পিরোজপুর প্রতিনিধি।।
পিরোজপুর সদর উপজেলার নামাজপুর গ্রামে ২০০৫ সালে একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন এই পার্কটি নির্মাণ করেন।নির্মাণের পরে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে খুব সুন্দরভাবে এই বিনোদন কেন্দ্রটি পরিচালিত হয়ে আসছিল।কিন্তু যখনই ইজারা দেয়া হয় তারপরে শুরু হয় নানা রকমের অনিয়ম।জেলা প্রশাসনের দেয়া নিয়মের তোয়াক্কা না করে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ তাদের মনমতো পরিচালনা করছে উক্ত পার্কটি।
উক্ত পার্কটিতে দর্শনার্থীদের জন্য বিগত দিনে দোলনা রেলগাড়িসহ বিনোদনের অনেক সরঞ্জামাদি থাকলেও সেগুলো ইজারাদারের খামখেয়ালীতে নষ্ট হয়ে আছে এবং এগুলো সংস্কারের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি,বিগত দিনে স্কুল-কলেজ টাইমে বন্ধ থাকলেও অতিরিক্ত আর্থিক লোভের কারণে বর্তমান ইজারাদার কর্তৃপক্ষ একটা থেকে তিনটে পর্যন্ত স্টাফদের ছুটি দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের অনৈতিক কার্যকলাপের সহায়তা করে আসছে।উক্ত পার্কটিতে বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে যে কয়েকটি রাইড সংস্থাপন করেছিলেন তাও রক্ষণাবেক্ষণের গাফিলতিতে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। পার্কটির পাশেই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী বলেশ্বর নদী- নদীর দৃশ্য দেখার জন্য পিরোজপুর সড়ক ও জনপদ কর্তৃক দেয়া প্রায় কোটি টাকার পল্টন পানিতে ডুবে পড়ে আছে।পার্কের ভিতরে দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য একটি সেট তৈরি করা হলেও সেটি দেখতে বর্তমানে একটি গোয়াল ঘরের থেকেও দুরবস্থা।পার্কের ভেতরে সরকারি গাছ কেটে লাকড়ি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে এবং উক্ত পার্কের মধ্যে একটি কাঠের গোলাও বর্তমানে রয়েছে। পার্কটিতে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বে কটেজ থাকার সত্বেও তাদের অজান্তে বাইরের লোকজনের কাছে ভাড়া দিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনা করে আসছে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ।
বিগত দিনে উক্ত পার্কটিতে এ ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ ও ইজারাদারের বিভিন্ন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে স্থানীয় শুশীল সমাজ সাধারণ জনগণ একটি মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল তাছাড়াও প্রিন্ট পত্রিকা ও ইলেকট্রোনিক্স মিডিয়ায় এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছিল যার প্রমাণ এই প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বললে তারা বলেন আমরা চাই আমাদের এলাকায় একটি দর্শনীয় স্থান জেলা প্রশাসন তৈরি করেছে এটি তৈরির পরে প্রশাসন যেভাবে চালিয়েছে এখনো প্রশাসন পরিচালনা করবে এবং উক্ত পার্কটিতে কোন ছাত্রছাত্রী স্কুল-কলেজের ইউনিফর্ম পড়ে প্রবেশ করতে না পারে ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে এলাকার পরিবেশ যেন নষ্ট না হয়-ইজারাদারকে স্থানীয় লোকজন কোন কৈফিয়ত চাইলে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন আমরা টাকা দিয়ে এই পার্কে ইজারা নিয়েছি,আমাদের যা মন চায় তাই করবো-এবং তাদেরকে দেখিয়ে দেবে বলে হুমকি প্রদান করে বলে এলাকাবাসী জানান।