Dhaka , Thursday, 27 November 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
খুদে শিক্ষার্থীদের আনন্দে রঙিন মাতুয়াইল ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদায় অনুষ্ঠান এম এইচ আইডিয়াল স্কুলে আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো ক্লাস পার্টি চসিকের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলাচলের রাস্তায় বর্জ্য ফেলার প্রতিবাদে মানববন্ধন নরসিংদীর ‎পলাশে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্ধোধন দুই দফা দাবিতে ইবি সংস্কার আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচি পাইকগাছায় তারুণ্যের উৎসব: পিঠা উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ভলিবল খেলা অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন মাগুরার শ্রীপুরে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন: আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুরের চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী  হত্যা মামলার মূল  আসামি ইউসুফ গ্রেপ্তার  নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মাওলানা আবদুল জব্বারের গণসংযোগ নারায়ণগঞ্জ–৩ আসনে মান্নানের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধে মশাল মিছিল ফতুল্লায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নান্দাইলে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ শরীয়তপুরের জাজিরায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী–২০২৫ এর বর্ণাঢ্য উদ্বোধন কালিয়াকৈরে ছিনতাইয়ের দৌরাত্ন্য– দিনের বেলায় বিকাশ ব্যবসায়ীর ১৪ লাখ টাকা ছিনতাই নিবর্ণ চাঁদের আলোয় ইবির চন্দ্রকথা পাইকগাছা পৌরসভায় মশক নিধন অভিযান চলমান পাইকগাছার কাশিমনগর হাটে প্রায় ৩ কোটি টাকায় নির্মিত গ্রামীণ বাজার ভবন হস্তান্তর রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন: চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়লো এলাকায় চসিক পরিদর্শন করলেন চীনের উহু সিটি মেয়র উন্নত জীবনের স্বপ্নে সাগরপথে পাড়ি—টেকনাফে নারী–শিশুসহ ২৮ জনকে উদ্ধার রূপগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ডাকাতি শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে দশ ভরি স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট সরাইল উপজেলা জিয়া সরাইবার ফোর্স-জেডসিএফ আহবায়ক কমিটি গঠিত বেগমগঞ্জ উপজেলা দোকান কর্মচারী ও লোডআনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পূর্ণ কক্সবাজারের এনজিওগুলোর সক্ষমতাকে অবজ্ঞা করায় ইউএনএইচসিআর’র অংশীদারিত্বের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি ফরিদপুরে নির্বাচনি দায়িত্ব পালনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন পাবনার রাস্তার পাশ এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হতে হবে–হেফাজতে ইসলাম। গাজীপুরে মায়ের লাশ কবর থেকে তুলে ঘরে রাখে ভারসাম্যহীন ছেলে

বরিশালে হারিয়ে যাচ্ছে কলমি লতা ও মাইক ফুল

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 12:22:57 am, Saturday, 2 October 2021
  • 276 বার পড়া হয়েছে

বরিশালে হারিয়ে যাচ্ছে কলমি লতা ও মাইক ফুল

 বরিশাল।।

গাছগুলো দেখতে অনেকটা লতার মতো। আর ফুলগুলো একেবারেই মাইকের মতো। আজ থেকে এক যুগ আগে গ্রামের দস্যি ছেলেমেয়েরা এই ফুল নিয়ে খেলতো, বিশেষ করে মেয়েরা কানে গুঁজে সেজে ঘুরে বেড়াতো। হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার অতিপরিচিত কলমি লতা ও তার ফুল।

সেদিন দুপুরে চোখে পড়ল বরিশালের সদর উপজেলার সড়কের পাশে সেই চিরচেনারূপে বেড়ে ওঠা কলমি লতা। গ্রামগঞ্জ আর শহরের আনাচে-কানাচে জন্মাতো এই লতা ও ফুল। মানুষের চারপাশে জড়িয়ে থাকতো। ফসল রক্ষার বেড়া, বাড়ির উঠান ঘেরা সহ বিভিন্ন কাজে আগের দিনের মানুষ ব্যবহার করতো কলমি লতা। জ্বালানি কাজেও প্রয়োজন ছিল অপরিসীম। এগাছ ছিল অমর, ডাল থেকে কুশি বের হতো। জন্ম নিতো একটি লতা থেকে একাধিক লতা। কলমি লতার মাইক ফুল ছিল এক সময়ের সৌন্দর্যের প্রতীক। ছিল তার ব্যক্তিগত সুভাষ, যে সুভাষ ছড়িয়ে পড়তো চারপাশে।

