কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে বেড়েছে মশার উপদ্রব। দিবারাত্রী মশার দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। বাসাবাড়ি- অফিস- রেস্টুরেন্ট পরিবহণসহ নানা স্থানে মশার উৎপাত সহ্য হচ্ছে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে মশার উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। মশা নিধনে নেই কোন উদ্যোগ। ডেঙ্গু আতঙ্কে লোকজন।
ময়লা-আবর্জনা থেকে জন্ম নেওয়া মশা বাসা বাড়ির ভেতরে। বিশেষ করে, কচুরিপানা ও পানিতে ভাসমান বিভিন্ন ময়লায় থাকা মশা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। তবে ডেঙ্গু মশার আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামীন জনপদের লোকজন।
অভিজ্ঞজনদের মতে জানান- ঘরবাড়ির আশপাশ ও সড়কের দুই পাশে ময়লা আবর্জনার স্তুপ থেকে এসব মশা মাছির উৎপত্তি। প্রাকৃতিকভাবেও মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। পচা পানিতে এ মশা বংশ বিস্তার করে।মশা নিধন স্প্রে -ঔষধ- প্রয়োগ না করার কারনে এহেন অবস্থার সৃষ্টি। জলাশয়- ডাবের খোসা ও পচা পানি জমে থাকা স্থানসমুহ পরিষ্কার করা জরুরী।
অন্যদিকে ঈদগাঁও উপজেলার আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নের পাড়া-মাহল্লায় মশার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। সে সাথে খালপাড়ে অবস্থানরত বসত বাড়িগুলোতে মশা মাছের উপদ্রব বেড়েছে। কেননা খালে অপরিচ্ছন্ন পানি থেকে মশার জন্ম।
গৃহবধূ সাবিনা ইয়াসমিন জানান- দিনে রাতে মশার অত্যাচারে ঘরে থাকা দায়। ছেলেমেয়েদের শান্তিতে রাখা কষ্টদায়ক হচ্ছে। একাধিক পথচারীরা জানান- মশার জ্বালায় অতিষ্ট। রাতে তো আছে- দিনেও মশার অত্যাচারে ঠিকা যায়না।
মহিলা চিকিৎসক রেহেনা আকতার কাজল জানান- ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে অতীব সর্তকতা থাকতে হবে- দিনের বেলায় মশারি টাঙ্গিয়ে ঘুমাতে হবে। বাসাবাড়ির আশপাশে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে- ফুলের টব- গাবলায় জমে থাকা পানি ফেলে দিতে হবে। মশা মাছির উপদ্রব বেড়েছে। নিধনে স্প্রে ছিটানোর জরুরী।