
এম জালাল উদ্দীন- পাইকগাছা
বেতগ্রাম- তালা-পাইকগাছা – কয়রা সড়ক যথাযথ মানে উন্নতিকরণ -১ম সংশোধিত- প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় পর্যায়ে মতবিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল সংযুক্ত ছিলেন-পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি -অতিরিক্ত সচিব-মহাপরিচালক কানিজ মওলা। সভাপতিত্ব করেন- সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তানিমুন। স্বাগত বক্তৃতা করেন-পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমডি -উপসচিব- উপ-পরিচালক মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন- ভার্চুয়াল সংযুক্ত আইএমডি -উপসচিব- পরিচালক মোছা. নাজমা নাহার- ইউএনও ও প্রশাসক মাহেরা নাজনীন- টিম লিডার ইঞ্জি. মো. আবুল কাদের- উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাফিন শোয়েব- ইঞ্জি. শফিকুল ইসলাম।
ইএসিআর সার্ভিসেস এর নির্বাহী পরিচালক ইয়াসিন আরাফাত এর সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন, এসডিই-১, আরএইচডি সাগর সৈকত মন্ডল- এসএই-১ আরএইচডি মো. রাশিদুল রেজা- সাংবাদিক পূর্ণ চন্দ্র মন্ডল- পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক সেলিম রেজা লাকি- শিক্ষক মো. সাইদুর রহমান- ষোলআনা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জিএম শুকুরুজ্জামান-ঠিকাদার শফিয়ার রহমান- সাইফুল ইসলাম- মো. আ. সালাম- পরিবহণ সমিতির সেক্রেটারি মো. আবু সাদ- সাহাজাহান কবির- ইমাম মো. আবুল হাসান- হুরায়রা বাদশা, রত্না, নাজনীন নাহার প্রমুখ।
এসময় পরিবহন সমিতির সদস্য- শিক্ষক শিক্ষার্থী- ঠিকাদার- ব্যবসায়ী- চাকুরীজীবী- সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বেতগ্রাম-তালা-পাইকগাছা-কয়রা সড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ -১ম সংশোধিত- শীর্ষক প্রকল্প প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০২০ থেকে জুন ২০২৫ পযর্ন্ত বাস্তবায়নকাল নির্ধারণ করা হয়। ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৫৭.০৫% -২১-৬৫১ লক্ষ টাকা- এবং ভৌত কাজের অগ্রগতি ৬৪.৫০%। কর্মশালায় সড়ক নির্মাণ কাজের মান উন্নয়ন- দুই লেন এ উন্নীতকরণ- বাক সরলীকরণ- কাজের ধীর গতি- ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সহ নানা বিষয়ে উঠে এসেছে। কপিলমুনি ও আগড়ঘাটা সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার রাস্তা ভেঙে পড়েছে, যা দ্রুত মেরামত করা অত্যন্ত জরুরি। অংশীজনগণ মনে করেন- এ রাস্তাটির কাজ দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন। তারা আরও উল্লেখ করেন যে, রাস্তার বাঁকগুলো সরলীকরণ করা এবং রোড সাইনগুলো দৃশ্যমান করা হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পাবে। তাদের মতে- রাস্তার উন্নয়ন সম্পন্ন হলে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য কার্যক্রমের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। বিশেষ করে মৎস্য ও তরমুজ ব্যবসার মতো স্থানীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও বিস্তৃত ও সমৃদ্ধ হবে।