Dhaka , Saturday, 13 December 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
চবি কেন্দ্রে ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন। পাইকগাছায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ ৩ জন আটক রোগ প্রতিরোধে চিকিৎসার চেয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে হবে :- স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনা অত্যন্ত আতঙ্কজনক:- ডা. শাহাদাত হোসেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি , সম্পাদকের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অভিনন্দন ইবিতে ওসমান হাদির সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল মধুপুর–ময়মনসিংহ মহাসড়কে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ও কাঠবাদাম গাছর চারা রোপণ দ্বীপ কন্যা কুতুবদিয়ায় পর্যটনের নতুন দিগন্ত উদ্বোধন হলো লাইটহাউস সি-বীচ—অপার সম্ভাবনায় আশাবাদী স্থানীয়রা অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম সীমান্তে ১৫ বিজিবি’র নজিরবিহীন সতর্কতা: টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার রূপগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবী ঐক্য পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটির সংবর্ধনা পাইকগাছায় বাক সরলীকরণ নিয়ে জনমনে উদ্বেগ; ঝুঁকিপূর্ণ নতুন বাঁক তৈরির আশঙ্কা পাইকগাছায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির উপর গুলিবর্ষের প্রতিবাদে শার্শায় বিক্ষোভ ফতুল্লায় দোয়া মাহফিলে না যাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি, আহত ৫ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নাম ও লোগো ব্যবহার বিষয়ক সতর্কতা রূপগঞ্জে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী ঐক্য পরিষদের মিলন মেলা ও নবাগত কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হাদিকে গুপ্ত বাহিনী নিষিদ্ধ বাহিনী হামলা করেছে- নোয়াখালীতে শিবির সেক্রেটারি লক্ষ্মীপুরে অস্ত্রসহ ২ সন্ত্রাসী গ্রেফতার লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে গৃহিনীকে কুপিয়ে হত্যা ব্রি বিজ্ঞানী সমিতির সভাপতি ড. ইব্রাহিম ও সম্পাদক ড. হাবিবুর রহমান নির্বাচিত সদরপুরে ব্যাটমিন্টন খেলতে গিয়ে ষষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদীকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ সমাবেশ রূপগঞ্জ মুক্ত দিবসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আলোচনাসভা মাদক পাচার রোধে বিজিবি’র কঠোর অবস্থান: কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিপুল ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার নোয়াখালীতে টার্মিনালে থাকা বাসে আগুন আজ ১৩ ডিসেম্বর রূপগঞ্জ মুক্তদিবস  ২৪তম নবীন শিল্পী প্রদর্শনীতে সেরা দশে ইবি শিক্ষক ইমতিয়াজ ইসলাম ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ: গোলাম ফারুক খোকনের তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদীকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে রূপগঞ্জে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল রামগঞ্জে ব্যানার পোস্টার নিজেই অপসারণ করলেন জামাত প্রার্থী

বরিশালে হারিয়ে যাচ্ছে কলমি লতা ও মাইক ফুল

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 12:22:57 am, Saturday, 2 October 2021
  • 279 বার পড়া হয়েছে

বরিশালে হারিয়ে যাচ্ছে কলমি লতা ও মাইক ফুল

 বরিশাল।।

গাছগুলো দেখতে অনেকটা লতার মতো। আর ফুলগুলো একেবারেই মাইকের মতো। আজ থেকে এক যুগ আগে গ্রামের দস্যি ছেলেমেয়েরা এই ফুল নিয়ে খেলতো, বিশেষ করে মেয়েরা কানে গুঁজে সেজে ঘুরে বেড়াতো। হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার অতিপরিচিত কলমি লতা ও তার ফুল।

সেদিন দুপুরে চোখে পড়ল বরিশালের সদর উপজেলার সড়কের পাশে সেই চিরচেনারূপে বেড়ে ওঠা কলমি লতা। গ্রামগঞ্জ আর শহরের আনাচে-কানাচে জন্মাতো এই লতা ও ফুল। মানুষের চারপাশে জড়িয়ে থাকতো। ফসল রক্ষার বেড়া, বাড়ির উঠান ঘেরা সহ বিভিন্ন কাজে আগের দিনের মানুষ ব্যবহার করতো কলমি লতা। জ্বালানি কাজেও প্রয়োজন ছিল অপরিসীম। এগাছ ছিল অমর, ডাল থেকে কুশি বের হতো। জন্ম নিতো একটি লতা থেকে একাধিক লতা। কলমি লতার মাইক ফুল ছিল এক সময়ের সৌন্দর্যের প্রতীক। ছিল তার ব্যক্তিগত সুভাষ, যে সুভাষ ছড়িয়ে পড়তো চারপাশে।

