৃষকের পরিশ্রম ও জমির কোন আয় থাকছে না। বাম্পার ফলনেও যদি কৃষক লাভবান না হতে পারে তাহলে কৃষক উৎপাদন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে। তাই অনেক কৃষকের মুখ থেকে শুনা গেছে কষ্ট করে উৎপাদন করে যদি লাভ না হয়। তাহলে কষ্ট করে ফসল উৎপাদন করে কি হবে। এমন ক্ষোভের কথাই কৃষকদের মুখ থেকে শুনা যায়। অপর দিকে এলাকার মৌসুমীয় সবজি চাষিরা জানায় মৌসুমের সময় দেশ ব্যাপি সব ধরনের সবজি উৎপাদন হয়। ফলে উৎপাদিত সবজি বাজারে পানির দামে বিক্রি করতে হয়। সংরক্ষণের কোন হিমাগার না থাকায় উৎপাদিত সবজী পানির দামে বিক্রি করে কৃষকদের লাভের পরিবর্তে লোকসান গুনতে হয়। তাই ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্ত এলাকার দরিদ্র কৃষক ও প্রান্তিক চাষিদের সার্থ রক্ষায় সরকারিভাবে একটি হিমাগার স্থাপন জরুরী দরকার।