শিশু-কিশোররা খেলতো এই মাইক ফুল দিয়ে, আবার প্রিয় মানুষের চুলের খোঁপায় পরিয়ে দিতো কলমি লতার মাইক ফুল। আধুনিক যুগে বিভিন্ন প্রজাতির সুগন্ধি ফুলের আবির্ভাবে মূল্যহীন হয়ে গেছে সেই মাইক ফুল। ভোর থেকে ফুটতে শুরু করে, আর তা ধরে রাখে দুপুর পর্যন্ত। নিজে ফোটে ও সৌরভ ছড়িয়ে দেয় সৌন্দর্য পিপাসুদের মাঝে।কথা হয় বরিশালের ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ব্যাক্তির সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন তো আর আগের মতো চোখেই পড়ে না কলমি লতা। আমাদের সময় প্রায় সব কাজেই এই লতার প্রয়োজন হতো। এখন তো ইট, পাথর, সিমেন্ট, বালু আর রডের ব্যবহার হচ্ছে। তখন আমরা কলমি লতা দিয়ে সব কাজ করতাম।’বরিশালের কৃষক মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘ছোটবেলায় আমরা এই লতা দিয়ে ডাংগুলি খেলতাম। আবার তার মাইক ফুল দিয়ে ছেলেমেয়েরা মিলে এক সঙ্গে খেলাধুলা করত।’নলছিটির রানাপাশা ইউনিয়নের রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া বৃদ্ধা মরিয়ম বেগমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার তো জ্বাল দেওয়াসহ ব্যাবাক কাজই কলমি লতা দিয়েই করতাম। ছোল-মেয়েকে এই কলমি লতা ভাঙে মেরে শাসন করতাম।অপর গ্রামের এক কৃষক সামচুল আলম বলেন, ‘এগুলো তো এখন দেখাই যায় না। মোরা গরিব মানুষ, ইটা দিয়ে তো আর বাড়ির উঠান ঘেড়ার পারতাম না। তাই কলমি লতা দিয়ে কাজ করতাম। এগুলোর কদর তো আর কেউ করে না।’

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

খুদে শিক্ষার্থীদের আনন্দে রঙিন মাতুয়াইল ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদায় অনুষ্ঠান

বরিশালে হারিয়ে যাচ্ছে কলমি লতা ও মাইক ফুল

আপডেট সময় : 12:22:57 am, Saturday, 2 October 2021

 বরিশাল।।

গাছগুলো দেখতে অনেকটা লতার মতো। আর ফুলগুলো একেবারেই মাইকের মতো। আজ থেকে এক যুগ আগে গ্রামের দস্যি ছেলেমেয়েরা এই ফুল নিয়ে খেলতো, বিশেষ করে মেয়েরা কানে গুঁজে সেজে ঘুরে বেড়াতো। হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার অতিপরিচিত কলমি লতা ও তার ফুল।

সেদিন দুপুরে চোখে পড়ল বরিশালের সদর উপজেলার সড়কের পাশে সেই চিরচেনারূপে বেড়ে ওঠা কলমি লতা। গ্রামগঞ্জ আর শহরের আনাচে-কানাচে জন্মাতো এই লতা ও ফুল। মানুষের চারপাশে জড়িয়ে থাকতো। ফসল রক্ষার বেড়া, বাড়ির উঠান ঘেরা সহ বিভিন্ন কাজে আগের দিনের মানুষ ব্যবহার করতো কলমি লতা। জ্বালানি কাজেও প্রয়োজন ছিল অপরিসীম। এগাছ ছিল অমর, ডাল থেকে কুশি বের হতো। জন্ম নিতো একটি লতা থেকে একাধিক লতা। কলমি লতার মাইক ফুল ছিল এক সময়ের সৌন্দর্যের প্রতীক। ছিল তার ব্যক্তিগত সুভাষ, যে সুভাষ ছড়িয়ে পড়তো চারপাশে।

শিশু-কিশোররা খেলতো এই মাইক ফুল দিয়ে, আবার প্রিয় মানুষের চুলের খোঁপায় পরিয়ে দিতো কলমি লতার মাইক ফুল। আধুনিক যুগে বিভিন্ন প্রজাতির সুগন্ধি ফুলের আবির্ভাবে মূল্যহীন হয়ে গেছে সেই মাইক ফুল। ভোর থেকে ফুটতে শুরু করে, আর তা ধরে রাখে দুপুর পর্যন্ত। নিজে ফোটে ও সৌরভ ছড়িয়ে দেয় সৌন্দর্য পিপাসুদের মাঝে।কথা হয় বরিশালের ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ব্যাক্তির সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন তো আর আগের মতো চোখেই পড়ে না কলমি লতা। আমাদের সময় প্রায় সব কাজেই এই লতার প্রয়োজন হতো। এখন তো ইট, পাথর, সিমেন্ট, বালু আর রডের ব্যবহার হচ্ছে। তখন আমরা কলমি লতা দিয়ে সব কাজ করতাম।’বরিশালের কৃষক মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘ছোটবেলায় আমরা এই লতা দিয়ে ডাংগুলি খেলতাম। আবার তার মাইক ফুল দিয়ে ছেলেমেয়েরা মিলে এক সঙ্গে খেলাধুলা করত।’নলছিটির রানাপাশা ইউনিয়নের রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া বৃদ্ধা মরিয়ম বেগমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার তো জ্বাল দেওয়াসহ ব্যাবাক কাজই কলমি লতা দিয়েই করতাম। ছোল-মেয়েকে এই কলমি লতা ভাঙে মেরে শাসন করতাম।অপর গ্রামের এক কৃষক সামচুল আলম বলেন, ‘এগুলো তো এখন দেখাই যায় না। মোরা গরিব মানুষ, ইটা দিয়ে তো আর বাড়ির উঠান ঘেড়ার পারতাম না। তাই কলমি লতা দিয়ে কাজ করতাম। এগুলোর কদর তো আর কেউ করে না।’