শিশু-কিশোররা খেলতো এই মাইক ফুল দিয়ে, আবার প্রিয় মানুষের চুলের খোঁপায় পরিয়ে দিতো কলমি লতার মাইক ফুল। আধুনিক যুগে বিভিন্ন প্রজাতির সুগন্ধি ফুলের আবির্ভাবে মূল্যহীন হয়ে গেছে সেই মাইক ফুল। ভোর থেকে ফুটতে শুরু করে, আর তা ধরে রাখে দুপুর পর্যন্ত। নিজে ফোটে ও সৌরভ ছড়িয়ে দেয় সৌন্দর্য পিপাসুদের মাঝে।কথা হয় বরিশালের ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ব্যাক্তির সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন তো আর আগের মতো চোখেই পড়ে না কলমি লতা। আমাদের সময় প্রায় সব কাজেই এই লতার প্রয়োজন হতো। এখন তো ইট, পাথর, সিমেন্ট, বালু আর রডের ব্যবহার হচ্ছে। তখন আমরা কলমি লতা দিয়ে সব কাজ করতাম।’বরিশালের কৃষক মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘ছোটবেলায় আমরা এই লতা দিয়ে ডাংগুলি খেলতাম। আবার তার মাইক ফুল দিয়ে ছেলেমেয়েরা মিলে এক সঙ্গে খেলাধুলা করত।’নলছিটির রানাপাশা ইউনিয়নের রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া বৃদ্ধা মরিয়ম বেগমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার তো জ্বাল দেওয়াসহ ব্যাবাক কাজই কলমি লতা দিয়েই করতাম। ছোল-মেয়েকে এই কলমি লতা ভাঙে মেরে শাসন করতাম।অপর গ্রামের এক কৃষক সামচুল আলম বলেন, ‘এগুলো তো এখন দেখাই যায় না। মোরা গরিব মানুষ, ইটা দিয়ে তো আর বাড়ির উঠান ঘেড়ার পারতাম না। তাই কলমি লতা দিয়ে কাজ করতাম। এগুলোর কদর তো আর কেউ করে না।’

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চবি কেন্দ্রে ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন।

বরিশালে হারিয়ে যাচ্ছে কলমি লতা ও মাইক ফুল

আপডেট সময় : 12:22:57 am, Saturday, 2 October 2021

 বরিশাল।।

গাছগুলো দেখতে অনেকটা লতার মতো। আর ফুলগুলো একেবারেই মাইকের মতো। আজ থেকে এক যুগ আগে গ্রামের দস্যি ছেলেমেয়েরা এই ফুল নিয়ে খেলতো, বিশেষ করে মেয়েরা কানে গুঁজে সেজে ঘুরে বেড়াতো। হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার অতিপরিচিত কলমি লতা ও তার ফুল।

সেদিন দুপুরে চোখে পড়ল বরিশালের সদর উপজেলার সড়কের পাশে সেই চিরচেনারূপে বেড়ে ওঠা কলমি লতা। গ্রামগঞ্জ আর শহরের আনাচে-কানাচে জন্মাতো এই লতা ও ফুল। মানুষের চারপাশে জড়িয়ে থাকতো। ফসল রক্ষার বেড়া, বাড়ির উঠান ঘেরা সহ বিভিন্ন কাজে আগের দিনের মানুষ ব্যবহার করতো কলমি লতা। জ্বালানি কাজেও প্রয়োজন ছিল অপরিসীম। এগাছ ছিল অমর, ডাল থেকে কুশি বের হতো। জন্ম নিতো একটি লতা থেকে একাধিক লতা। কলমি লতার মাইক ফুল ছিল এক সময়ের সৌন্দর্যের প্রতীক। ছিল তার ব্যক্তিগত সুভাষ, যে সুভাষ ছড়িয়ে পড়তো চারপাশে।

শিশু-কিশোররা খেলতো এই মাইক ফুল দিয়ে, আবার প্রিয় মানুষের চুলের খোঁপায় পরিয়ে দিতো কলমি লতার মাইক ফুল। আধুনিক যুগে বিভিন্ন প্রজাতির সুগন্ধি ফুলের আবির্ভাবে মূল্যহীন হয়ে গেছে সেই মাইক ফুল। ভোর থেকে ফুটতে শুরু করে, আর তা ধরে রাখে দুপুর পর্যন্ত। নিজে ফোটে ও সৌরভ ছড়িয়ে দেয় সৌন্দর্য পিপাসুদের মাঝে।কথা হয় বরিশালের ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ব্যাক্তির সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন তো আর আগের মতো চোখেই পড়ে না কলমি লতা। আমাদের সময় প্রায় সব কাজেই এই লতার প্রয়োজন হতো। এখন তো ইট, পাথর, সিমেন্ট, বালু আর রডের ব্যবহার হচ্ছে। তখন আমরা কলমি লতা দিয়ে সব কাজ করতাম।’বরিশালের কৃষক মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘ছোটবেলায় আমরা এই লতা দিয়ে ডাংগুলি খেলতাম। আবার তার মাইক ফুল দিয়ে ছেলেমেয়েরা মিলে এক সঙ্গে খেলাধুলা করত।’নলছিটির রানাপাশা ইউনিয়নের রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া বৃদ্ধা মরিয়ম বেগমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার তো জ্বাল দেওয়াসহ ব্যাবাক কাজই কলমি লতা দিয়েই করতাম। ছোল-মেয়েকে এই কলমি লতা ভাঙে মেরে শাসন করতাম।অপর গ্রামের এক কৃষক সামচুল আলম বলেন, ‘এগুলো তো এখন দেখাই যায় না। মোরা গরিব মানুষ, ইটা দিয়ে তো আর বাড়ির উঠান ঘেড়ার পারতাম না। তাই কলমি লতা দিয়ে কাজ করতাম। এগুলোর কদর তো আর কেউ করে না।’